খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহর জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা

মোঃ হরমুজ আলী, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০১ অপরাহ্ণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহর  জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহর জামায়াতের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাংগাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি পদ প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর টাংগাইল জেলার সংগ্রামী আমীর জননেতা জনাব আহসান হাবিব মাসুদ অসাধারণ বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, বিগত অর্ধশতাব্দী ধরে পতিত আওয়ামী-ফ্যাসীবাদীরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে অপরাজনীতি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে বুদ্ধিজীবীগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির এসব সাহসী সন্তানদের মেধা, মনন ও মনীষা জাতিকে দিকনির্দেশনা দেয়। কিন্তু মহান বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনা রীতিমত রহস্যজনক।

স্বাধীনতার ৫ দশক পরও তা এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার দায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর চাপালেও রহস্য উদঘাটনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং বিষয়টি নিয়ে রীতিমত অপরাজনীতিই করা হয়েছে। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি আরো বলেন স্বাধীন দেশে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হানের হত্যার রহস্যের জট এখনো খোলেনি।

তিনি অনেক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলেই রহস্য প্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে। তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ, ডকুমেন্টারি-প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষিত থাকার কারণেই তাকে এই নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল।

তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা তদন্তে একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান।

তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দল-মত,জাতি,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

অ্যাকশন ও রোমাঞ্চে ভরপুর ইউটিউব ফিল্ম

মুক্তি পাচ্ছে মুরতজা পলাশ-সেমন্তি সৌমি’র ‘টাইগার ২’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
মুক্তি পাচ্ছে মুরতজা পলাশ-সেমন্তি সৌমি’র ‘টাইগার ২’

ঈদের খুশিকে আরও রঙিন করে তুলতে আসছে মাহমুদ হাসান রানা পরিচালিত নতুন ইউটিউব ফিল্ম ‘টাইগার ২’। ঈদুল আযহার ৬ষ্ঠ দিনে জয় পাগল মাল্টিমিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই অ্যাকশন ও রোমাঞ্চে ভরপুর চলচ্চিত্রটি।

‘টাইগার ২’-তে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুরতজা পলাশ, সেমন্তি সৌমি, শিরিন আলম, শিবা শানু সহ আরও অনেকে। ফিল্মটির গল্প রচনা করেছেন পরিচালক নিজেই, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে ছিলেন পাপ্পু রাজ।

এর আগে, ‘টাইগার’ নামক প্রথম পর্বটি মুক্তি পেয়েছিল গত ঈদুল ফিতরে, যা দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার আসছে সিক্যুয়েল ‘টাইগার ২’।

জেপি ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই ফিল্মটি প্রেক্ষাগৃহে নয়, দর্শকদের আরও সহজে পৌঁছাতে মুক্তি পাচ্ছে ইউটিউবে। এজন্য একে ‘ইউটিউব ফিল্ম’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে।

প্রযোজক ও পরিচালক জানিয়েছেন, অ্যাকশন, নাটকীয়তা ও চমকে ভরপুর ‘টাইগার ২’ হবে এবারের ঈদের অন্যতম আকর্ষণ।

দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:১৫ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসেন।

তাকে বহন করা ফ্লাইটটি (টিজি ৩৩৯) অবতরণের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে তিনটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ। তিনি জানান, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে এসেছেন। কোনও প্রটোকল চাননি। রাত দেড়টার দিকে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

ফ্লাইট থেকে হুইলচেয়ারে করে আবদুল হামিদকে নামিয়ে আনা হয়। বিমানবন্দরে তাকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। তার মুখে মাস্ক ও পরনে ছিল শার্ট-লুঙ্গি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।

এর আগে, গত ৮ মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি ৩৪০) ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের পতন হলে দলটির অনেক নেতাকর্মী দেশ ছাড়লেও আবদুল হামিদ দেশে অবস্থান করছিলেন। ৯ মাস পর চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে।

আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে: আমির খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:১১ অপরাহ্ণ
কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে: আমির খসরু

কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নটি তোলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে?

তিনি বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতোমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরেও নির্বাচন করা সম্ভব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হবে না। ফলে এপ্রিলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এপ্রিলে নির্বাচন কাদের স্বার্থে, সে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু এরপর বলেন, দেশে যখন একটা নির্বাচিত সরকার থাকে, তখন একটা বিশেষ সময়ে নির্বাচন হয়। একটা সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এখন নির্বাচিত সরকার নেই। সংসদ নেই। সেক্ষেত্রে আপনার এটা করতে হলে সবার ঐকমত্যে ও মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। মতামত সৃষ্টি হয়েছে ডিসেম্বরের পক্ষে। সুতরাং যে মতামত সৃষ্টি হয়েছে, সেটির বাইরে গিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন কেন—এটিই এখন প্রশ্ন। এটি কাদের স্বার্থে, অন্য কোনো চিন্তা আছে নাকি?