খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

আন্দোলনে হারান চোখ, ছাড়তে হয় দেশ

১২ বছর পর দেশে ফিরলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জি. শফিকুল ইসলাম রিবলু

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ণ
১২ বছর পর দেশে ফিরলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জি. শফিকুল ইসলাম রিবলু

দীর্ঘ একযুগ পর দেশে ফিরেছেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি, যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম রিবলু।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুমসহ দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী রিবলুকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে যুক্তরাজ্য বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ এনাম তানিম সহ যুক্তরাজ্য বিএনপির নেত্রীবৃন্দরা তাকে যুক্তরাজ্যের একটি এয়ারপোর্টে বিদায় জানান।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন শাখার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে। বিশেষ করে সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের ছিলো সক্রিয় উপস্থিতি। বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আল মাহমুদের নেতৃত্বে এয়ারপোর্টে হাজির হয় অসংখ্য নেতাকর্মী। অন্যান্যদের পাশাপাশি ফুলের তোড়া নিয়ে জনাব শফিকুল ইসলাম রিবলুকে অভ্যর্থনা জানাতেও দেখা যায় জোবায়েরকে।

মূলত আওয়ামিলীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলের রোষানলে রিবলু গুরুতর জখম হয়ে চোখ হারিয়ে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমান। পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে না পারলেও তৎকালীন আন্দোলন সংগ্রামে রিবলুর দৃঢ়চেতা ও ত্যাগী অবদান আজও সবার মুখে মুখে। হয়তো সেজন্যই ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর আগমনে কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিতিতে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায় তৎকালীন যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম রিবলু। দেশে চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্ত্যরাজ্য চলে যান। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আর দেশে ফেরেননি তিনি।

মূলত আন্দোলনের মাঠে পুলিশ রিবলুর চোখে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। যা বাংলাদেশে বটেই, পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। অবশেষে ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

রিবলুর আগমন উপলক্ষে বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের উচ্ছসিত আমেজ দেখে তাদের কাছে কারণ ও অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়। এ-সময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আল মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি, যুক্তরাজ্য বিএনপি সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও শাখা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুবদলের সদ্য সাবেক সদস্য জনাব সফিকুল ইসলাম রিবলু ভাইয়ের দীর্ঘ ১২ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করছেন। তার আগমনে শুধু আমরাই নই, সবাই আজ আনন্দিত। কারণ রিবলু ভাই কোনো একক ব্যক্তিত্ব নয়। তিনি স্বৈরাচারী হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রামের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।”

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।