খুঁজুন
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৪ পৌষ, ১৪৩১

রাজশাহীকে হারিয়ে প্রথম জয় চিটাগং কিংসের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫২ অপরাহ্ণ
রাজশাহীকে হারিয়ে প্রথম জয় চিটাগং কিংসের

বিপিএলের ১১তম আসরে মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই আলোচনায় চিটাগং কিংস। যার মূল কারণ সাকিব আল হাসান। সরাসরি চুক্তিতে দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছিলেন সামির কাদের চৌধুরী। তবে দেশে ফিরতে না পারায় সাকিব ছাড়ায় মাঠে নামতে হয়েছে চিটাগংকে।

প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে আসর শুরু করেছিল মিথুনের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। রাজশাহীকে ১০৫ রানে বিধ্বস্ত করে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং কিংস।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে রাজশাহীকে ২২০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং কিংস। ১৭ বল হাতে থাকতে ১১৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। এতে ১০৫ রানের জয় পায় চিটাগং কিংস।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজশাহী। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাব্বির হোসেন (৮)। ৯ বলে ৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আগে ম্যাচে রাজশাহীকে জয়ের পথে এগিয়ে নেওয়া এনামুল হক। তবে অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই পাক তারকা। ১৫ বলে ৩২ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর আকবর আলী (১৮), ইয়াসির আলী (১৬), রায়ান বার্ল (১০) এবং তাসকিন ১ রানে আউট হলে দলীয় ১০৪ রানে ৭ উইকেট হারায় রাজশাহী।

এরপর শাফিউল ইসলাম (১), হাসান মুরাদ (৫) এবং সোহাগ গাজী ১১ রানে আউট হলে ১৭ বল হাতে থাকতে ১১৪ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। এতে ১০৫ রানের জয় পায় চিটাগং কিংস।

চিটাগং কিংসের হয়ে আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম এবং ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পারভেজ ইমন। তবে গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন ওসমান খান। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই পাক তারকা।

অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন গ্রাহামও। তবে ফিফটি পাননি তিনি। ২৫ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অন্যদিকে ব্যাট চালিয়ে সেঞ্চুরির দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যান ওসমান। ১১টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারিতে ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

১৫ বলে ২৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মিথুন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম পাটোয়ারি। তব ওসমানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮তম ওভারে ২০০ রানের কোটা পার করে চিটাগং। এরপর পিচে থাকতে পারেননি ওসমান। ৬২ বলে ১২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত হায়দার আলির ৮ বলের অপরাজিত ১৯ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে চিটাগং কিংস।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
১

সভাপতি আবু জার গিফারী ও সেক্রেটারী অয়েসকুরুনী

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা দক্ষিণ শাখার কমিটি ঘোষণা

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা দক্ষিণ শাখার কমিটি ঘোষণা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা দক্ষিণ শাখার ২০২৫ সেশনের জন্য সেটআপ সম্পন্ন হয়েছে।

অত্র সেশনে সভাপতি আবু জার গিফারী ও সেক্রেটারী মুহা. অয়েসকুরুনী মনোনীত হয়েছেন শাখা সদস্যদের প্রত্যক্ষ পরামর্শে।

নব মনোনীত সভাপতি সকল স্তরের জনশক্তি ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন “সংগ্রাম আর সাহসী জীবন সততায় ভরা মন জ্ঞানের আলোয় বিপ্লব হবে নতুন উজ্জীবন”।

২০২৫ সেশনের স্লোগান হবে আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দূর্বার আন্দোলন। দায়িত্বশীল ভাইদেরকে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

পরিশেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া চেয়ে দায়িত্ব পালনে তাওফিক কামনা করেন।

এইচএমপিভি ভাইরাস, দেশে দুই যুগ ধরে আছে, আতঙ্ক নেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ণ
এইচএমপিভি ভাইরাস, দেশে দুই যুগ ধরে আছে, আতঙ্ক নেই

দ্য হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।

ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই তারা দিতে পারেননি। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাঁদের।

জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও।

একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানেও। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে সাত লাখেরও বেশি মানুষ।

চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যেকোনো সময়ে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে বলেও দাবি করছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের বিষয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ এবং চিকিৎসকের বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই যুগ আগে থেকেই সদ্য আলোচিত এইচএমপিভি ভাইরাস রয়েছে। এইচএমপিভি ভাইরাস একটি সাধারণ নৈমিত্তিক রোগ। তাই এটা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সংক্রমণ যেন ব্যাপক হারে বাড়তে না পারে, সেজন্য সচেতন থাকতে হবে।

এইচএমপিভি ভাইরাস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশে ২০০০-২০০১ সালে প্রথম এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ডব্লিউ এ ব্রুক্সের নেতৃত্বে ইউএসএর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের অর্থায়নে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় ঢাকার কমলাপুরে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। সেখানে ১৩ বছরের কম শ্বাসতন্ত্রীয় রোগীর দেহে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এইচএমপিভি ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১৪-২০১৬ সালে আরেকটি গবেষণায় ঢাকায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। আমাদের ধারণা প্রতি বছরই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটির ভূমিকা রয়েছে। এই দেশে এইচএমপিভি ভাইরাস একটি সাধারণ নৈমিত্তিক রোগ। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর ন্যূনতম কোনো কারণ নেই।

এইচএমপিভি ভাইরাস বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস প্রথম ২০০১ সালে শনাক্ত হয়। তখন বিজ্ঞানীরা স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখে আমাদের দেশেও এই ভাইরাস আছে। এই ভাইরাসে জ্বর সর্দি কাশি হয়। কিন্তু এটা যে কোভিডের মতো, সেটা ঠিক না। কোভিড একেবারে নতুন একটি ভাইরাস ছিল। এটা মেটা নিউমো ভাইরাস, এটা নিউমোনিয়ার মতো হতে পারে কিন্তু নিউমোনিয়া না। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে নিউমোনিয়া হতে পারে। এটা আমাদের দেশে আগে থেকেই আছে।

তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি যদি খুব দ্রুত ছড়ায়, তাহলে নিজেকে পরিবর্তন করে খারাপ রূপ ধারণ করতেও পারে, আবার দুর্বল হয়ে চলে যেতে পারে। এই জন্যেই সংক্রমণ যত কমানো যায় তত ভালো। সংক্রামক ব্যাধি যত লিমিটেড রাখা যায়, ততই ঝুঁকি কম। এই ভাইরাস আমাদের জন্য তেমন কোনো উদ্বেগের বিষয় না।

প্রতিরোধে করণীয়:
বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব। মাস্ক পড়া, সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।