খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

‘শেখ হাসিনার ফেরতের বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
‘শেখ হাসিনার ফেরতের বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ’

ক্ষমতার সঙ্গে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ হয়ে আছে। কোনো জবাবই দিচ্ছে না তারা। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি আপনাদের মতো আমিও পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। তাকে ফেরত চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনও জবাব দেয়নি।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

এরই মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এর পরপরেই ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর আসে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তারিখ উল্লেখ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে, সে কথাও অস্বীকার করা হয়েছে। যদিও ভারতে শরণার্থী কিংবা আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।

অথচ শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে গত মাসের ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।

এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গত ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে হাজির করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

ফরিদপুরে এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ.লীগের সভাপতির মেয়ে দোলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
ফরিদপুরে এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ.লীগের সভাপতির মেয়ে দোলা

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্বে ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।

তবে এ বিষয়ে যুক্তি তুলে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা জানান, আমার পরিবারের আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজের দিক থেকে একটা ব্যাখ্যা আমার মানুষজন এবং রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন আমি করে আসতেছি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সকল আন্দোলনের আমি অতি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরোনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলা ও একজন প্রতক্ষ্যদর্শী আমি।

তিনি আরও জানান, সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায় ? তিনি আরও জানান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে, বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেছেন।

ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মেয়ে এনসিপি কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ প্রসঙ্গে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা জানান, তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম মোহাম্মাদ নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুঁড়েছে। তার মায়ের কর্মকান্ড আমাদের অজনা নয়। আর সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা জানান, আসলে দায়িত্ব দেয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেয়া হলে ভাল হতো। সঠিক যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনসিপি’র মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আক্তার হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে। এছাড়া, ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দুইজন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের টিমকে বলা হয়েছে, উক্ত টিমকে উল্লেখিত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমিটির নিম্মোক্ত সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির প্রস্তাবনার নির্দেশনার প্রদান করা হল। ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগ্নি। তার বাবার নাম সৈয়দ গোলাম দস্তগির। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে কাজ করেছেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি মুভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বধিকারী।

পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে চীন, কড়া হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে চীন, কড়া হুঁশিয়ারি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। টানা সাত দিনের মতো ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। এক দেশ অপর দেশের বিরুদ্ধে নিয়েছে নানা পদেক্ষেপ। চলমান উত্তেজনাকর এই অবস্থায় মধ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে পুরোনো মিত্র চীন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন বলেছেন, সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে বেইজিং। অবশ্য তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। পাকিস্তান ও ভারতের উচিত সংলাপ ও কূটনৈতিক পথে শান্তির রাস্তা খোঁজা।

বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পিপিপি কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে।

ঝাও বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা অবকাঠামোতে দীর্ঘদিনের। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে—বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে।

আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে জাতীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় ঝাও বলেন, চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের শিকড় গভীরে গাঁথা। প্রত্যেক চীনা নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানিরাও চীনকে একইরকম ভালোবাসা ও সম্মান দেখায়।

ঝাও বলেন, পাকিস্তান শুধু প্রতিবেশী বা মিত্র নয়, চীনের কাছে এক পরীক্ষিত বন্ধু। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও কৌশলগত সহযোগিতাই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি।

বৈঠকে দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আমিরাতের ভিসা খুলতে অনুরোধ উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আমিরাতের ভিসা খুলতে অনুরোধ উপদেষ্টার

Oplus_131072

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি এর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান৷

বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, ভিসা চালু, বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের আর্থসামাজিক বিকাশে ভূমিকা রাখছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও বর্তমানে বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ও সেদেশের ব্যবসায়ীরা এদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে লাভবান হতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করার আহবান জানান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষ শ্রমিক কোটায় এখনও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। এজন্য এদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সেমি গভর্নমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।