খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ, ১৪৩১

‘শেখ হাসিনার ফেরতের বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
‘শেখ হাসিনার ফেরতের বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ’

ক্ষমতার সঙ্গে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ বিষয়ে ভারত নিশ্চুপ হয়ে আছে। কোনো জবাবই দিচ্ছে না তারা। এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি আপনাদের মতো আমিও পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। তাকে ফেরত চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনও জবাব দেয়নি।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

এরই মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এর পরপরেই ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর আসে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর তারিখ উল্লেখ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে, সে কথাও অস্বীকার করা হয়েছে। যদিও ভারতে শরণার্থী কিংবা আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।

অথচ শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে গত মাসের ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।

এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, গত ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে হাজির করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রধান আসামি শেখ হাসিনা

২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে বিএনপির মানবসম্পদ, তথ্য এবং গুম বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান ও আইনজীবীসহ তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযোগ করেন।

পরে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।

এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই ২০০৮ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট সারা দেশের ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এছাড়া ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয় দলটি।

বকশী বাজারে এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০৯ অপরাহ্ণ
বকশী বাজারে এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০২ অপরাহ্ণ
আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম আদালত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি ভাঙরি দোকানের গোডাউন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রায় দুই বছর ধরে রক্ষিত ১৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় ১৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা।

নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গত রোববার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। তাই নথিগুলে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে বলে জানান তিনি।

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।