খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া

‘রাস্তার পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলে দেখি কন্যা নবজাতক কাঁদছে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:২১ পূর্বাহ্ণ
‘রাস্তার পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলে দেখি কন্যা নবজাতক কাঁদছে’

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে জীবিত কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের ভরাডোবা সাগরদিঘী সড়কের দোলমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা আ. ছালাম বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে হাঁটার সময় দোলমা গ্রামে সাগরদিঘী সড়কে এক বৃদ্ধা মহিলা প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখিয়ে বলেন এখান বিড়ালের বাচ্চার মত শব্দ আসছে। আমিও ওই ব্যাগের কাছে গেলে বিড়ালের বাচ্চার মত শব্দ পাই। পরে ব্যাগ খুলে দেখি একটি কন্যা নবজাতক কাঁদছে। তখন নবজাতকের শরীরে রক্ত লেগেছিল ও নাড়ি কাটা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে নবজাতক জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই এখানে ফেলে রেখে গেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে লোকজন জড়ো হয় এবং থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর্মী এসে জানায় নবজাতক সুস্থ আছে। পরে নবজাতকটিকে এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল হোসেন ও পুলিশ স্থানীয় শহরবানু নামের এক নারীর জিম্মায় রেখে দেন।

উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, নবজাতকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, নবজাতক উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীও গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছিলেন নবজাতক সুস্থ আছে। তাই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশ শহরবানুর নামে এক নারীর কাছে নবজাতককে জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, নবজাতককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।

পিএইচ

কাফনের কাপড়, দা, গোলাপ জলসহ চিরকুট পাঠিয়ে যুবদল নেতাকে হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ণ
কাফনের কাপড়, দা, গোলাপ জলসহ চিরকুট পাঠিয়ে যুবদল নেতাকে হুমকি

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়ের টুকরো, দা, চিরকুট, গোলাপ জলসহ দাফনের জিনিসপত্র রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। চিরকুটে লেখা হয়, ‘তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ।’

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোরে উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজান সরদার ও তাঁর ভাতিজা যুবদলের সদস্য আবু তাহেরের বাড়ির সামনে দাফনের এসব জিনিস পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁরা মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, পাশাপাশি দুটি বাড়িতে থাকেন বিএনপি নেতা শাহজাহান সরদার ও যুবদল নেতা আবু তাহের। প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাতে তাঁরা বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। আজ ভোরে শাহজাহান মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্য ঘর থেকে বের হলে দেখেন, উঠানের সামনে বেলগাছে একটি সাদা প্যাকেট ঝুলছে। প্যাকেটটি নামিয়ে দেখেন, সেটির ভেতরে দুই টুকরা কাফনের কাপড়, দা, গোলাপ জল। ভেতরে একটি চিরকুট, আতর, আগরবাতি, সুরমাসহ দাফনের যাবতীয় জিনিসপত্র। চিরকুটে লেখা ‘তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ’। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ ঘটনায় শাহজান সরদার বলেন, ‘ভোরে প্যাকেটে কাপড়ের টুকরো, দা, চিরকুট দেখে আতঙ্কে আছি। বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করছে। এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পাড়া থেকে লোকজন আমাদের বাড়িতে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি নেতা ও থানায় অভিযোগ করেছি। ধারণা করছি, ২০২১ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার বাড়িতে হামলা করেছিলেন। হত্যা করতে ব্যর্থ হওয়াতে এখন তারা নতুন করে পরিকল্পনা করছে। রাজনীতিক আধিপত্য বিস্তার করছে এই হুমকি দিয়েছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।’

কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলেও শাহজাহানের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। নেতৃত্ব দিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এখন তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে ত্রাস সৃষ্টি ও হুমকি ‍দিতে এই কাজ করেছে। এই ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা থানাতে একটা অভিযোগ দিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১:২৬ পূর্বাহ্ণ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। এখন গেজেট বহাল আছে। গেজেট যেহেতু বহাল আছে বিধায় নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ষষ্ঠ নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)। নির্বাচন ভবনে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ অবজারবেশনসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যে রায় দিয়েছেন, তা কমিশন সভায় বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। আপিল বিভাগ এখানে আমাদের ইসির স্বাধীনতা এবং সুপ্রিমেসি অন ইলেকশন ম্যাটার্স এস্টাবলিস্ট করেছেন ফারদার এবং এখানে পাঁচটি ডিএলআরের রেফারেন্স দিয়েছেন। আমরা ডিএলআরের রেফারেন্স দেখেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ভারসেস ইলেকশন কমিশনের মামলা। ডিএলআরের আরেকটি রেফারেন্স হচ্ছে- মাহমুদুল হক ভারসেস এনায়েত উল্লাহ দেওয়া হয়েছে। এই ডিএলআর-এর রেফারেন্সগুলোতে যেটা বলা আছে, নির্বাচন প্রসেস শুরু হয় তফশিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে। এজন্য আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে বিধায় নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’

ইশরাকের বিষয়টি তাহলে কী হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি যে, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে গেজেট পাবলিশ করা। শপথের ব্যাপারটি স্থানীয় সরকারের। সিটি করপোরেশনের আইনে পরিস্কারভাবে বলা আছে কারা এটা বাস্তবায়ন করবে।’

তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি আমাদের চিঠির মাধ্যমে, এখানে যদি কোনো আইনি জটিলতা না থাকে অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যখন আমরা গেজেটটা করেছি, তার কাভার লেটারেই এটা দেয়া আছে।

আবার কি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা আপিল বিভাগকে কোনো চিঠি দেবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা কোনো প্রয়োজনই অনুভব করছি না। ২৭ এপ্রিল এ বিষয়ে কমিশন ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে।

গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মদ্যপ অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে ওই বিএসএফ সদস্য। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্য শ্রী গণেশ ভারতের নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।

বিএসএফ সদস্যকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিএসএফের ওই সদস্যকে আটকে রেখে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চাচ্ছে গ্রামবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্য বলেন, আমি ভয় দেখাতে ঢুকেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক তরুণ বলে ওঠেন, তুই কি ডন, তুই কি হিরো, দেখ আজকে তোকে কি অবস্থা করি।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ জানান, জহুরপুর পিলার ১৯-এর সাবপিলার ৫-এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় গরু ও ছাগল চরানো অবস্থায় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং পশু ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন।

৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আটক সদস্যকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।