খুঁজুন
বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৫ মাঘ, ১৪৩১

ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

৭ কলেজের ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
৭ কলেজের ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল নয়টা থেকে নিজ নিজ কলেজের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।

সংঘর্ষের পর রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।

সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি ছিল চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেটি করেনি। উল্টো ধারণ ক্ষমতার অধিক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা এসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি দিয়েছি। সবশেষ ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। এর প্রতিবাদে আমরা নীলক্ষেত তোরণের নিচে অবস্থানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবিও জানান আব্দুর রহমান।তিনি বলেন, সাত কলেজকে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে। প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ঢাবি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে।

এ সময় ঢাকা অবরোধের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন।

মূলত রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, রোববার বিকালে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

এর জেরে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন। ঢাবি প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজে প্রবেশ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম অনুযায়ী ঢাবির উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাননি। আমরা সব শিক্ষার্থী মিলে উপ-উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করতে যাব।

এরপর ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার মুক্তি ও গণতন্ত্রের তোরণের কাছে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য সাত কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরও এসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।তবে উপ-উপাচার্য ক্ষমা না চাইলে সেখান থেকে যাবেন না জানিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এএফ রহমান হলের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থানের এ পর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেতের দিকে চলে যান। পরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। পরবর্তীতে রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে তারা আবার পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

পরে রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীদের থামাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আসেন। তিনি ঢাকা নীলক্ষেত মোড় থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর হাসনাত উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে নিজেই উভয়পক্ষের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন। পরে তিনি সংঘর্ষ এলাকা ছেড়ে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান।

অন্যদিকে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে এসে অবস্থান নেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করতে দেখা যায়। রাত ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা সংঘর্ষ থেমেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে বিকালে শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা করতে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে যান। অধ্যাপক মামুন আহমেদ দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন। তবে সে অনুরোধ উপেক্ষা করে সবাই কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। এসময় ‘মব’ সৃষ্টি অধ্যাপক মামুন তাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে তারা বেরিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের যাত্রীরা। এ অবস্থায় আন্দোলনরত কর্মচারীদের কর্মবিরতি থেকে সরিয়ে আনতে তাদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কিন্তু দুই ঘণ্টা আলোচনা করেও কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক থেকে উঠে গেছেন নেতারা।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব-মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি বলে ওই বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা আছে, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় আছি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

এর আগে, ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন মাননীয় উপদেষ্টা।

এদিকে রেল কর্মচারীদের আর কোনো দাবি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি, তা যতটুকু সম্ভব পূরণ করা হয়েছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে কেন? মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি।

তিনি বলেন, ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।

অন্যদিকে আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে পিছু হটবেন না তারা। অথচ অগ্রীম টিকিট কেটে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছে যাত্রীরা। তবে বিআরটিসি বাস সার্ভিস কতোটুকু সাপোর্ট দিতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ৭ কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:১১ অপরাহ্ণ
আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ৭ কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা

দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহিদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়েরও ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।

জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৩ অপরাহ্ণ
জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে ৫ আগস্টের মতোই পরিণতি হবে। জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে কী হয়, তারই প্রমাণ সেদিন হয়েছিল। মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চাইছে। এই আস্থা যারা নষ্ট করবে তারা ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, অন্যায় বা খারাপ কাজ করলে যেকোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না বিএনপি। বিএনপি জনপ্রিয় কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। ফলে জনগণের সাথে থাকতে হবে এবং সঙ্গে রাখতে হবে। আজ মঙ্গলবার খুলনায় বিএনপির কর্মশালায় দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, কারো পক্ষে একাকী সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাইতো বিএনপি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়।

তিনি বলেন, ধর্ম কোনো পরিচয় নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা বাংলাদেশি। মুসলমানদের জন্য যে আইন, হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যও সেই আইন বাংলাদেশে।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির এই ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমঅধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে। এতে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কাজী আলাউদ্দীন, ডা. শহিদুল আলম, বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জাবিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য আতিকর রহমান রুমন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার বানু, মাহবুবা হাবিবা, বজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদস্য সচিব আব্দুল আলিমসহ অনেকে।