সিএ প্রেস ইউং ও বাংলাদেশ
মার্কিন সহায়তা বন্ধ নিয়ে কিছু গণমাধ্যমের খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে

বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিতের বিষয়ে বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ নামে ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, ‘সম্প্রতি এক নির্বাহী আদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব দেশের জন্য মার্কিন সাহায্য রিভিউ করার লক্ষ্যে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম শিরোনাম শুধু বাংলাদেশ শব্দটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি এড়াতে গণমাধ্যমসমূহের কাছে আরো স্পষ্টতা প্রত্যাশা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এরপরই এই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। দেশটির ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে এই তথ্য জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ইউএসএইডের অধিগ্রহণ ও সহায়তা তত্ত্বাবধায়ক চুক্তি কর্মকর্তা ব্রায়ান অ্যারন স্বাক্ষরিত মার্কিন সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ বাস্তবায়নকারী সব অংশীদারদের চুক্তি, কার্য আদেশ, অনুদান, সমবায় চুক্তি বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা স্মারকের অধীনে সম্পাদিত যেকোনো কাজ অবিলম্বে বন্ধ অথবা স্থগিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
ফাঁস হওয়া এই নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে সব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্র ও শাসন, মৌলিক শিক্ষা এবং পরিবেশগত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশে ইউএসএআইডি কর্মসূচি এশিয়ার বৃহত্তম। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএসএআইডি বাংলাদেশে বড় ধরনের মানবিক সহায়তা তদারকি করে। তবে এই আদেশের প্রভাব জরুরি খাদ্য সহায়তার ওপর নাও পড়তে পারে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন