খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ, ১৪৩১

রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যা, ২ জনের ফাঁসি ৬ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যা, ২ জনের ফাঁসি ৬ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ীর পাংশায় বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেয়ে দেখানোর কথা বলে ডেকে এনে শাফিন খান ওরফে শাফি (৪০) কে হত্যার দায়ে ২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

অভিযুক্ত কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া বারইপাড়ার মৃত ছালাম মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লা ওরফে আরিফুজ্জামান আরিফ (পলাতক), মধ্য আমবাড়িয়ার মৃত ইব্রাহিম প্রামানিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামানিকের অপরাধ সংঘটনে দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় প্রত্যেককে মৃতু্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়াও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের মুরাদ আলী মন্ডলের ছেলে সামাদ মন্ডল, মোঃ শাজাহান প্রামানিকের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রামানিক, পাবনা জেলা সদরের কন্ঠগজরা (চর) আকাই কাজীর ছেলে রশিদ কাজী, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার আমবাড়ীয়া বাড়ইপাড়ার মৃত আঃ ছাত্তার মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা, মোঃ আবুল হোসেন ওরফে আবু মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা, মৃত মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং অপর অপরাধের জন্য তাদের প্রত্যেককে সাত বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

এ মামলা থেকে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার আমবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আক্কাস আলীর ছেলে সেলিম রানা, মৃত ঈমান আলী মোল্যার ছেলে রতন মোল্লা, ভবানীগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রহিম মাষ্টারের ছেলে সুমন ওরফে কবিরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় অভিযোগের দায় হতে খালাস প্রদান করা হয়। রায়ের সময় আরিফ মোল্লা আরিফুজ্জামান আরিফ ও রশিদ কাজী আদালতে উপস্থিত ছিল না।

সোমবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় প্রদান করেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার আমবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্কার খান ওরফে বক্কার খানের ছেলে শাফিন খান ওরফে শাফি দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। দেশে ফিরে মাটি ও বালুর ব্যবসা শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার সময় ডেকে নিয়ে যায়। ১৭ ডিসেম্বর দুপুর দেড় টার সময় রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চরঝিকড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দিন মন্ডলের আখক্ষেত থেকে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ ফরিদ হাসান খান বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত পুর্বক ১১জনের বিরুদ্ধে চার্জশীর্ট প্রদান করেন।

রাজবাড়ী জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক(২) বলেন, বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেয়ে দেখানোর কথা বলে ডেকে এনে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। রায়ে ২জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল এক বিপদ। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে একটি গ্রহাণু, যার নাম ২০২৪ ওয়াইআর৪। ব্যাস প্রায় ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট)। এই গ্রহাণু আগামী ২০৩২ সাল নাগাদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে বলে শঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিষয়টি জানিয়েছে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, সম্ভাব্য দূরত্ব ধরা হচ্ছে মাত্র ১,০৬,২০০ কিমি। তবে এর কক্ষপথের হিসাব-নিকাশে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকায় এটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত হানার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১/৮৩। যা ২০০৪ সালের পর থেকে আবিষ্কৃত গ্রহাণুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং নাসার সেনট্রি রিস্ক টেবিলে এটি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণুর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।

নাসার অ্যাটলাস প্রোজেক্টের টেলিস্কোপ প্রথম এটি শনাক্ত করে। পরে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত করা হয়।

পৃথিবীবাসীর কি ভয় পাওয়া উচিত ?
এই গ্রহাণু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই— জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত পৃথিবীকে অতিক্রম করে চলে যাবে। নাসার গবেষক ডেভিড র‍্যাঙ্কিন বলেছেন, ‘মানুষকে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সম্ভাব্য প্রভাব খুবই কম, এবং সর্বোচ্চ সম্ভাবনা হলো এটি আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।’

পৃথিবীতে আঘাত হানলে কী ঘটতে পারে?
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি হয় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে একটি বিশাল ‘এয়ারবার্স্ট’ সৃষ্টি করবে, যা ভয়ংকর বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিশাল এলাকার ক্ষতি করতে পারে। না হলে এটি সরাসরি ভূমিতে আঘাত হানার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় সংঘটিত টুঙ্গুস্কা বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যেখানে প্রায় ৮০ মিলিয়ন গাছপালা ধ্বংস হয়েছিল এবং বিস্ফোরণের শক্তি ছিল প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন টিএনটি’র সমান। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সেখানে একটি ১০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু আঘাত করেছিল বলে ধরা হয়। আর ২০২৪ ওয়াইআর৪ তার চেয়েও ৬ গুণ বড়।

এটি কোথায় আঘাত হানতে পারে?
বর্তমান কক্ষপথের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সম্ভাব্য ‘ইম্প্যাক্ট করিডর’ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে সাব-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, কেননা এই গ্রহাণুর কক্ষপথ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ২০২৮ সালে এটি আরও একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে, তখন আরও নিখুঁত পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে।

আমরা কি তাহলে নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ ওয়াইআর৪ আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। গ্রহাণুর আকার ও গঠনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি যদি আয়রন-সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি ভূ-পৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে, কিন্তু যদি এটি পাথুরে হয়, তাহলে বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এখন বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ আরও সুস্পষ্ট করার জন্য কাজ করছেন। ২০২৮ সালের পর্যবেক্ষণে এটি আসলেই পৃথিবীতে আঘাত হানবে কিনা, তা বোঝা যাবে আরও ভালোভাবে।

ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তাটা দিয়ে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ১৪৪ রানের টার্গেট ১৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল ক্যারিবীয় মেয়েরা। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ক্যারিবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬ উইকেটে ২০১ রান। যার জবাবে ৯ উইকেট খরচ করে ৯৫ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফলে ১০৬ রানের হারের সঙ্গে সিরিজটাও হেরেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার। এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের মাঠে সিরিজের ১৩২ রানে হেরেছিল টাইগ্রেসরা। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানে হারের রেকর্ড নারী দলের। এদিন অবশ্য আরও একটি রেকর্ড হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে ২০০ রানের বেশি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

সেন্ট কিটসে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয় ক্যারিবীয় মেয়েরা। কুইয়ানা জোসেফ ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রানের পথে রেখে যান। পরে ডিয়ান্ড্রা ডটিনও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান। ২০ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন বিস্ফোরক ৪৯ রানের ইনিংস। যার সুবাদে ৬ উইকেটে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায় ক্যাবিরীয়রা।

বিশাল এই রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভবই ছিল। তবে দেখার ছিল কতটা লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ। এদিন সেটিও পারেনি জ্যোতির দল। রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে শারমিন আক্তারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৯৫ রানে।

হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও নানাবিধ দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন। রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার মূল পোস্টে লেখেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লেখেন, অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসত নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

তিনি আরও লেখেন, ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব নেতাকর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সব শহিদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।

হাসনাতের পোস্টের কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।