খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ, ১৪৩১

এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদন

ব্রি. আযমীকে হত্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন হাসিনা, তবুও বেঁচে যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
ব্রি. আযমীকে হত্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন হাসিনা, তবুও বেঁচে যান

২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজ ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। সে সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করা হয়।

পরে আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি একাধিকবার দাবি করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তা পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।

দীর্ঘ ৮ বছর পর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে গত ৭ আগস্ট বাড়ি ফিরেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমী। হাসিনার পলায়নের পর আযমীসহ অনেকেই আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান।

এদিকো গোলাম আজমের মেজ ছেলেকে হাসিনা সরাসরি গুম-খুনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সোমবার এইচআরডব্লিউ প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভ্যুলুশন-এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক সেনা কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘরে আযমীর বন্দি থাকা ও তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে শেখ হাসিনা সরাসরি অবগত ছিলেন। তিনি (আযমী) ফেলো মিলিটারি অফিসার হওয়ায় তার মুক্তির বিষয়ে বারবার শেখ হাসিনার কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিবারই তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি (শেখ হাসিনা) আযমীকে হত্যার পরামর্শ দেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, আমি তেমনটি করিনি। তবে এরপর আমি তার মুক্তির বিষয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেই।

নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের নির্যাতন বা ক্ষমতার অপব্যবহার অংশে গুম তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশন গঠনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় কমান্ড কাঠামো ছিল। যার দেখাশোনা করতেন শেখ হাসিনা নিজে ও তার শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এ তালিকায় অন্যতম ব্যক্তিরা হলেন- মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকা কর্মকর্তারা এইচআরডব্লিউকে বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সিনিয়র সদস্যরা আটকের বিষয়ে জানতেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ করা হতো না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম এবং হত্যাকাণ্ড অংশে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরেই, জোরপূর্বক গুমের শিকার তিনজন- মাইকেল চাকমা, মীর আহমেদ বিন কাসেম (আরমান) এবং আবদুল্লাহিল আমান আজমী মুক্তি পান। তিনজনের ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাদের আটক রাখার কথা অস্বীকার করে আসছিল। কিন্তু মুক্তির পর তারা সবাই সাংবাদিকদের নির্জন কারাগারে রাখার কথা জানিয়েছেন। এমনকি সেখানে অন্য বন্দিদের কথা শুনতে পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

২০১৬ সালের আগস্টে আযমী ও আরমানের সঙ্গে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে আটক করা হয়। তারা তিনজনই বিরোধী দলের নেতার ছেলে, যাদের পিতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার ও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মামকে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয় যে, তিনি তার বেআইনি আটকের বিষয়ে চুপ থাকবেন।

নরসিংদীর রায়পুরাতে মসজিদে নামাজের পরই গুলি

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর রায়পুরাতে মসজিদে নামাজের পরই গুলি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজল মেম্বার এলাকার একটি মসজিদ থেকে বের হলেই গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আজ (৩০ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় মার্কাস মোড়ে এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারৈচা-রায়পুরা সড়কের পাশে অবস্থিত একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হলে এ সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে। একটি সিএনজি যোগে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনায় রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আদিল মাহমুদ বলেন, উনাকে গুলি করেছে ঘটনা সত্য। কে বা কাহারা করেছে এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। আমরা তদন্তে আছি। কাজল মেম্বরের সাথে আমার কথা হয়েছে মনে হয় উনি কিছুটা ভালো আছে। দোয়া করি মহান আল্লাহ পাক উনাকে সুস্থ করে নিয়ে আসুক।

সিরাজগঞ্জে আন্তঃকলেজ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বেলকুচি সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে আন্তঃকলেজ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বেলকুচি সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন

বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি বিকালে সিরাজগঞ্জের শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আন্তঃকলেজ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বেলকুচি সরকারি ডিগ্রি কলেজ ৪-০ গোলের ব্যবধানে কাজিপুর উপজেলার আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিজয়ী ও বিজিত দলের খেলোয়াড়, কোচ,ম্যানেজারদের মধ্যে মেডেল এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ ট্রফি বিতরণ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক গণপতি রায়ের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের, আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহসিন রেজা,জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ নুরে এলাহী, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ খান হাসান, জেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয় সম্পাদক সাবেক কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় হেদায়েতুল ইসলাম ফ্রুট,ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল্লাহ, আলামিন সেখ সহ প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ আন্তঃকলেজ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে আটটি কলেজ অংশ নেয়। নক আউট পদ্ধতিতে খেলা পরিচালিত হয়।

টুর্নামেন্টে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন আজমহর আলী,হাফিজুল ইসলাম, রেজাউল করিম খোকন,
আবু হানিফ ও মোখলেছুর রহমান।

টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ছিলেন হারুন অর রশিদ খান হাসান,সদস্য ছিলেন হেদায়েতুল ইসলাম (ম্যাচ কমিশনার) ফ্রুট, আব্দল্লাহ, আলামিন শেখ ও হামিদুল হক খোকন।

ধারা বর্ণনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ লাখ টাকার ফোন রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় বিএনপি নেতা বহিস্কার

মোঃ নাসির উদ্দিন জুয়েল,বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
পাঁচ লাখ টাকার ফোন রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় বিএনপি নেতা বহিস্কার

পটুয়াখালী জেলাধীব,দুমকি উপজেলায়,বহুল আলোচিত ও বিভিন্ন মিডিয়ায় চাঁদা দাবির কল রেকর্ড ফাস হয়েছে। “পোলাপান আছে বোঝেন না? “পাঁচ লাখ তো চাইছি” দুই লাখ দিয়েন”।

এমন কথোপকথন দিয়ে শুরু হওয়া জাকিয়া বেগম টিয়ার কাছে চাঁদা চাওয়া দুমকি উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা অলিউর রহমানের ফোন রেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় গত ২৯ শে জানুয়ারি রোজ বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আতিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একপ্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পটুয়াখালী জেলার সভাপতি মো:মতিউর রহমান মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনায়েত হোসেন মোহন এর সিদ্ধান্তে দলীয় শৃঙ্খলা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুমকি উপজেলা শাখার সদস্য মোঃ অলিউর রহমানের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এবং দলের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি জাকিয়া বেগম টিয়া নামক এক মহিলার কাছে মোঃ অলিউর রহমানের চাঁদা চাওয়ার ফোন রেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় দুমকি উপজেলায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।এরই প্রেক্ষাপটে তাকে দল থেকে বাদ দেয়ার কারন স্পষ্ট হয়।