খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ, ১৪৩২

ভোটার হালনাগাদ : জন্ম-মৃত্যু সনদ ইস্যু করার নির্দেশ ইসির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
ভোটার হালনাগাদ : জন্ম-মৃত্যু সনদ ইস্যু করার নির্দেশ ইসির

চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে হয়রানি কমাতে জন্ম ও মৃত্যুসনদ সরবরাহের জন্য জন্ম ও মৃত নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের রেজিষ্টার জেনারেলসহ জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্ নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, দেশব্যাপী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের লক্ষ্যে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক। কিন্তু বর্তমানে জন্মসনদ ইস্যুকারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জন্মসনদ পেতে জনগণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হালনাগাদের আরেকটি বিষয় মৃত ভোটার কর্তন। মৃত ভোটার কর্তনের ক্ষেত্রে পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশদের সহায়তা নেওয়া হতো।

এই অবস্থায়, জরুরিভিত্তিতে জন্ম ও মৃত্যুসনদ ইস্যু করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান এবং মৃত ভোটার তথ্য গ্রাম পুলিশদের মাধ্যমে সংগ্রহপূর্বক তা ভোটার তথ্য সংগ্রহকারীদের নিকট হস্তান্তর করার নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারি তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

জানাগেছে, এই কাজে ৬৫ হাজার লোকবল নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। তারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।

অন্যদিকে ২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। বাড়ি বাড়ি হালনাগাদে ১৯ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় যোগ হতে পারে।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালানাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার‌্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে-
ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
খ) জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
গ) নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)

ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
ক) নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সাথে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে
খ) জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

এক সতর্কবার্তায় ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।

রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

বিগত ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মাফ করেছেন, তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

এর আগে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

ওই নোটিশে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজন দণ্ড পাওয়া আসামির কারাদণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করেছেন, সেই তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন, তা জানার অধিকার আছে। কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি বহু অপরাধী, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া অপরাধীরা জেল থেকে বেরিয়ে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাষ্ট্রপতি কোন প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড মওকুফ করেন, দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, সেটা মানুষের জানা দরকার।

কিন্তু, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আওতাধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। একটি চিঠির মাধ্যমে তাদের এনআইডি লক করা হয় বলে আজ সোমবার নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

নথিপত্র অনুযায়ী, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। তবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সরাসরি নির্দেশ ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে তারা হলেন, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙা হবে, কাজগুলো শুরুও হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা : সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক নগর সংলাপে এ কথা জানান তিনি।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভবনগুলো আংশিক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।

তিনি জানান, রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এই ভবনগুলোর যেটুকু অংশেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলবো। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাব। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক, তাদের নিয়মের মধ্যে আনবো। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন কাজে আসবে না। সবকাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক, সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছে সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেবো। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবো।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হেলিমুল আলম বিপ্লবের প্রকাশিত ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত “Dhaka’s Canals on Their Dying Breath, An In-Depth Look at How the capital’s Waterways Are Being Choked” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।