খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ, ১৪৩২

খালি পেটে দুধ চা নয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ অপরাহ্ণ
খালি পেটে দুধ চা নয়

সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা পানে অভ্যস্ত অনেকেই। চা প্রেমীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দুধ চা পান করতে বেশি পছন্দ করেন। আর সেই সুবাদে ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই ফ্রেশ হয়ে দুধ চা পান করেন অনেকেই। তবে এই অভ্যাস ভালো নাকি বিপজ্জনক তা কি জানা আছে আপনার?

যদিও চা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান শরীরে প্রদাহের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া চায়ে এমন কিছু উপাদান যা ব্রেনে হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ বাড়ায়। তাই চা পান করলে মনে মনে খুশির অনুভূতি জাগে। এমনকি কাজে মনোসংযোগ করতেও খুবই সুবিধা হয়।

তবে খালি পেটে দুধ চা পান না করাটাই নাকি বুদ্ধিমানের কাজ, এমনটিই জানাচ্ছেন ভারতের পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরি। তার মতে, খালিপেটে দুধ চা পান করার অভ্যাস গ্যাস-অ্যাসিডিটির প্রকোপ বাড়াবে। এতে করে ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যার ঝুঁকিও বাড়বে। তাই এই বদঅভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন।

কোয়েল পাল চৌধুরির মতে, দুধ চা পানের তুলনায় লিকার চা পান করা বহুগুণে স্বাস্থ্যকর। এমনকি সকালে খালিপেটে লিকার চা পান করলে শারীরিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার ঝুঁকিও তেমন থাকে না বললেই চলে। তবে লিকার চায়ে আবার বেশি চিনি মেশাবেন না। এই ভুলটা শুধরে নিলেই ওজন বশে রাখতে পারবেন। এমনকি কন্ট্রোলে থাকবে ডায়াবেটিসও।

দুধ চা কখন পান করবেন?
অনেকের দুধ চা ছাড়া চলে না। সেক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে ১ কাপ দুধ চা পান করতে পারেন। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অতটা হবে না। আর দুধ চা তৈরির ক্ষেত্রে লো ফ্যাটযুক্ত দুধ ব্যবহার করুন। এই নিয়ম মেনে চললে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবার কোলেস্টরলও থাকবে বশে।

দিনে কত কাপ চা পান করবেন?
রং চা দিনে ৩-৪ কাপ পান করতে পারেন, অন্যদিকে দুধ চা ২ কাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন। এতে করে শরীরের তেমন ক্ষতি হবে না। এর বেশি রং চা বা দুধ চা পান করলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে লিভার ও কিডনির মতো অঙ্গেরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বাড়তে পারে দুশ্চিন্তা ও অবসাদ।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।

বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির পৌর সদরে অবস্থিত বেলকুচি শ্রীমন্মাহাপ্রভুর আখড়ার নব গঠিত মূল কমিটির অভিষেক, সংবর্ধনা ও শপথ পাঠ এবং প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে অত্র কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সাধারন সম্পাদক শ্রী দুলাল চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় ও সভাপতি শ্রী হেমেন্দ্র নাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের বাহুকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পরম বৈষ্ণব সমর কুমার মন্ডল।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি নিমাই চন্দ্র সাহা, সুব্রত পাল (এস পাল), বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি জয় শংকর সাহা, সাধারণ সম্পাদক রনি কুমার মিত্র, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বৈদ্য নাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমৃত নারায়ন দে, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি অসিত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিতাই সাহা প্রমূখ।

এসময় প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভায় তার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দেশ ও সমাজের কল্যাণ ও শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ শহরে ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৭’শতাধিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকার  নিউ ঢাকা রোডের রেলগেট এলাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ওই এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরমভাবে  জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন ও সদর আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মারুফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

বিক্ষোভ রত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির আদেশ দেন।  এতে কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পেশাগত বৈষম্য আরও গভীর হয়েছে। এজন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে।

তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো—- ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল; কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের দিয়েই কারিগরি পদে নিয়োগ; বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন; প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে সুযোগ দেয়া এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের যোগ্যতা হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নির্ধারণ।

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির জানান, এত ছাত্রের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধের বিষয়টি পূর্বে থেকে আমাদের জানা ছিল না। যে কারণে ওই সড়কে চলাচল কারীদের  দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরে আর্মি ক্যাম্পের একটি পেট্রোল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত, শীর্ষ তিনসহ আরও যেসব দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত, শীর্ষ তিনসহ আরও যেসব দেশ

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে ভারত। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত নিউজউইকের এক রিপোর্টে উঠে আসে এ তথ্য।

নিউজউইকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন ও জনমত জরিপের মিশ্রণ থেকে এই র‍্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়েছে।

তালিকার সবচেয়ে ঘৃণিত দেশগুলোর মধ্যে দশম অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় উত্তেজনা, সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ নানা কারণে বিশ্বব্যাপী ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন। এরজন্য দেশটিতে কর্তৃত্ববাদী শাসন, ব্যাপক সেন্সরশিপ ও বিশ্বব্যাপী দূষণে ভূমিকার জন্য দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। চতুর্থ স্থানে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া।

গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েল রয়েছে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম অবস্থানে জায়গা পেয়েছে পাকিস্তান, ইরান, ইরাকের মতো দেশগুলো। এছাড়াও, নবম-দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া ও ভারত।