খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৩ মাঘ, ১৪৩১

রাজধানীতে পৃথকভাবে ৫টি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে পৃথকভাবে ৫টি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

রাজধানীর ভাটারা, হাজারীবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর থেকে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ পাঁচ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুঃ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে চকবাজার থেকে ওয়ার্কশপ শ্রমিক মোঃ রাকিব(১৯)ও ফটোগ্রাফার সাজ্জাদ আলী নয়ন(২৪),কামরাঙ্গীরচর থেকে শিক্ষার্থী সারিকা হোসেন নাবিলা (১৩),ভাটারা থেকে রিক্সাচালক ইউনুস আলী (৫৭),এবং হাজারীবাগ থেকে গৃহবধু রুপা আক্তার (২৬)।

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)জিল্লুর রহমান বলেন,
নিহতের পরিবার ও তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,নিহত রাকিব বিগত কয়েকদিন যাবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিল।প্রায় সময়ই সে আনমনা হয়ে চলাফেরা করতো।তার কি হয়েছে এ বিষয়ে পরিবারের কেউ জিজ্ঞেস করলে সে কোন কিছুই উত্তর দিত না।গতরাতে সে নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়ে।পরে পরিবার স্বজনরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দিলে আমরা রাকিবের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।এবং সে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতে বলে পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছে।

অপরদিকে চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কাউছার বলেন,
আমরা খবর পেয়ে হোসনি দালান রোডের ছয়তলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি।পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারি,সে নাটক সিনেমা ফটোগ্রাফির কাজ করতো। ঘটনাস্থলের অফিসটিতে তার ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতো। তবে কি কারণে সে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে এ বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান এসআই কাউছার।সে বংশাল এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতো বলে জানতে পেরেছি।

অপর ঘটনায় হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন,
গৃহবধূ রুপা নিজের ঘরে ভিতর থেকে দরজা লক করে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে। পরে তার শাশুড়ি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান রুপার বেঁচে নেই। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) ইমরান হোসেন বলেন,
কার নাকি চরের খালপাড় অটো স্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সারিকা হোসেন লাবিবার মরদেহ উদ্ধার করি।পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত। এখানে তার লেখাপড়া ভালো লাগতো না।এ কারণে তার বাবা তাকে রাগারাগি করে।পরে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পারি।

অপর ঘটনায় ভাটারা থানার উপপরিদর্শক(এসআই)মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন,
আমরা খবর পেয়ে ভাটারার নূরের চারা এলাকার নাসির উদ্দিনের টিনশেডের বাসা থেকে রিক্সা চালক ইউনুস আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই অনেক সিগারেট খেয়ে আশেপাশে ফেলে রেখেছে।তার স্ত্রী বাসা বাড়িতে কাজ করে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি কোনো কারণে সে হতাশাগ্রস্ত ছিল। হয়তোবা এ কারণেই সে এ ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।নিহতের স্ত্রীও এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে পারেনা।ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান এসআই আসাদুজ্জামান।

রাজারহাটে চতুর্থ শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

মোঃ রেজাউল হক, স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ
রাজারহাটে চতুর্থ শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউপির চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া এক মেয়েশিশুকে (১১) ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার নাম আবুল কালাম (৫৫), পিতা মৃত ছমর উদ্দিন।

জানা যায়, কৌশলে নাবালিকা মেয়েকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ০৪/০২/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় মেয়ের বসত বাড়ীর পশ্চিম দিকে সুপারী বাগানের ভিতরে নিয়ে যাইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়ের পরিহিত পায়জামা, কামিজ খোলার সময় নাবালিকা মেয়ে নিষেধ করার পরও উক্ত আসামী তাহা খুলে ফেলে এবং জোর পূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করেন।

পরে মেয়ে চিৎকার করার সময় উক্ত আসামী মেয়ের মুখ চেপে ধরে। ধস্তা-ধস্তির এক পর্যায় আসামীর হাত মেয়ের মুখ থেকে সরে গেলে মেয়ের চিৎকার শুনিয়া, মর্জিনা বেওয়া (৬৫) হাফিজুর ইসলাম (২৬) আব্দুস সালাম (৫৫) মোছাঃ আমেনা বেগম (২৫) সর্ব  ইউপিঃ উমর মজিদ কুড়িগ্রামগন সহ বহু লোকজন আগাইয়া আসিলে উক্ত আসামী পরিস্থিতি খারাপ দেখিয়া দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। তার পরেই মেয়েকে নিয়ে জেনারেল হাসপাতাল কুড়িগ্রাম সদরে চিকিৎসার ব্যস্থা করেন। 

উপরোক্ত ঘটনার বিষয় তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে নির্যাতনের শিকার শিশুর মা বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে চিটাগং

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে চিটাগং

শেষ ওভারে দরকার ১৫ রান কিন্তু স্বীকৃত ব্যাটার কেউ নেই। ক্রিজে আরাফাত সানি আর আলিস আল ইসলাম। তরুণ মুশফিক হাসানের হাতে বল তুলে দেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম বলে বাউন্ডারি আর দ্বিতীয় বলে দুই নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন আরাফাত সানি।

৪ বলে তখন লাগে ৯ রান। তৃতীয় বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। নেমেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল ইসলাম। শেষ দুই বলে জিততে লাগে ৪। পঞ্চম বলে শরিফুুলকে ফেরান মুশফিক হাসান।

মিরপুর শেরে বাংলায় তখন পিনপতন নীরবতা। শেষ বলে কী হবে? আলিস আল ইসলাম রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফিরেন মাঠে। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনিই চিটাগং কিংসের জয়ের নায়ক।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সকে শেষ বলে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে চিটাগং কিংস। ৭ ফেব্রুয়ারি শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল।

ফাইনালে উঠতে চিটাগংয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬৪ রানের। খাজা নাফে উড়ন্ত সূচনা করলেও পারভেজ হোসেন ইমন আর গ্রাহাম ক্লার্ক সমান ৪ রান করে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফিরে যান।

তৃতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭০ রান যোগ করেন দুই পাকিস্তানি খাজা নাফে আর হুসাইন তালাত। তখন পর্যন্ত ম্যাচ চিটাগংয়ের পক্ষেই ছিল। ২ উইকেটে রান ছিল ১০৫। এরপরই হুট করে ভেঙে পড়ে চিটাগংয়ের ইনিংস।

২৫ বলে ৪০ করে নাসুম আহমেদের শিকার হন তালাত। নিজের পরের ওভারে শামীম পাটোয়ারীকেও (৭ বলে ৫) তুলে নেন নাসুম।

৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করে হাঁটু গেড়ে মুশফিক হাসানকে মারতে গিয়ে বোল্ড হন খাজা নাফে। একই ওভারে মুশফিক ফেরান খালেদ আহমেদকে (০)। ১২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে চিটাগং।

অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনও হাল ধরতে পারেননি। সেখান থেকে শেষদিকে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন আরাফাত সানি আর আলিস আল ইসলাম। সানি ১৩ বলে ১৮ আর আলিস ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

হাসান মাহমুদ আর মুশফিক হাসান নেন তিনটি করে উইকেট।

এর আগে খুলনা টাইগার্সের ৪২ রানে ছিল না ৪ উইকেট। রানরেটও ভালো ছিল না। কিন্তু মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আর সিমরন হেটমায়ারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিপদ কাটিয়ে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই গড়ে খুলনা।

মিরপুর শেরে বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে খুলনা টাইগার্স। প্রথম চার ব্যাটারের তিনজনই ফেরেন দশের নিচে। মেহেদী হাসান মিরাজ ২, অ্যালেক্স রস ০ আর আফিফ হোসেন করেন ৮ রান।

দুর্দান্ত ধারাবাহিক নাইম শেখ এবারের বিপিএলে পাঁচশো রান পূর্ণ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২২ বলে ১৯ করে খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে খুলনা।

সেখান থেকে হাল ধরেন সিমরন হেটমায়ার আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৫০ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেন তারা। ৩২ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ৪১ করে আউট হন অঙ্কন, দলকে ১১৫ রানে রেখে।

এরপর খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেওয়ার কাজটি করেছেন হেটমায়ার। ৩৩ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৬৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন ক্যারিবীয় ব্যাটার। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান সংগ্রহ করে খুলনা।

চিটাগং কিংসের বিনুরা ফার্নান্ডো ২৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ব্যাপক ভাঙচুরের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
ব্যাপক ভাঙচুরের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার সামনে এসে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্র-জনতা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে।

এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ (বুধবার) রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন তারা। এরপর বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। একই সঙ্গে প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ব্যাপক ভাঙচুর চালাচ্ছে ছাত্র-জনতা। অনেকেই বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এককথায় পুরো বিল্ডিংয়ের অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় তলার একাংশে দেওয়া হয়েছে আগুন। কেউ কেউ ভবনের দরজা সহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে যাচ্ছে। যদিও এর আগে ৫ আগস্ট ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আজকে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির সামনে ভাষণ দেবে। যে আমাদের ভাইদের গুলি করে দেশ থেকে পালিয়েছে, সে কী করে কর্মসূচি ঘোষণা করে। আমরা এ দেশে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার কোনো অস্তিত্ব রাখব না।’

একদল শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।

এছাড়া সন্ধ্যায় ‘ছাত্র-জনতা আন্দোলন’ নামে ফেইসবুকে বিভিন্ন পেজে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ খবর পাওয়ার পরপরই বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল উত্তেজিত জনতা।