খুঁজুন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১

যেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে দেওয়া হলো শেখ মুজিব ও হাসিনার নাম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে দেওয়া হলো শেখ মুজিব ও হাসিনার নাম

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর পরিত্যক্ত বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতেই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ম্যুরাল ভাঙচুর ও কিছু জায়গায় তাদের নামও পরিবর্তন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়ি ভাঙচুরের খবরও পাওয়া গেছে।

৩২ নম্বর বাড়ির পরই আগুন দেওয়া হয় ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও। এরপরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মূলত শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণা আসার ঘটনায় এর পাল্টা জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকাল ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয়। এরপর রাত ৮টার দিকে গেট ভেঙে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শত শত জনতা ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা হাসিনাবিরোধী স্লোগান দিয়ে লাঠিসোটা, রড ও শাবল হাতে ভাঙচুরে যোগ দেয়।

ব্যাপক ধ্বংসলীলার একপর্যায়ে বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পরও ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল।

ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন:
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ধ্বংসের পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নাম পরিবর্তন করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে এই নতুন নাম নির্ধারণ করেন।

রাবিতে ৪ আবাসিক হলের নামফলক ভাঙচুর:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শেখ পরিবারের সদস্য ও জাতীয় চার নেতার একজনের নামে থাকা সব স্থাপনার নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে দিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে চারটি আবাসিক হল ও একটি স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম দেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আলী রায়হান হল’ ও শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে ‘ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল’ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা হলের পরিবর্তে ‘নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী’ নাম দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন।

বেরোবিতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুধবার রাত ১০টার দিকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর আগে কারমাইকেল কলেজে থাকা ম্যুরালটিও ভেঙে দেওয়া হয়।

পাবিপ্রবিতে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙচুর:
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং ছাত্রীদের শেখ হাসিনা হলের নামফলক বুধবার রাতে ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী এ কাজ করেন।

ইবিতে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি:
শেখ হাসিনার ভাষণের ঘোষণার প্রতিবাদে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত স্বৈরাচারী হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

জাবিতে মুছে ফেলা হলো মুজিব পরিবারের নাম:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে মুজিব পরিবারের নাম মুছে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের দিকে যান। পরে ইনস্টিটিউটটির সামনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শেখ হাসিনা হলের সামনে শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন তারা। এছাড়া আল-বেরুনি হলের সামনে দেওয়ালের শেখ মুজিবুর রহমানে গ্রাফিতি মুছে ফেলেন।

শাবিপ্রবিতে গুড়িঁয়ে দেওয়া হলো শেখ মুজিবের ম্যুরাল:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবিতে) মধ্যে রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে গুড়িঁয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় সিলেট শহর থেকে বুলডোজার নিয়ে এসে ম্যুরাল ভাঙা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর:
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচারকে কেন্দ্র করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন তারা। জানা যায়, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচারকে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা। পরে বক্তব্য প্রচার হলে আবাসিক হল থেকে বেরিয়ে হল প্রাঙ্গণে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে রাত সোয়া দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের সামনে থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে গেলে ছাত্রদের আরেকটি গ্রুপ মিছিলে যুক্ত হয়। এসময় একসাথে মিছিল নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যু্রাল প্রাঙ্গণের সামনে গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।

তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের মারধর

হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক রোগীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কারণ সামান্য হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় কারো মৃত্যু হয়- এটা প্রথম দেখলাম।

পরিবারের সদস্য হুমায়ুন আহমেদ জানান, ‘গতকাল রাত ১০টায় হাতের ইনজুরি নিয়ে ওই রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন রাত ৪ টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মৃত্যুর খবর দেয়। এরপর তারা বিস্তারিত জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

নিহতের পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সমঝোতার প্রস্তাব দেয় এবং ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে মৃতের স্বজনরা প্রকৃত তথ্য জানতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সঠিক তথ্য জানতে চাইলে তাদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এমনকি দুর্ব্যবহার করে সাংবাদিকদের হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই সময়ে ভেতরে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আলোচনা চালিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর যখন মৃতদেহ এম্বুলেন্সে ওঠানো হচ্ছিল, তখন সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

হামলায় আহত গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ, হাসপাতালে ওই ঘটনায় ১০-১২ জন ব্যক্তি সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও মাইক্রফোন ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। তারা হলেন-দৈনিক নিরপেক্ষ’র অনলাইন প্রতিবেদক মিছবাহ উদ্দিন, দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি রেজাউল করিম সোহাগ, মাহবুব আলম, আজকের সংবাদ প্রতিনিধি পবিত্র চন্দ্র সরকার সহ বেশ কয়েকজন।

এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে হামলার শিকার গণমাধ্যমকর্মী মিছবাহ উদ্দিন জানান, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন ভিতরে যেতে দেয়নি। পরে লাশ বের করার সময় ছবি তুলতে গেলে তারা আমাদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এমনকি তারা আমাদের মোবাইল, ক্যামেরা ভাংচুর ও ছিনিয়ে নেয়। তবে হামলার ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। হাসপাতালের সিসি টিভিতেও থাকতে পারে। পরবর্তীতে সিনিয়রদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের কথা পরিস্কার- আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই।’

এ ঘটনায় সাংবাদিকেরা ইতোমধ্যে মোহাম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও বিস্তারিত আসছে…

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩০ অপরাহ্ণ
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল রেখেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের এ সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।

২০১৬ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। পরে জাতীয় জাদুঘর থেকে তার পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলা হয়।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একই বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

যেসব ব্যক্তিকে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যরা। পথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের দুই দফা লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হলে তাদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা না করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা দেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থামানো হয় এবং বলা হয় একটি ছোট প্রতিনিধি দল নিয়ে স্মারকলিপি দিতে।

তিনি বলেন, এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং একজন পুলিশ সদস্যের ওপর চড়াও হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।

এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে রওনা হন। মিছিল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সব ধর্ষণকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান তারা।