গাজীপুরে হচ্ছেটা কি ?
শিক্ষার্থীদের ওপর আ’লীগের পরিকল্পিত হামলা, প্রতিবাদী সমাবেশে গুলি !
![শিক্ষার্থীদের ওপর আ’লীগের পরিকল্পিত হামলা, প্রতিবাদী সমাবেশে গুলি !](https://bdnews999.com/wp-content/uploads/2025/02/download-8-2.jpeg)
গাজীপুরে পতিত সরকারের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার গুজব রটিয়ে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়। বাকিদেরকে বিভিন্ন যায়গায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে মোট ১৫ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর।
৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে দেশব্যাপী রীতিমতো তোলপাড় চলছে।
হাসপাতলে আহতদের মধ্যে পিয়াস বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে ডাকাত আক্রমণের খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। মূলত তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার পরেরদিন আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম। সারাদেশে আওয়ামিলীগের চলমান বিশৃঙ্খলার পরও পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। এমনকি চট্টগ্রামে তার প্রতীকী গায়েবানা জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাতে গাজীপুরে হামলার ঘটনায় পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আক্রমণের শিকার হয়ে পুলিশকে বারংবার ফোন করলেও সদর থানার পুলিশ নিরাপত্তার অজুহাতে কোনো সহায়তা করেনি। তাই থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
আহতদের খোঁজ খবর নিয়ে শনিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম গাজীপুর যান। সেখানে বিক্ষোভরত সকল শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেন তারা। এ-সময় গাজীপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে হাজির হন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান। থানার ওসির অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। যা পরবর্তীতে কার্যকর করা হয়েছে।
গাজীপুরে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা যেন কমছেই না। ঘটনার আগে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের ফোন কল রেকর্ড নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঠিক তার পরেই শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা হয়।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হয়েছে গুলি। সেখানে মোবাশ্বের হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে পুনরায় তোলপাড় গাজীপুর সহ পুরো দেশ। ইতোমধ্যে গাজীপুর সহ সারাদেশে যৌথ বাহিনী দ্বারা “অপারেশন ডেভিল হান্ট” পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা, সাধারণ শিক্ষার্থী সহ সকলের প্রশ্ন- গাজীপুরে আসলে হচ্ছেটা কি ? আওয়ামী লীগ এই সময়েও এমন দুঃসাহস দেখায় কিভাবে ? এখন দেখার বিষয়- গাজীপুর সহ সারাদেশে আওয়ামিলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের প্রতি কেমন ব্যবস্থা নেয় সরকার…।
আপনার মতামত লিখুন