খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ, ১৪৩১

ভারতে মাওবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ সেনাসহ নিহত ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৪ অপরাহ্ণ
ভারতে মাওবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ সেনাসহ নিহত ১৪

ভারতে বন্দুকযুদ্ধে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন জওয়ান এবং ৩১ জন মাওবাদী সদস্য। আহত হয়েছেন আরও ২ জওয়ান। দেশটির ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুর জেলার জঙ্গলে এই সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রোববার সকালে ছত্তিশগড়ের বস্তার বিভাগের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষে দুই নিরাপত্তা কর্মী এবং কমপক্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন।

বিজাপুর হচ্ছে সেই একই জেলা যেখানে জানুয়ারির শুরুতে একটি আইইডি বিস্ফোরণে আটজন নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন বেসামরিক চালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, যার পরে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সেখানে শুরু হওয়া মাওবাদী বিরোধী অভিযানে আটজন মাওবাদী নিহত হয়েছিল।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বিজাপুরের জঙ্গলে চলমান এনকাউন্টারে দুই জওয়ানও আহত হয়েছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ১২ জন মাওবাদীর ইউনিফর্ম পরা মৃতদেহ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ উদ্ধার করা হয়েছে একইসঙ্গে বিরতিহীন গোলাগুলিও চলছে।

মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার জঙ্গলে মাওবাদী বিরোধী অভিযান শুরু করে। বড় সংখ্যক সিনিয়র ক্যাডারদের উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু হয়। এর মধ্যেই রোববার ভোরবেলা মাওবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে জঙ্গলে বন্দুক-যুদ্ধ শুরু হয় এবং ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়।

এনকাউন্টারে বাহিনী দু’জন জওয়ানকেও হারিয়েছে এবং অন্য দু’জন যারা আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহত জওয়ানদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। এনকাউন্টারস্থলে আরও নিরাপত্তা কর্মী পাঠানো হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে আনছার আলী (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সগুনা কালিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনছার আলী সরকার উপজেলার ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামের সাদেক আলী সরকারের ছেলে।

ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রানা আহাম্মেদ জানান, বিকালে ধানের চারা তোলার জন্য জমিতে যাচ্ছিলো এমন সময় সগুনা কালিবাড়ী এলাকায় পৌছাঁলে মৌমাছির দল এসে আনছার আলীকে আক্রমন করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:একে এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, মৌমাছির আক্রান্ত অবস্থায় আনছার আলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা মৃত অবস্থায় পাই।

রাজধানীতে দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর ভাটারার ব্লক-জি রোড নং-৫ এলাকায় দ্রুতগামী তেলের লরির ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা (২৫) যুবক নিহত।

মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুঃ)দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৫:৩০ দিকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতকে নিয়ে আসা পথচারী রাজু আহমেদ বলেন,
ভাটারার জি ব্লক ৫ নম্বর রোডের বারিধারা এলাকায় দ্রুতগামী একটি তেলের লরি তাকে ধাক্কা দেয়।এতে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়লে আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
আমরা নিহিতের নাম পরিচয় জানতে পারেনি,তবে পাশেই একটা রিক্সা পড়েছিল আমরা ধারণা করছি সে রিকশা চালক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলে নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, নষ্ট এক্স-রে, ভোগান্তিতে রোগীরা

মোঃ রেজাউল হক, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, নষ্ট এক্স-রে, ভোগান্তিতে রোগীরা

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট ও ওষুধের স্বল্পতায় সেবা বন্ধের উপক্রম। পাশাপাশি বিকল পড়ে আছে এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র। এতে বাইরে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও রোগীর স্বজনদের। একই অবস্থা উপজেলার অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও।

২০০৫ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এক্স-রে যন্ত্রে। শুরু থেকেই কানই চালু, কখনও বন্ধ থাকছে যন্ত্রটি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একেবারেই বিকল হয়ে যায়। অপারেটরের অভাবে আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালট্যান্ট অবেদনবিদ, জুনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনিসহ ২১ জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু কাগজেকলমে আছেন সাতজন। তাদের মধ্যে আবার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে একজন, জেলা কারাগারে ডেপুটেশনে একজন ও বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চারজন পালাক্রমে ডিউটি করেন।

রাজারহাটে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা গেলেই টানাপোড়েন শুরু হয়। গোটা হাসপাতালে একজনও ওয়ার্ডবয় নেই। এতে জরুরি সেবা কার্যক্রমও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। শূন্য রয়েছে মেডিকেল অফিসার, স্টাফ নার্সসহ অর্ধশতাধিক পদ। রয়েছে ওষুধের অপ্রতুলতা।

একই অবস্থা বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিগ্রাম স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের। চিকিৎক না থাকায় আড়াই বছর ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। উনুন উনর টান্ত্রিক মজিদ ও পাঙ্গা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা চলছে ফার্মাসিস্ট দিয়ে। একজন স্যাকমো (উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) পরিচালনা করছেন নাজিমখান ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে তিন লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলাবাসী কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উন্নত চিকিৎসাসেবা গ্রহণে যাদের সামর্থ্য নেই, তারা নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকের ওপর।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ছানু বেগম, আখের বেগমসহ কয়েকজন বলেন, চিকিৎসক কম, রোগী বেশি। এ কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

নবাব নামে এক যুবক বলেন, যন্ত্রপাতি বিকল। টেকনোলজিস্ট নেই। রোগ নির্ণয় ছাড়াই একই চিকিৎসক সব রোগের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রসুল রাকিব বলেন, জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।