খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ, ১৪৩১

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ওপর বাধ্য হয়ে জলকামান এবং মৃদু লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। তবে কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের আবারও শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে দেখা গেছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় ধাপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)”-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬,৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি- এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬,৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। সবাই একপ্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর কত ধৈর্য ধরতে হবে? এভাবে আর কত দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে? এখন তাদের থাকার কথা নিজ নিজ কর্মস্থলে। অথচ তারা এখন রাস্তায়। তাদের জীবনের দায়ভার কে নেবে? তারা কার কাছে যথাযথ বিচার চাইবেন? এই মুহূর্তে তাদের দাবি, তারা অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করতে চান।

আদানিকে বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
আদানিকে বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি পাওয়ারের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। এর পুরোটা বাংলাদেশে সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ভারতীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম সামনে রেখে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ আদানি পাওয়ারকে ভারতে তার ১৬শ’ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে পুনরায় শুরু করতে বলেছে। শীতের সময়ে কম চাহিদা এবং অর্থপ্রদান নিয়ে বিরোধের কারণে সরবরাহের পাশাপাশি বিক্রিও কমে যাওয়ার তিন মাসেরও বেশি সময় পরে বাংলাদেশ এ কথা জানাল।

২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল আদানি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত সংস্থাটি তাদের ২ বিলিয়ন ডলারের প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিটের প্ল্যান্টটির প্রতিটি থেকেই একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করে তারা।

রয়টার্স বলছে, অর্থপ্রদানে বিলম্বের কারণে ভারতীয় এই কোম্পানিটি গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। এর ফলে গত ১ নভেম্বর তাদের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে প্ল্যান্টটি প্রায় ৪২ শতাংশ সক্ষমতায় কাজ করছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রয়টার্সকে জানায়, তারা আদানির কোম্পানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার করে পরিশোধ করছে। এখন চাহিদা বাড়ায় দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে বলেছে।

বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে বলেন, আমাদের প্রয়োজন অনুসারে, তারা দ্বিতীয় ইউনিটটি সিঙ্ক্রোনাইজ করার পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু উচ্চ কম্পনের কারণে তা হয়নি। কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সোমবার থেকে ইউনিটটি পুনরায় চালু করা যায়নি।

রেজাউল করিম আরও বলেন, বর্তমানে আমরা মাসে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিচ্ছি। আমরা আরও বেশি অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি এবং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বকেয়া কমিয়ে আনা। ফলে এখন আদানির সঙ্গে কোনো বড় সমস্যা নেই।

আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের আহ্বানে তাৎক্ষণিক সাড়া দেননি। যদিও গত ডিসেম্বরে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিপিডিবির কাছে তাদের প্রায় ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার বাকি আছে। ওই সময় বিপিডিবি চেয়ারম্যান বলেছিলেন, এই বকেয়ার পরিমাণ ৬৫ কোটি ডলার।

বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে আদানির সঙ্গে বিরোধ আছে বাংলাদেশের। রয়টার্সের হিসাবে, অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুতের চেয়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি অর্থে বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এদিকে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি আদালত। ওই কমিটির প্রতিবেদন এ মাসে সামনে আসতে পারে। তখন আদানির সঙ্গে চুক্তিটি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হতে পারে বলে জানায় রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পালিয়ে যান হাসিনা। এরপর গত সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার সময়ে স্বাক্ষরিত প্রধান জ্বালানি চুক্তিগুলো পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের প্যানেল নিয়োগ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিন-চারটি মামলার রায় অক্টোবরে: আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিন-চারটি মামলার রায় অক্টোবরে: আসিফ নজরুল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান তিন থেকে চারটি মামলার আনুষ্ঠানিক রায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এসব মামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন বলে জানান তিনি। আজ মঙ্গলবার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর জুলাই গণহত্যার ৩০০টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রসিকিউসন অফিস ১৬টি মামলা দায়ের করেছে। ৪টি মামলা তদন্ত কাজ শেষ হবে এ মাসে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হবে। তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঈদের পর বিচার কাজ শুরু হবে। অক্টোবরের মধ্যে তিন থেকে চারটি মামলার আনুষ্ঠানিক রায় হয়ে যাবে। এসব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যরা আসামি হিসেবে রয়েছেন।

এসময় আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ৩৯৬টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। বাকি ৬১টি মামলা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। ৩টি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় প্রত্যাহার হচ্ছে না।’

আওয়ামী লীগের আমলে ১৬ হাজার ৪২৯টি ‘গায়েবি’ মামলার মধ্যে ১ হাজার ২১৪টি মামলা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার হবে। এর মধ্যে ৫৩টি মামলা আজ কালের মধ্যে প্রত্যাহার হবে। জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড এলার্টের আবেদন করা হয়েছে। তারা তাদের অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নিবে। শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের মনোভঙ্গি ইতিবাচক না। মনে হয়, তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিবে না। বরং ভারত চায় এই ইস্যুতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে।’

গৃহযুদ্ধের কথা বলে অপপ্রচার ও কুৎসা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যা ইচ্ছা তা বলে যাচ্ছে, এগুলো পাত্তা দেওয়া যাবে না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্র ও অপরাধ সংঘঠিত করতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে, সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে যাতে কোনো প্রাণহানি না হয়।’

জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন কাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন কাল

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আগামীকাল বুধবার তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। আজ মঙ্গলবার জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। তবে মঙ্গলবার পুনরায় নতুন তারিখ নির্ধারণ করে একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ককে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ করে বাংলাদেশ সরকার।

ওই বছরের আগস্টে ঢাকায় আসে জাতিসংঘের প্রাক-তদন্ত দল। আর সেপ্টেম্বরে মূল তদন্ত কাজ শুরু হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছে।