খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ, ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে রিভিউ শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:০১ অপরাহ্ণ
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে রিভিউ শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
১

বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে আনছার আলী (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সগুনা কালিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনছার আলী সরকার উপজেলার ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামের সাদেক আলী সরকারের ছেলে।

ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রানা আহাম্মেদ জানান, বিকালে ধানের চারা তোলার জন্য জমিতে যাচ্ছিলো এমন সময় সগুনা কালিবাড়ী এলাকায় পৌছাঁলে মৌমাছির দল এসে আনছার আলীকে আক্রমন করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:একে এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, মৌমাছির আক্রান্ত অবস্থায় আনছার আলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা মৃত অবস্থায় পাই।

রাজধানীতে দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর ভাটারার ব্লক-জি রোড নং-৫ এলাকায় দ্রুতগামী তেলের লরির ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা (২৫) যুবক নিহত।

মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুঃ)দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৫:৩০ দিকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতকে নিয়ে আসা পথচারী রাজু আহমেদ বলেন,
ভাটারার জি ব্লক ৫ নম্বর রোডের বারিধারা এলাকায় দ্রুতগামী একটি তেলের লরি তাকে ধাক্কা দেয়।এতে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়লে আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
আমরা নিহিতের নাম পরিচয় জানতে পারেনি,তবে পাশেই একটা রিক্সা পড়েছিল আমরা ধারণা করছি সে রিকশা চালক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলে নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।