খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩০ মাঘ, ১৪৩১

তৌহিদী জনতাকে হুমকি নয়, সতর্ক করেছি: মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
তৌহিদী জনতাকে হুমকি নয়, সতর্ক করেছি: মাহফুজ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, তৌহিদী জনতা নামে আপনারা যারা নিজেদের পরিচয় দেন, তাদের আমি হুমকি দিইনি, সতর্ক করেছি। কেন করেছি? ১৫ বছর নিপীড়ন সহ্য করে এবং অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখে সব নাগরিকের মতোই আপনারা একটি জাতীয় সম্ভাবনা হাজির করেছেন। কিন্তু মব সংস্কৃতির কারণে তা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদেরই এ সম্ভাবনা রক্ষা করতে হবে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে কথা লিখেন তিনি।

ফেসবুকে উপদেষ্টা লিখেন, আমার আপনাদের প্রতি ঘৃণা নেই, বরং বাংলাদেশের সব নাগরিকের মতোই আপনাদের প্রতি দরদ আছে। আলেমদের প্রতি সম্মান আছে। আমি নিজে বিশ্বাসী মুসলিম হিসেবে তৌহিদবাদী। কিন্তু কেউ তৌহিদের নামে উগ্রতা দেখালে সেটার আসন্ন পরিণতি সম্পর্কে সাবধান করাও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আমার কর্তব্য মনে করেছি।

তিনি আরও লিখেন, বাংলাদেশে এখন স্থিতিশীলতা দরকার। বিপ্লবী জনতা আর খণ্ড খণ্ড মব আলাদা জিনিস। লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যবিহীন এ মব সংস্কৃতির কারণে উপকৃত হচ্ছে আমাদের শত্রুরা। রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমাদের কঠোর হতে হবে।

তিনি লিখেন, এ কঠোরতার হুঁশিয়ারি অপরাধীদের জন্য, যারা তৌহিদের কথা বলে নিপীড়ন করছে, নৈরাজ্য করছে। কিন্তু, আগে যেভাবে ইসলাম ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মুসলিমদের নিপীড়ন করা হতো, যার শিকার আমিও হয়েছি- তা কোনোমতেই আর পুনরাবৃত্ত হবে না।

উপদেষ্টা লিখেন, আলেম-উলেমা, মাদরাসার ছাত্ররা ১৫ বছর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এবারের অভ্যুত্থানেও রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু যে স্বাধীনতা এত রক্তাক্ত, সে স্বাধীনতা রক্ষায় প্রজ্ঞা না দেখালে যে জুলুম নেমে আসবে- এ সতর্কতা উচ্চারণ যদি ভুল হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি জালিম বা মজলুম- দুইটা হওয়া থেকেই আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।

তিনি আরও লিখেন, পুনশ্চ ব্যক্তি আক্রমণ, ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে আক্রমণ বা সন্দেহ তৈরি, পরিবারের সদস্যদের হুমকি বা বেইজ্জতি ইত্যাদি কাজগুলো নবিজির অনুসারী হিসেবে সবার পরিত্যাগ করা উচিত। চলুন বিভাজন আর ঘৃণা বাদ দিয়ে রাষ্ট্রকে সবার করে গড়ে তুলি। পরস্পর সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্কই নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি।

সিরাজগঞ্জে মোজাম্মেল হক্ (রঃ) ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টা,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে মোজাম্মেল হক্ (রঃ) ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে খাজা মোজাম্মেল হক্ (রঃ) ফাউন্ডেশন আয়োজনে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১২ফেব্রুয়ারী), সকাল ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা টিপু সুলতান। 

জেলার ১৩৪টি বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর ৭৪৭জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাজা টিপু সুলতান বলেন, ভাল মানুষ হতে হলে শুধুমাত্র ভালো ফলাফলই যথেষ্ট নয়, সত্যিকারের সৎ জীবনযাপন জরুরি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা এবং দায়িত্ববোধের সাথে চলতে হবে। ব্যবসায়ী হলে সততার সাথে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে এটি করা আবশ্যক। চাকরি বা অন্য কোনও দায়িত্ব পালনেও ঈমানদার হতে হবে। ছোট বয়স থেকেই দায়িত্বশীলতা এবং হিসাবযোগ্যতা শেখা গুরুত্বপূর্ণ।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধিসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়াও অনুষ্ঠানের উপস্থিত  ছিলেন ফাউন্ডেশনের বৃহত্তর উত্তর অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ছায়েদুল ইসলাম ভুঞা রোমেল। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সোহেল হোসেন ইবনে বতুতা, বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী খুরশীদ আহম্মদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ শাহজাহান, বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী মেজবাউল আলম রিপন, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোঃ শামছুল আলমসহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

ছাত্র আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
ছাত্র আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

এতে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর পাশাপাশি, গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ছিল।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে একটি সরকারি নীতি উঠে এসেছে যা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের এবং সমর্থকদের আক্রমণ ও সহিংসভাবে দমন করার নির্দেশ দেয়, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো উদ্বেগ উত্থাপনকারী এবং জরুরিভাবে আরও ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠনের নজির থাকলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম।

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে, প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন এবং এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। প্রতিবেদনটি নির্দেশ করেছে যে নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনকারী উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত থেকে। কিন্তু এর পেছনে ছিল ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং প্রশাসন থেকে সৃষ্ট বিস্তৃত ক্ষোভ, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক সরকার ক্রমাগত সহিংস পন্থা ব্যবহার করে এই বিক্ষোভগুলো দমনে পদ্ধতিগতভাবে চেষ্টা করেছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, “এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল।”

“বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাপক নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।”

বিশ্বনেতাদের সামনে মোদিকে পাত্তাই দিলেন না ম্যাক্রোঁ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
বিশ্বনেতাদের সামনে মোদিকে পাত্তাই দিলেন না ম্যাক্রোঁ

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে করমর্দনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপেক্ষা করতে দেখা গেছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে।মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শীর্ষ সম্মেলনে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মোদি করমর্দনের জন্য ম্যাক্রোঁর দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। তবে ম্যাক্রোঁ সেখানে উপস্থিত অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে করমর্দন করলেও মোদির দিকে হাত বাড়াননি।

বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে আনন্দ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।

মোদির হাত বাড়ানোর পরও তার সঙ্গে করমর্দন না করার এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, কেউ কেউ এটিকে কূটনৈতিক অসম্মান হিসেবেও ব্যাখ্যা করেছেন। আবার অন্যরা মনে করছেন, এটি অনিচ্ছাকৃতও হতে পারে।

তবে ফরাসি বা ভারত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দুই দিনের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রায় ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর।

ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঘোষণা করা আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সনদে ফ্রান্স, চীন ও ভারতসহ ৬০টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এতে সই করেনি। বিশ্বজুড়ে এআইকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে এ চুক্তি করা হয়েছে।