রাজধানীতে চলছে সিএনজি ধর্মঘট, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

রাজধানীতে চলা সিএনজি অটোরিকশাগুলোকে মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ায় চলার ব্যাপারে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে সেটা না মেনে উল্টো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রামপুরা ও রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এদিকে আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাস্তায় দেখা মিলছে না সিএনজির। একে তো রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের সংকট। তার মধ্যে নতুন করে সিএনজি-চালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের ধর্মঘটে রাস্তায় সিএনজি সংকটে নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রীরা।
ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বেশ কিছু দাবি করেছেন সিএনজি-চালিত অটোরিকশা পরিবহন কর্মচারীরা। দাবিগুলো হলো-
* সিএনজি অটোরিকশায় মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে চালকের ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, বিআরটিএ কর্তৃক নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহার।
* সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ হইতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী অযৌক্তিক ধারাসমূহ বাতিল/সংস্কার করা।
* বিআরটিএ-তে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার দোরসদের প্রত্যাহারের দাবি।
* ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পেশকৃত ১৩ দফা মেনে নেওয়া।
তবে আজকের এই ধর্মঘট নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন চরমে পৌঁছেছে। তেমনি সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের। অনেকেই বলছেন, সাধারণ মানুষ, যাত্রীদের জিম্মি করে তারা যেসব কর্মকান্ড করছে- তা রীতিমতো শাস্তির যোগ্য। কারণ সরকার বিআরটিএর মাধ্যমে যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। চালক মালিক পক্ষ বাটপারি করতে পারবে না বলেই আজকের এই ধর্মঘট। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন