খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

রাজধানীতে চলছে সিএনজি ধর্মঘট, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ
রাজধানীতে চলছে সিএনজি ধর্মঘট, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

রাজধানীতে চলা সিএনজি অটোরিকশাগুলোকে মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ায় চলার ব্যাপারে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে সেটা না মেনে উল্টো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রামপুরা ও রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

এদিকে আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাস্তায় দেখা মিলছে না সিএনজির। একে তো রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের সংকট। তার মধ্যে নতুন করে সিএনজি-চালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের ধর্মঘটে রাস্তায় সিএনজি সংকটে নগরবাসী দুর্ভোগে পড়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রীরা।

ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বেশ কিছু দাবি করেছেন সিএনজি-চালিত অটোরিকশা পরিবহন কর্মচারীরা। দাবিগুলো হলো-

* সিএনজি অটোরিকশায় মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে চালকের ৬ মাসের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, বিআরটিএ কর্তৃক নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহার।

* সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ হইতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী অযৌক্তিক ধারাসমূহ বাতিল/সংস্কার করা।

* বিআরটিএ-তে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার দোরসদের প্রত্যাহারের দাবি।

* ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পেশকৃত ১৩ দফা মেনে নেওয়া।

তবে আজকের এই ধর্মঘট নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন চরমে পৌঁছেছে। তেমনি সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের। অনেকেই বলছেন, সাধারণ মানুষ, যাত্রীদের জিম্মি করে তারা যেসব কর্মকান্ড করছে- তা রীতিমতো শাস্তির যোগ্য। কারণ সরকার বিআরটিএর মাধ্যমে যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। চালক মালিক পক্ষ বাটপারি করতে পারবে না বলেই আজকের এই ধর্মঘট। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত।

রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

বিগত ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মাফ করেছেন, তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

এর আগে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

ওই নোটিশে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজন দণ্ড পাওয়া আসামির কারাদণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করেছেন, সেই তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন, তা জানার অধিকার আছে। কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি বহু অপরাধী, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া অপরাধীরা জেল থেকে বেরিয়ে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাষ্ট্রপতি কোন প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড মওকুফ করেন, দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, সেটা মানুষের জানা দরকার।

কিন্তু, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আওতাধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। একটি চিঠির মাধ্যমে তাদের এনআইডি লক করা হয় বলে আজ সোমবার নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।

নথিপত্র অনুযায়ী, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। তবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সরাসরি নির্দেশ ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে তারা হলেন, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙা হবে, কাজগুলো শুরুও হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা : সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক নগর সংলাপে এ কথা জানান তিনি।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভবনগুলো আংশিক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।

তিনি জানান, রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এই ভবনগুলোর যেটুকু অংশেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলবো। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাব। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক, তাদের নিয়মের মধ্যে আনবো। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন কাজে আসবে না। সবকাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক, সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছে সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেবো। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবো।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হেলিমুল আলম বিপ্লবের প্রকাশিত ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত “Dhaka’s Canals on Their Dying Breath, An In-Depth Look at How the capital’s Waterways Are Being Choked” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।