সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না: ডা.ফরহাদ ডোনার

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া যাবে না। আর অবশ্যই জাতীয় নির্বাচন আগে, স্থানীয় নির্বাচন পরে হবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে প্রথম সংস্কার শুরু করেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি সংস্কারের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে ছিলেন। আর বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে মন্ত্রী পরিষদ শাসিত সরকার প্রবর্তন করেন। সুতরাং বিএনপিই সংস্কার করে।
সোমবার বিকালে শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে শরীয়তপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালু’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা।
ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী মামলা-হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আগামী দিনেও রাজপথ থেকে কর্মসূচি সফল করার মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হবেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের বিজয় হবে, ইনশাল্লাহ। আর জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে।
তিনি বলেন, যতবার এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে ততবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। একারণে নির্বাচনও হবে, একই সাথে পতিত স্বৈরাচারের বিচারও হতে হবে। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো দ্রুত একটি নির্বাচন দিন। আর পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট শাসক ছিল শেখ হাসিনা। তাই আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার সুযোগ নেই।
এসময় শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলা, ৬টি পৌরসভা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক, ছাত্রদল, যুবদলের জেলা নেতৃবৃন্দ সহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন