খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘিরে বিক্ষোভ–হাতাহাতি

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘিরে বিক্ষোভ–হাতাহাতি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। নতুন এই ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হয়েছেন আবু বাকের মজুমদার। আর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন জাহিদ আহসান।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও মারামারিতে মিশু আলি (২৪) ও আকিব আল হাসান (২৩) নামে দুই সমন্বয়ক আহত হয়েছেন।

সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে বিকেল ৩টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা ছিল। এ উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কেরা বিকেলে সেখানে এসে জড়ো হন। অপরদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজেদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পদ দাবি করে বিক্ষোভ করেন।

মধুর ক্যান্টিনের সামনে দুই পক্ষের অবস্থানের মধ্যে বিকেল চারটার পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মধুর ক্যান্টিনে এসে নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে মল চত্বরের দিকে এগিয়ে যান। সেখানে পদবঞ্চিত দাবি করে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

নতুন ছাত্র সংগঠনের উদ্যোক্তারা বলেছেন, মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদের শীর্ষ পদে আসা নিয়ে বিভক্তির সূত্রপাত। রিফাত রশিদ শীর্ষ চার পদের একটিতে আসতে চাইলেও নারী সদস্যদের বিরোধিতার কারণে তাকে শীর্ষ পদ দেওয়া হয়নি। ফলে রিফাত রশিদের অনুসারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে ঢাকা কলজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী নাহিদ হক বলেন, আমি রিফাত রশিদ ভাইয়ের জন্য এসেছি। যখন ৬ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে তখন কোটি টাকার প্রলোভনের মুখেও তিনি আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এখন রিফাত রশিদকে মাইনাস করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে একদল শিক্ষার্থী গত ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বতন্ত্র নতুন দল গড়ার ঘোষণা দেন। ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন আব্দুল কাদের এবং আবু বাকের মজুমদার। তারা বলেছিলেন, নতুন সংগঠন শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে, তাদের কার্যক্রম শিক্ষাঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে না যাওয়া ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলেন।

নতুন ছাত্রসংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়া আবু বাকের মজুমদার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর কার্যক্রম স্থগিত হওয়া ছাত্রসংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ছিলেন আবু বাকের মজুমদার।

এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিবের দায়িত্ব পাওয়া জাহিদ আহসানও সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলের সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জাহিদ একসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।

নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরীকে। আর মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন আশরেফা খাতুন। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামকে সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রিফাত রশীদকে সিনিয়র সদস্যসচিব করা হয়েছে।

সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। কাদেরের সঙ্গে সদস্যসচিব হিসেবে আছেন মাহির আলম। কাদের ও মাহির দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কাদের আগে ছাত্রশক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আর মাহির ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো পদে ছিলেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হয়েছেন হাসিব আল ইসলাম আর মুখপাত্র হয়েছেন রাফিয়া রেহনুমা হৃদি। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই দুই সমন্বয়ক গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তিরও নেতা ছিলেন।

এছাড়া লিমন মাহমুদ হাসানকে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আল আমিন সরকারকে সিনিয়র সদস্য সচিব করা হয়েছে।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ধরনের গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্ত না হতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।

সে কারণে তিনি আপাতত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। তবে তিনি আগামী রবিবার থেকে পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব খবরে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এমন অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

বিতর্কিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পলায়নের পর নতুন আশা নিয়ে বিসিবি সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। অথচ মাত্র ৯ মাস ৮ দিন- এটাই ছিল ফারুক আহমেদের বিসিবি সভাপতির মেয়াদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার কাউন্সিলর মনোনয়ন বাতিল করলে কার্যত তার সভাপতির পদও শূন্য হয়ে যায়। পরদিন, শুক্রবার পরিচালকদের জরুরি সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হন নতুন সভাপতি হিসেবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- কেন এত অল্প সময়ে পদচ্যুত হলেন ফারুক আহমেদ?

এ নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে খতিয়ে দেখা হয়েছে, ফারুকের রাজত্ব শেষের পিছনে কোন কোন কারণ কাজ করেছে:

বিপিএল-২০২৫ দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি:

ফারুক আহমেদের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা।

বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা, খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া, হোটেল বিল বকেয়া রাখা এবং শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড় বিদ্রোহ- এ ঘটনাগুলো সরকারকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করে।

তৎকালীন বোর্ড সভাপতি হিসেবে এসব ঘটনায় কার্যকর কোনো সমাধান দিতে না পারা ফারুককে প্রশাসনের নজরে ফেলে দেয়। এমনকি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এই বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বিপিএলের ফাইনালে তার অনুপস্থিতিও রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হয়, যার প্রভাব পড়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অবস্থানের উপরেও।

স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন:

বোর্ড পরিচালকদের একটি বড় অভিযোগ ছিল, ফারুক বিসিবির গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন।

বিশেষ করে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি পরিচালকদের না জানিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন বড় সিদ্ধান্তের আগে পরিচালকদের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এর বাইরে কিছু সিদ্ধান্তে ফারুক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরিচালককে উপেক্ষা করেছেন, যার ফলে বোর্ডের ভেতরেই দলাদলির সৃষ্টি হয়।

ভেতরের কোন্দল: ফাহিম বনাম ফারুক:

বোর্ড পরিচালক এবং এনএসসি মনোনীত প্রতিনিধি নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় পরিস্থিতি। এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে এবং বোর্ডের ঐক্য বিনষ্ট হয়। এমনকি, ফারুক আহমেদ ক্রীড়া উপদেষ্টার সহকারী একজন কর্মকর্তার সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান, যা প্রশাসনিক মহলে ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন নিয়ে ‘অতিরিক্ত আগ্রহ’, আস্থা হারান বোর্ডে:

অন্য এক বড় কারণ ছিল, ফারুক আহমেদের অক্টোবরে সম্ভাব্য বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এই অবস্থান তার সহকর্মী পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং অনেকে মনে করেন, তিনি বোর্ড পরিচালনার চেয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।

এনএসসি ও প্রশাসনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ:

৮ জন পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর পর এনএসসি একটি স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রিপোর্টে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের ঘাটতির সরাসরি দায় বর্তায় ফারুকের ওপর।

ফারুক আহমেদ ছিলেন একজন সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার ও অভিজ্ঞ সংগঠক। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসার পর তার আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি, আর প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবই শেষ পর্যন্ত তাকে বিসিবি থেকে সরিয়ে দেয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েছেন এ অস্থির সময়েই। তারও সামনে রয়েছে দল পুনর্গঠন, স্বচ্ছতা ফেরানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ।

ফারুকের পতন, তা যতই নাটকীয় হোক না কেন, ক্রিকেট প্রশাসনে আবারও এক কঠিন বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:২৯ অপরাহ্ণ
চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে তিনি গত দুদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি মর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী রোববার থেকে তিনি (সভাপতি) পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন, ইনশাআল্লাহ। তিনি সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকের কাছে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদল সভাপতির শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে-এমন গুঞ্জন সংগঠনটির অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।