খুঁজুন
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১

বাদ যায়নি নারী স্টাফ

তাফরিদ কটন মিলসের এমডি সামিউল ইসলামের যত অপকর্ম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
তাফরিদ কটন মিলসের এমডি সামিউল ইসলামের যত অপকর্ম

আমরা হিটলারকে জেনেছি। এ-যুগের নব্য স্বৈরশাসক সহ অনেকের অপকর্ম সম্পর্কেও জেনেছি। তবে কোম্পানির মালিক কতোটা ভয়ানক, প্রতারক, দুষ্টচরিত্র ও নাটকবাজ হয় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বলছি তাফরিদ কটন মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাফিয়া শেখ মোঃ সামিউল ইসলাম সম্পর্কে।

জীবনের শুরুতে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও, পরবর্তীতে তিনি হন কোম্পানির মালিক। নিজের শ্বশুর ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা হওয়ায় নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সে টাকা আর কখনো পরিশোধ করতে হয়নি তাকে। এভাবেই শেখ মোঃ সামিউল ইসলাম কয়েকটি কোম্পানির মালিক।

এবার তাফরিদ কটন মিলসের এমডি শেখ মোঃ সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অপকর্ম, অনিয়ম, নারী কেলেংকারী, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। মাসের পর বস, বছরের পর বছর ধরে কৌশলে বেতন আটকে রাখা, স্টাফদের সাথে নিদারুণ দুর্ব্যবহার, মেয়ে স্টাফদের শরীরে হাত দেয়া সহ এমডির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তাফরিদ কটন মিলস লিমিটেড এর বঞ্চিত প্রায় শতাধিক কর্মীরা।

এমডি সামিউল ইসলামের ভয়ে এ পর্যন্ত সরাসরি মুখ খোলেননি কেউ। তবে এবার তার অপকর্ম প্রকাশ হতে শুরু করেছে। তিনি কৌশলে নারী স্টাফদের শরীরে হাত দিতেন, করতেন ইচ্ছামতো ট্রান্সফার, কথা না শুনলেই করতেন ছাঁটাই।

এছাড়া পুরুষ স্টাফদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, গায়ে হাত তোলা, বেতন আটকে রাখা তার নিয়মিত কাজ ছিলো। বিশেষ করে কোনো কর্মকর্তা একাধারে কয়েক মাস চাকরি করতে পারতো না সেখানে। বেতন আটকে কৌশলে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হতো তাদেরকে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এমডি সামিউল ইসলাম স্টাফদের নামমাত্র বেতন থেকে ঠিকই সরকারের কর বাবদ টাকা কেটে রাখেন। কিন্তু তিনি কখনো সরকারের কোষাগারে তা জমা দেন না। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় আয়কর বিভাগের অনেকের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। কৌশলে সে সরকারকে কর না দিয়ে বছরের পর বছর ফাঁকি দিচ্ছে।

এমডি সামিউল ইসলামকে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এমনকি তার WhatsApp এ বিস্তারিত sms করা হলেও তিনি কোনো রিপ্লাই করেন নি।

সবমিলিয়ে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা সামিউল ইসলাম করেনি। তাই তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, এযাবতকালে যত স্টাফদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বেতন পরিশোধ করা হোক। সেই সাথে নারী কেলেংকারী সহ তার সকল অপকর্মের বিচার করা হোক।

হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ
হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

র‍্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

বাকি দুই কর্মকর্তা হলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রজ্ঞাপন তিনটিতে সই করেন।

জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে জামিন শুনানির সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ।

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির পূর্বে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে শুনানি না করে এজলাস ছাড়েন বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন।

পরে আদালত আজ বেলা আড়াইটাই মামলার জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, নির্ধারিত আদালতে জামিন না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। এ জাতীয় মিস কেসের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য তারিখ দেওয়া হলেও এখানে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে। আদালতে আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেরেনূর আলী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে বাদীপক্ষ অংশ নেবে কি না আলোচনা করে জানাব।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, জামিন পাওয়া আসামির অধিকার। কিন্তু বাদীপক্ষ আদালতে হট্টগোল করেছেন। আমরা শুনানিতে অংশ নিয়ে জামিন চাইব।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে সুনামগঞ্জে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। ওই ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মান্নানসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুলিবিদ্ধ জহুর আহমদের ছোটভাই হাফিজুর রহমান। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় এমএ মান্নানকে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

চিনির বাজারদর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজার দর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর জানায়, রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ কমানোর মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১ দশমিক ১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪ দশমিক ২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে কেজি প্রতি চিনির দাম কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন রমজানের আগে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনি আমদানির ওপর আরোপ করা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) অর্ধেক করার সুপারিশ করেছিল। পাশাপাশি চিনি চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছিল সংস্থাটি।