খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

৭ কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
৭ কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে, তার নাম হবে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অডিটরিয়ামে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজসহ অন্যদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই নাম চূড়ান্ত হয়।

তবে এর কার্যক্রম শুরু হতে বেশ সময় লাগবে। এজন্য আগামী ২০৩১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই নাম চূড়ান্ত হলেও ২০৩১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে স্বতন্ত্র নজরদারি সংস্থা কাঠামো থেকে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে সাত কলেজ। এদিকে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির মূল ক্যাম্পাস কোথায় হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জানা গেছে, তিতুমীর কলেজে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস হতে পারে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই সাত কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় ২ লাখ, শিক্ষক ১ হাজারের বেশি।

সূত্র জানায়, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্যকে ধারণ করেই। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র কলেজগুলোর সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) বৈঠক পূর্বনির্ধারিত ছিল। রবিবার সকাল থেকেই দলে দলে শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটে। গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা। ইউজিসি চেয়ারম্যান, সদস্যসচিব ও কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপরই বেশিসংখ্যক প্রার্থীর সুপারিশের ভিত্তিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সম্মতি দেওয়া হয়। তবে কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সাত কলেজ হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের নামই প্রস্তাব করা হয়েছে। নাম নির্ধারণে যেন কোনো সমস্যা না হয় এজন্য তালিকাভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের ইনভাইটেশন দেওয়া হয়েছে। তবে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের এই নামে কোনো ধরনের আপত্তি নেই বলে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়। আবার তিতুমীরের একাধিক শিক্ষার্থী আপত্তিও জানায়। তবে নতুন নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দে স্লোগানে ইউজিসি ভবনে শোরগোল তোলেন। তাদের নতুন পরিচয় ডিএসইউ নিয়েও মাতামাতি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি সরকারের অনুমোদনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। সব উদ্যোগের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে ইউজিসির উপপরিচালক (পাবলিক ইউনিভার্সিটি) জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইউজিসির চেয়ারম্যান গতকাল সকালে সাত কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে তিনি সাত কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ ঘোষণা করেন। কবে থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র তো নাম ঠিক হলো। এখন আইন নিয়ে কাজ করতে হবে। এরপর সংসদে এ আইন পাশ করে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ঢাবির সিন্ডিকেট অনুমোদন দিলেই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো চূড়ান্ত হবে।’

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার একটি গণমাধ্যমে বলেন, সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)। এই নামটি চূড়ান্ত করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইমেলের মাধ্যমে বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত নিয়েছে। পাশাপাশি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ২৮টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই ২৮টি টিম নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মতামত দিয়েছে। গতকাল ইউজিসিতে এই ২৮টি টিমের লিডারদের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রবিবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফর নিয়ে কথা বলার সময় আজাদ মজুমদার সাত কলেজ নিয়ে আরও বলেন, ‘এই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো হবে, সেটার একটি রূপরেখা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অনুমোদন করলে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের যে কাঠামো সেটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একজন অন্তর্বর্তী প্রশাসক থাকবেন। এই সাত কলেজের যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন, তাদের মধ্য থেকেই একজন হবেন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী প্রশাসক। যিনি মনোনীত হবেন, তার কলেজটাই হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ গত জানুয়ারিতে বলেছিলেন, সাত কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হতে পারে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত হলো।

সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তর আন্দোলন টিমের ফোকাল পয়েন্ট ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাত কলেজকে নিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে, সেটির নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বা ডিসিইউ হতে যাচ্ছে। মোট ৪০টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেখান থেকে দুটি নামে আসে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঢাকা ফেডারেল ইউনিভার্সিটি নামকরণের পক্ষে মত দিয়েছিল। কিন্তু পরে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামটিই চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

রাজধানীর সরকারি ৭টি কলেজ হলো:
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।

এই ৭টি কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় ২ লাখ। একসময় দেশের সব ডিগ্রি কলেজ পরিচালিত হতো ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৯৯২ সালে সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালের শেষ দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২৭৯টি সরকারি কলেজকে বিভাগীয় পর্যায়ের পুরোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এর ধারাবাহিতায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়। ক্ষমতার পালাবদলের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত সরকারি কলেজকে অধিভুক্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ সেশন, অর্থাৎ চলতি বছর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ করার কথা জানানো হয় গত ২৭ জানুয়ারি। তার আগেই গত ডিসেম্বরে সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হয়।

ঐ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে একটি নজরদারি সংস্থা কাঠামো করার প্রস্তাব দেয়, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঐ প্রস্তাব অনুযায়ী, ঢাকার সরকারি সাত কলেজ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বা সমকক্ষ হওয়ার আগ পর্যন্ত একজন অধ্যক্ষের নেতৃত্বে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে আর পুরো কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একজন সদস্য।

উল্লেখ্য, রাজধানীর সরকারি ৭টি নামকরা কলেজকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এর নিকট থেকে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ভিসি আ.ফ.ম. আরেফিন সিদ্দিকী অন্তর্ভুক্ত করেন। নানা অনিয়ম, শোষণ, নিপীড়নের জেরে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাবির নানান বিতর্কিত অধ্যায়ের শেষে অবশেষে ৭টি কলেজ মুক্তি পেতে চলেছে।

পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

খুলনার পাইকগাছায় পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। আজ (৮ মে) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা হাসপাতাল মোড়ে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ আসলাম পারভেজ।

বিশেষ অতিথি পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, মোস্তফা মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান,সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব, ডাঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম তারিখ, পৌর বিএনপির নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী, মনিরুজ্জামান মন্টু,শেখ রুহুল কুদ্দুস পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জি এম রুম্তম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম সানা, জামিলুর রহমান রানা, আব্দুর রহমান জনি, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সবুজ সানা,জাকির হোসেন মিন্টু, আবদুল কাদের, সেলিম মোড়ল, মোশাররফ হোসেন বাবুল, শাহাজাহান গাজী,তুষার সরদার, নূর ইসলাম,

বেলকুচিতে অ্যালকোহল খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে অ্যালকোহল খেয়ে ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল পান করে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক জন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন। 

মৃত্যু ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার দৌলতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে আবুল কালাম (৪৫), দৌলতপুর মতি মাকের্ট এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাহ আলম (৪৩)। এ ঘটনায় আবু হানিফ নামের এক জন অসুস্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ (এপ্রিল) মঙ্গলবার  উপজেলার কান্দাপাড়া বাজার থেকে মোজ্জাম্মমেল হক বাবুর হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল খেয়ে তিন জন অসুস্থ হয়ে পরেন। তার মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে দুজন সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে  মারা যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, অ্যালকোহল পানে দুজনের মৃত্যুর পর হোমিও প্যাথি দোকানদার মোজ্জাম্মেল হক বাবুর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আর মোজ্জাম্মেল হককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ
যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের উপহার

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকালে গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এবং গঙ্গাচড়া মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

নবদম্পতির পরিবারগুলোকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, খাট, তোশক, বালিশ, কম্বল, আলমারিরসহ সাংসারিক জীবনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকায় একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।

যৌতুকবিহীন বিয়ে করে উপহার পেয়েছেন উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের মাসুদ রানা ও শারমিন আক্তার দম্পতি। মাসুদ রানা বলেন, ‘যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামী শরিয়ায় হারাম। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইনেও নিষেধ। আর যৌতুক দিতে যে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয় তা বুঝি। এর জন্য আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যৌতুক ছাড়া বিয়ে করেছি।’

উপহারসামগ্রী পাওয়া অন্য এক দপ্ততি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যৌতুক নিয়ে পরিবারের অনেক ঝামেলা হয়। তাই আমাদের দুই পরিবাবের সিদ্ধান্তে আমরা যৌতুকবিহীন বিয়ে করেছি। আমাদের পরিবারের মাঝে কোনো প্রকার যৌতুক লেনদেন হয়নি। জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ। আমাদের বিবাহত্তর সব খরচ বহন করার জন্য।’

নাহিদ হাসান নামের একজন বলেন, আমাদেরকে ঢাকায় প্লেনে নিয়ে যেয়ে একটি অভিজাত হোটেলে বিয়ে অনুষ্ঠানে করা হয়। আজ আমাদের আসবাপত্র দেওয়া হলো। জামাতে ইসলামীকে ধন্যবাদ আমাদেরকে নিয়ে এধরনের আয়োজন করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আর আমি আমার মুসলিম ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা বিয়ের সময় শ্বশুর পরিবারের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে কিছু নেবেন না। এতে আল্লাহ নারাজ হন।

উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা নায়েবে আমির তাজ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ রোকনমুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।