খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

তালিকায় শীর্ষে বিতর্কিত হারুন

এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ণ
এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখনো লাপাত্তা পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য। এ তালিকায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্য রয়েছেন। গত ৫ আগস্টের পর যারা আর কর্মস্থলে ফেরেননি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা চাকরিতে ফিরতে পারবেন না। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ এদের অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ আইন অনুযায়ী চলবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের যেসব প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে তারাও পলাতক। তবে পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর হিসেবে চিহ্নিত প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার উপর গুলির নির্দেশ দিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশেষ করে গ্রেপ্তার নিশ্চিত না করে যারা তাদেরকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, পুলিশের পলাতক কর্মকর্তাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ডিআইজি হারুন অর রশীদ। এখনো চাকরিচ্যুত নন পুলিশ সদর দপ্তরের এই তালিকায় তাকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে-পরে সংগঠিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামির তালিকায়ও তিনি শীর্ষে।

এসব মামলার মধ্যে ২০১১ সালে যে ঘটনাকে কেন্দ্র এই কর্মকর্তা লাইমলাইটে আসেন সেই তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি নেতা জয়নাল আবদিন ফারুককে নির্যাতনের মামলাও আছে। জয়নাল আবদিন ফারুক নিজেই বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। এ পর্যন্ত আলোচিত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৩৮টি মামলায় তার নাম পাওয়া গেছে। সর্বশেষ এই কর্মকর্তা ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে বেশি সমালোচিত হন। ৫ আগস্টের পর থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিকসহ আলোচিত বেশ কয়েকজনকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সমালোচিত হন হারুন। একপর্যায়ে ডিবি কার্যালয়কে ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ হিসেবে অনেকে ব্যঙ্গ করতে শুরু করেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পুলিশ সদস্যদের পলাতক তালিকায় আলোচিত ৫ জন অতিরিক্ত ডিআইজি। তাদেরকেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত হিসেবে দেখানো হয়েছে। পলাতক পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিতীয় সারিতে আছেন ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ছাত্র-জনতাসহ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২৭টি। ৫ আগস্টের পর তাকেও আর পাওয়া যায়নি। আলোচিত-সমালোচিত এই কর্মকর্তা কর্মস্থলে আর যোগদান করেননি। ২০১১ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুককে সংসদ ভবনের সামনে মারধরের ঘটনা ভাইরাল হলে তিনি বিগত সরকারের গুডবুকে চলে আসেন। ওই সময় তেজগাঁও জোনের এডিসি ছিলেন বিপ্লব সরকার। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দফায় দফায় পদোন্নতিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চাকরি করার সুযোগ পেয়ে যান। যে কজন পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের শীর্ষে অবস্থান করছিলেন তাদের মধ্যে বিপ্লব সরকার অন্যতম। প্রায় ১৩ বছর পর সেই জয়নাল আবদিন ফারুককে মারধরের ঘটনায় আলোচিত সেই হারুন-বিপ্লব জুটির মামলাটি করেন জয়নুল আবদিন ফারুক নিজেই।

এছাড়া কর্মস্থলে যাচ্ছেন না অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার নুরুন্নবী, অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম মেহেদী হাসান ও অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জিত কুমার রায়। যাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে-পরে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলা করা হয়েছে। অসুস্থতার আবেদন করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন না অতিরিক্ত ডিআইজি উত্তম কুমার পাল, এসপি আবু মারুফ হোসেন, শাহ নুর আলম পাটোয়ারী, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশানুল হক সৈকত, এএসপি মফিজুর রহমান পলাশ, এএসপি আরিফুজ্জামান, এএসপি আল ইমরান হোসেন, এএসপি ইফতেখার মাহমুদ। চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বহুল আলোচিত আরেক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান।

এছাড়া এএসপি মি. জন রানা ৫ আগস্টের আগেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার তথ্য জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। তিনি ২ আগস্ট পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। রংপুর ডিআইজি কার্যালয় থেকে সেটি পুলিশ সদর দপ্তর হয়ে ২৮ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। পলাতকের ১৮৭ জনের এই তালিকায় ৫ জন ইন্সপেক্টরও আছেন। এ ছাড়া ১৪ জন এসআই, ৯ জন এএসআই, ৭ জন নায়েক এবং ১৩২ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এই কনস্টেবলদের মধ্যে দুজন নারী সদস্যও আছেন।

এদিকে চাকরিতে অনুপস্থিত থাকলেও বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিতর্কিত তালিকার কয়েকজনকে সংযুক্ত/পদায়ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে উত্তম কুমার পালকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত, পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দারকে রাজশাহীর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত, আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনকে এন্টিটেরোরিজম ইউনিটে পুলিশ সুপার, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ খন্দকার নুরুন্নবীকে নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে সংযুক্ত এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়কে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে সংযুক্ত করার আদেশ জারি হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুলিশের যে অবনতি হয়েছে স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন। শুধু তাই নয়, চরম ইমেজ সংকটেও পড়েছে এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও দেশের কোথাও এখন আর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সক্ষমতা পুলিশ গড়ে তুলতে পারেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যেভাবে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এর সব দায় এখন পুলিশের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর পড়েছে।

এদিকে মনোবল ভেঙে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের উজ্জীবিত করতে কাজ করছেন প্রায় ২০ বছর ধরে পদ-পদোন্নতি বঞ্চিত ১২, ১৫, ১৭, ১৮, ২০, ২২ ও ২৪ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারা। ছাত্র আন্দোলনের মতো পুলিশেও আছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। তবে এটা বাইরে প্রকাশ হয় না। ভেতরে জ্বলেপুড়ে অঙ্গার হয়েছেন এমন অফিসারের সংখ্যাও কম নয়। অন্তত দুই দশক ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা মানসিক ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন। অথচ দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকা পুলিশের এ কর্মকর্তাদের এই সংকটময় মুহূর্তে কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জুলাই-আগস্ট ম্যাসাকারে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যাতে দেশ থেকে পালাতে না পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। একমাত্র অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জিত রায় ছাড়া কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর শান্তিপূর্ণ পরিবেশের অপেক্ষায় ছিলাম। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা মেনে আমি কর্মস্থল ডিএমপিতে যোগদান করেছি। এ বিষয়টি পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাও অবগত আছেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে আমার বিরুদ্ধে অপেশাদার কোনো কর্মকাণ্ড নেই। বরং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা হওয়ার কারণে, প্রতিদিন অফিসে হাজিরা দিচ্ছি না এটা ঠিক। কিন্তু আমি চাকরি ছেড়ে দেইনি।’

সূত্র: যুগান্তর।

গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। দলে ফিরলেন ইবরাহিম জাদরান। তার গোড়ালিতে চোট ছিল। তবে চোট সারিয়ে জাদরান ফিরলেও আফগানিস্তান পাবে না স্পিনার মুজিব-উর রহমানকে। তবে দলে তার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত স্পিনার আল্লা গজনফার।

আফগান দলকে নেতৃত্ব দেবেন হাশমতুল্লা শহিদি। দলে রয়েছেন তারকা স্পিনার রশিদ খান। রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দলে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নজর কাড়া সেদিকুল্লাহ অটল। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মিরওয়াসিস আশরাফ বলেন, ‘২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিল দল। ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল। এই দুই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে দলের। এবারেও তাই ভাল ফলের আশা করছি আমরা।’

আফগানিস্তানের গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাদের দেশের বোর্ডকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার অনুরোধ করেছে।

যদিও ইংল্যান্ড বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে আফগানিস্তান। গ্রুপের শেষ ম্যাচও সেই মাঠেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লাহোরে খেলবে তারা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল:
হাশমতুল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ইবরাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, ইকরাম আলিখিল, গুলবাদিন নাইব, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, আল্লাহ গজনফার, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক এবং নাভিদ জাদরান।

এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

বাংলাদেশেও হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা দেয়।

নির্দেশনায় বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্লেনের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর বা কফসহ এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

ফ্লাইটে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ার জানিয়েছে এসব তথ্য।

রাজধানী ঢাকার দূষণ স্কোর ২৩৬ অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। একই অবস্থা হো চি মিন শহরের।

বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং চতুর্থ নম্বরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।