খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

মার্সেলের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৪৮ অপরাহ্ণ
মার্সেলের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেফতার

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্সেলের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন গাজীপুর সদর থানার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠানটির ডিস্ট্রিবিউটর পুষ্প ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারীর গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটরগণ।

সূত্রমতে, দেশব্যাপী কয়েক সহস্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ড। ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রতিবছরই বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। এতে করে ব্যবসায়ীকভাবে লাভবানও হচ্ছেন মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটরগণ। তবে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক কোটি কোটি টাকার পণ্য বাকিতে নিয়ে অর্থ পরিশোধ না করায় আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে মার্সেল।

শুধু তাই নয়; বাকিতে নেয়া পণ্যের টাকা আত্মসাত করার লক্ষ্যে অসাধু ডিস্ট্রিউিটর কর্তৃক কোম্পানির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর প্রচেষ্টায় মার্সেল ব্র্যান্ডের সুনামও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক আন্ডার রেটে পণ্য বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটরগণ।

উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের কূটকৌশল হিসেবে অজয় কুমার সাহাসহ আরও একজন ডিস্ট্রিবিউটর গাজীপুর জেলায় সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী নিয়ে অভিযোগের ভিত্তি নাই মর্মে মামলা দুটিকে খারিজ করে দেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ অসাধু ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ এবং নেতিবাচক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন মার্সেলের সৎ ডিস্ট্রিবিউটরগণ। এরই প্রেক্ষিতে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিউিটরকে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্সেল।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য নেন গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে মার্সেলের পরিবেশক ‘পুষ্প ইলেকট্রনিক্স’ এর সত্ত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত অর্থ পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কালিয়াকৈর থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। মামলা নং- ৫৩। উক্ত মামলায় গত ৬ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে গ্রেফতার হন অজয় সাহা।

অধিকাংশ নিয়োগ আ'লীগের আমলে

মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে বিসিএস সহ সরকারি চাকরি, প্রমাণ দুদকের হাতে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে বিসিএস সহ সরকারি চাকরি, প্রমাণ দুদকের হাতে

৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে বেশকিছু ব্যক্তি চাকরি নেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে এমন তথ্য মিলেছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

দুদক জানায়, ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নিয়োগ প্রদান করা ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএস-এ মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া নবম বিসিএস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছে, সেগুলোর সঠিকতা যাচাই করতে তালিকা সংগ্রহ করে দুদক টিম। প্রাথমিক পর্যালোচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়েছেন বলে টিম প্রমাণ পেয়েছে।

অভিযানে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমান জনপ্রশাসনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী শাসনামলে। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকের মুক্তিযোদ্ধার সনদ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

বিশেষত, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার সংখ্যা বেশি। নানা জাল-জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে এসব চাকরিজীবীর অনেকের বিরুদ্ধে। গত ১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৯ হাজার ৪৮৫ জন, পুলিশে ২৩ হাজার ৬৩ জন চাকরি পেয়েছেন।

বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০২ অপরাহ্ণ
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের দিকনির্দেশনায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সফরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো বিদেশ সফরের অনুমতি নেওয়ার আগে কর্মকর্তাদের ওই সফরের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

এছাড়া, ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরী কারণ ব্যতীত মাননীয় উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব/ সচিবদের একান্ত সচিব/ সহকারী একান্ত সচিবদেরও বিদেশ সফরে যাওয়া পরিহার করতে হবে।

ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যের ফল’ বলে দাবি করেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই।

বাটা জানায়, ‘বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল সূচনা হয়েছিল চেক রিপাবলিকে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু আউটলেটে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা করি।’

উল্লেখ্য, বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সবসময় মানসম্মত পণ্য সরবরাহ এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।