খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

অধিকাংশ নিয়োগ আ'লীগের আমলে

মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে বিসিএস সহ সরকারি চাকরি, প্রমাণ দুদকের হাতে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে বিসিএস সহ সরকারি চাকরি, প্রমাণ দুদকের হাতে

৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে বেশকিছু ব্যক্তি চাকরি নেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে এমন তথ্য মিলেছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

দুদক জানায়, ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নিয়োগ প্রদান করা ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএস-এ মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া নবম বিসিএস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছে, সেগুলোর সঠিকতা যাচাই করতে তালিকা সংগ্রহ করে দুদক টিম। প্রাথমিক পর্যালোচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়েছেন বলে টিম প্রমাণ পেয়েছে।

অভিযানে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমান জনপ্রশাসনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী শাসনামলে। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকের মুক্তিযোদ্ধার সনদ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

বিশেষত, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার সংখ্যা বেশি। নানা জাল-জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে এসব চাকরিজীবীর অনেকের বিরুদ্ধে। গত ১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৯ হাজার ৪৮৫ জন, পুলিশে ২৩ হাজার ৬৩ জন চাকরি পেয়েছেন।

নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই: জোনায়েদ সাকি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ণ
নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই: জোনায়েদ সাকি

নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বিচারের বিষয়ে মানুষ দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়। সংস্কার, নির্বাচন এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন- এগুলো এক সূত্রে গাথা।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংস্কারগুলো দূরত্ব ও অনাস্থা দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। নির্বাচন চাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই। যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন না হয় তাহলে সেটার ব্যাখ্যা জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ না দিলে সংস্কারের অনেক বিষয় সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। সংস্কারের অনেকগুলো বিষয়ে ঐক্যমত্য আছে আবার কিছু বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ঐক্যমত তৈরি করা এবং নানা বিষয় সংস্কারও সম্ভব। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার নিজেও নানা পক্ষপাত দেখাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও জরুরি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন, এখন তারা নতুন বন্দোবস্ত করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ফ্যাসিজমের থেকে যাওয়া শিকড়ে পানি ঢেলে তারা আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছেন।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরেছে। কোনো অভ্যুত্থানের প্রথম সারির নেতারা এতটা বিতর্কিত হননি, যতটা এখন হচ্ছেন। তরুণরা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে জড়িত হয়ে পড়েছেন, যা লজ্জাজনক।

এবি পার্টির সভাপতি মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, বিএনপিকে বলেছিলাম জাতীয় অধিকারের প্রশ্নে আপনারা ঐক্য গড়ে তুলুন। সরকার আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে নাই, রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে পারে নাই। আমাদের ঐতিহাসিক সুযোগ আমরা যেন নষ্ট না করি।

আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা কমিশনে পৌঁছালে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ রবিবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা ইসিতে পৌঁছালে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।

তবে এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে গত বছর জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পতনের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়।

‘মাতারবাড়ি প্রজেক্টে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ণ
‘মাতারবাড়ি প্রজেক্টে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান’

মাতারবাড়ি প্রজেক্টে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ রবিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, মাতাবাড়ি নিয়ে মাস্টার প্ল্যানে জাপান সহযোগিতা করবে। ২৯ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে বড় অংশ দেবে তারা।

এ ছাড়া জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইতিবাচক কথা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করাও সফরের উদ্দেশ্য ছিল, তাও অনেকটা সফল।

তিনি আরও বলেন, জাপানের মেইন ইনভেস্টমেন্ট এজেন্সি-জেটপোর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিনিয়োগে পজেটিভ রেসপন্স দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, জাপানে কর্মী পাঠানো এবং দেশটির ম্যান পাওয়ার মার্কেট নিয়ে কাজ করারও অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জাপান পাঁচ বছরে ১ লাখ লোক নিতে চায়, এ বিষয়েও কাজ করা হবে।

এ ছাড়া জাপানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ভিসা জটিলতা তৈরি হতো তারও সমাধানে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার ও সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ উপস্থিত ছিলেন।