খুঁজুন
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৩০ চৈত্র, ১৪৩১

অধিকাংশ নিয়োগ আ'লীগের আমলে

মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে বিসিএস সহ সরকারি চাকরি, প্রমাণ দুদকের হাতে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে বিসিএস সহ সরকারি চাকরি, প্রমাণ দুদকের হাতে

৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে বেশকিছু ব্যক্তি চাকরি নেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে এমন তথ্য মিলেছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

দুদক জানায়, ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নিয়োগ প্রদান করা ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএস-এ মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া নবম বিসিএস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছে, সেগুলোর সঠিকতা যাচাই করতে তালিকা সংগ্রহ করে দুদক টিম। প্রাথমিক পর্যালোচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়েছেন বলে টিম প্রমাণ পেয়েছে।

অভিযানে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমান জনপ্রশাসনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী শাসনামলে। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকের মুক্তিযোদ্ধার সনদ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

বিশেষত, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার সংখ্যা বেশি। নানা জাল-জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে এসব চাকরিজীবীর অনেকের বিরুদ্ধে। গত ১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৯ হাজার ৪৮৫ জন, পুলিশে ২৩ হাজার ৬৩ জন চাকরি পেয়েছেন।

বিতর্কিত সুবাহ

এমপি-মন্ত্রীদের কাছ থেকে অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৯ অপরাহ্ণ
এমপি-মন্ত্রীদের কাছ থেকে অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি

অশ্লীল ও অনৈতিক সম্পর্কে বিতর্কিত অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহর সিনেমায় যাত্রা শুরু হয় ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমার মাধ্যমে। ত্রিভূজ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র।

তবে দর্শকমহলে সবচেয়ে আলোচনায় সমালোচনায় ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার নাসিরের প্রেমিকা হিসেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে নানা চর্চা হয়েছিল। এরপরই গায়ক ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ফের আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন অশ্লীল তারকা খ্যাত সুবাহ। কেননা, সেই সম্পর্কও বেশিদিন টিকেনি।

নানা ইস্যুতেই প্রায় সময় আলোচনায় থাকেন সুবা। সম্প্রতি আবারো ভাইরাল হয়েছে, চিত্রনায়িকা শাহ হুমায়রা সুবাহর একটি সাক্ষাৎকার।

সাক্ষাৎকারে সুবা বলেন, আমি সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের কাছ থেকে অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি। অনেক নায়িকাই এমন প্রস্তাব পান, আমিও ব্যতিক্রম নই উল্লেখ করে বিতর্কিত সুবাহ আরো জানান, ভবিষ্যতে আমার নিজেরই এমপি হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

উল্লেখ্য, অশ্লীল তারকা খ্যাত সুবাহ মডেলিং ও অভিনয় দিয়ে যতটা নজর কেড়েছেন, তার চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে কথিত প্রেমের আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ড ও টাকা ইনকামের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। ফেসবুক লাইভে এ সম্পর্ক নিয়ে নানা তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া নাসিরের সাথে বিশ্রী ভাষায় অশালীন গালিগালাজ তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়। তারপর থেকেই সুবাহকে সবাই অশ্লীল মডেল হিসেবেই জানে।

ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’ নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৪ অপরাহ্ণ
ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’ নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম

ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েল।

তারা এই প্রতিবেদনটি প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-এর বরাতে প্রকাশ করলেও, নিজেদের প্রতিবেদনে কিছু নির্দিষ্ট দিককে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে।

এপি-এর শিরোনামে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের রাজধানীতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় এক লাখ মানুষের র‍্যালি।” সেখানে মূলত গাজার উপর চালানো হামলার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অপরদিকে, টাইমস অফ ইসরায়েল শিরোনামে যে ভাষা ব্যবহার করেছে তা তুলনামূলকভাবে ভিন্ন। তারা তাদের শিরোনামে লিখেছে, “বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ মানুষের গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, পিটিয়েছে নেতা নেতানিয়াহু ও তার মিত্রদের ছবি।” প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিক্ষোভকারীরা প্রতীকী কফিন এবং হতাহত মানুষের প্রতীকী পুতুল নিয়ে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন। একইসাথে নেতানিয়াহু, ট্রাম্পসহ পশ্চিমা নেতৃত্বের ছবি মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়িয়ে এবং পিটিয়ে তাদের প্রতীকী প্রতিরোধ প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনের শেষাংশে টাইমস অফ ইসরায়েল উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ একটি ১৭ কোটিরও বেশি জনগোষ্ঠীর মুসলিম প্রধান দেশ, যার সঙ্গে ইসরায়েলের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করে—এই বিষয়টিও তাদের প্রতিবেদনে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে।

এই প্রতিবেদন দুটি থেকেই স্পষ্ট, ঢাকায় আয়োজিত “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজর কেড়েছে এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যমও তা গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করেছে।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।

ক্ষমা চেয়ে ৩ নেতার পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৮ অপরাহ্ণ
ক্ষমা চেয়ে ৩ নেতার পদত্যাগ

জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির খুলনার তিন নেতা। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।

পদত্যাগ করা তিন জন হলেন– জাতীয় পার্টির সাবেক মহানগর সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল এবং অ্যাডভোকেট এসএম মাসুদুর রহমান।

দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে এই তিন নেতা বলেন, ‘ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়া রাজনৈতিক সংস্কার ও শিষ্টাচার। আমরা রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার চাই, যাতে ভবিষ্যতে জনগণের দোহাই দিয়ে আর কোনও স্বৈরশাসক জাতির কাঁধে চেপে বসতে না পারে।’

নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার আপাতত নেই জানিয়ে তারা বলেন, ‘রাজনীতি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

গফফার বিশ্বাস এর আগেও কয়েকবার বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় অপারেশন ক্লিন হার্ট শুরু হয়। অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করি। পরে জাতীয় পার্টি যে ক’বার জনগণের ভাষা বুঝতে পারেনি, ভুল পথে হেঁটেছে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।’

বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে খুলনা মোটর বাস মালিক সমিতি, নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন আবদুল গফফার বিশ্বাস। মাসুদুর রহমানও সরকারি আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রসঙ্গে আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ‘ওই সময় আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিষয়ে আমি সবচেয়ে সোচ্চার ছিলাম।’

উল্লেখ্য, গত বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পার্টির রওশন এরশাদ অনুসারীরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তাতে এই তিন জনের নাম ছিল।