খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১

আগাম বিদায় নেবেন ওলাফ শলৎস ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ণ
আগাম বিদায় নেবেন ওলাফ শলৎস ?

একের পর এক নির্বাচনী বিপর্যয়ের ফলে বেশ চাপের মুখে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। তার জোট সরকারের শরিক দলগুলিও ভোটারদের রোষের মুখে পড়ছে। দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট শক্তির ক্ষমতা বাড়ছে। প্রধান বিরোধী রক্ষণশীল শিবিরও সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছে। সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগেই তারা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস-কে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করে সরকারের উপর আক্রমণ আরও জোরদার করছে।

পূবের স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে ভরাডুবির পর শলৎসের এসপিডি দল আগামী রোববার বার্লিন-সংলগ্ন ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে আবার ভোটারদের সমর্থন চাইছে। ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর থেকেই সেই রাজ্যে এসপিডি-র নেতৃত্বে একটানা সরকার গঠিত হয়েছে।

জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী এবার সেই ধারাবাহিকতায় ভাঙন আসতে পারে। উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি দল সমর্থনের বিচারে প্রায় এসপিডির সমান অথবা সামান্য এগিয়ে রয়েছে।

ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য এসপিডির হাতছাড়া হলে চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি নিজের দলের মধ্যেও তার প্রতি সমর্থন আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে অন্য কোনো নেতাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করা হতে পারে। এমনটা ঘটলে শলৎসের পক্ষে বর্তমান কার্যকাল পূর্ণ করাও কঠিন হতে পারে।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেও নতুন করে আর চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবেন না, এমন ঘোষণা করা উচিত বলে এসপিডি দলের একাংশ মনে করছে। সে ক্ষেত্রে সংকটে জীর্ণ জোট সরকারও নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে কি না, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে।

তবে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেতা বরিস পিস্টোরিউস সরকারের হাল ধরলে এসপিডি দলের বেহাল অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। একাধিক কারণে শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা, বিশাল সংখ্যক বিদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের মতো বিষয় ভোটারদের মনে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে। জোট সরকারের মধ্যে প্রকাশ্যে কোন্দল ও চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎসের যথেষ্ট শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছে।

ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত এসপিডি সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হিসেবে আগামী সরকার গঠনের দায়িত্ব পেলে শলৎস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

সেই রাজ্যের রাজধানী পট্সডাম তাঁর নির্বাচনি এলাকা। তার স্ত্রীও রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তবে নির্বাচনী প্রচারে এসপিডি দল শলৎসের প্রায় উল্লেখ না করে বরং জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডিটমার ভইডকে-কে সামনে রেখে ভোটারদের সমর্থন চাইছে। এএফডি সবচেয়ে শক্তিশালী দল হলে তিনি পদত্যাগ করে কোনো জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেননা বলে জানিয়েছেন।

বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১১ পূর্বাহ্ণ
বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

লিখিত অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের স্নাতকোত্তর সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়েন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিবাহিত। তিনি ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। পরে ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ছাত্রীটি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছাত্রীর অভিযোগের পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোথায় যেন ঢিলেঢালা ভাব- এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়; সেক্ষেত্রে শুধু বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে কারও যদি অশুভ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদের শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের বাক্য শুনাব। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে সুষ্ঠুধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণ- সবার সমর্থনে সরকার। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যাকারী যেন প্রত্যাবর্তন না হয়। এটাই জনগণ চেয়েছে। আজকের সরকারের মধ্যে কেউ কেউ একচোখা দৃষ্টিতে দেখে। বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গুম-খুনের শিকার হয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ- সেই দল বিএনপি। কিন্তু কেন যেন মনে হয় উপদেষ্টারা একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে যদি নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে মানুষ আপনাদের সন্দেহ করবে। কী এমন ঘটনা আছে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পাচ্ছেন না। অথচ গণতন্ত্রের একটি উপাদান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। গ্রামের পর গ্রাম পুলিশ মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। আর এখন জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর তারা তো ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন তাদের লোক দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এটা যদি তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন তাহলে তো মানুষ ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণের ইচ্ছা তারা তাদের পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে তার বক্তব্যে ইচ্ছে করে ভাইরাল করে দেন। তিনি ভারতে আছেন। নিজেই লোক দিয়ে বক্তব্যে ভাইরাল করান। আর তার দলের নেতা ও তার পুলিশ প্রশাসনের কাউকে বিদেশে ঘুরতে, হাটতে দেখা যাচ্ছে। তারপরও যারা দেশে আছে তাদের হাতে তো বিএনপির নেতারাই খুন হচ্ছে। মূলত হত্যার নির্দেশ তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরও দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে হত্যা, এগুলো অশুভ ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার আরেকটা ভয়ংকর পরিকল্পনা-এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার যদি শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাহলে কিন্তু কোনো সংস্কার করতে পারবেন না। কারণ এখনো শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা পুলিশ প্রশাসন বহাল আছেন।

বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সিন্ডিকেট করতেন আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে। কারণ তিনি চাইতেন শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট যেন সব সময় ভারি থাকে। পকেট যেন খালি না হয়। তাই বাজারের পর বাজার মার্কেট আওয়ামী লোকেরা দখল করে রাখত। ঢাকা শহরে এমন কোনো বাজার নেই যে বাজারে সিন্ডিকেট করেনি আওয়ামী লীগের লোকজনেরা। কিন্তু এখন তো তারা নেই। তাহলে মোটা চাল-মাঝারি চাল কেন কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। এখন কেন তেলের লিটারে ৬টাকা বেড়েছে, বয়লার মুরগি কেজিতে ১২ টাকা বেড়েছে- এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। জনগণ চায় সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার। তাই বাজার মনিটরিং তীব্রতর করা হোক।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াইটাও ঠিকমতো করতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের।

কিন্তু এমন ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ব্যাটে-বলে ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ। ৮৬ রানের হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারীরা। ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতেই দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায় ভারত।

তবে পাওয়ার প্লের পরই ভারতকে ছন্দে ফেরান নীতীশ কুমার এবং রিংকু সিং। চতুর্থ উইকেটে তাদের ১০৮ রানের বিস্ফোরক জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে হাঁটে ভারত।

৩ চার এবং ৭ ছক্কায় ৭৪ রান করেন নীতীশ। ৫৩ রান আসে রিংকুর ব্যাটে। তাদের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে রানপাহাড়ে চড়ে ভারত। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২১।

বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার সবকটি উইকেটই এসেছে ২০তম ওভারে। আর তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন সমান দুটি করে উইকেট।

২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নখদন্তহীন ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আসা-যাওয়ার মিছিলে ১০০ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা। নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান। দলের অন্য ব্যাটারদের কেউ ২০ রানের ঘরেও পৌছাতে পারেননি।

ভারতের সাত বোলারের সবাই উইকেট পেয়েছেন। দুটি করে উইকেট গেছে নীতীশ ও বরুণ চক্রবর্তীর ঝুলিতে।