খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাব পর্যালোচনায় ঢাকা আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ণ
ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাব পর্যালোচনায় ঢাকা আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে নতুন করে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়েছে সরকার। এ ঋণের বিষয়ে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় চলতি মাসেই ছয় দিনের ঢাকা সফরে আসছে সংস্থাটির প্রতিনিধিদল। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা সফর করবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইএমএফ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের পরিবর্তিত অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে গত ২৯ আগস্ট আইএমএফের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ওই বৈঠকেই চলমান ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কার্যক্রম চলমান, যার শর্ত পূরণে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। তিন কিস্তিতে এ পর্যন্ত ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাকি অর্থ আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এ সময় অর্থের বিকল্প নেই বলে মত বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে নতুন ঋণের জন্য আর্থিক খাতের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে চায় আইএমএফ।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এগুলো যেন বাণিজ্যিক ঋণ না হয়, কেননা সরকার বাণিজ্যিক ঋণ নেয়ার পরিস্থিতিতে নেই। ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের একটি কাটামোতে আমরা ঢুকেছি। যত সহজ শর্তই হোক, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের কাঠামোটা ভালো লক্ষণ না। বরং এটি একটি দুষ্টু চক্রের ইঙ্গিত দেয়।

ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের সংস্কার উদ্যোগকে গুরুত্ব দেয় আইএমএফ। এক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের সুশাসন, রাজস্ব খাতের অটোমেশন, পুঁজিবাজারে স্বস্তি, বিনিয়োগ পরিবেশ, অর্থের ব্যবহারসহ নানাদিক গুরুত্ব পায়। ঋণের অঙ্ক বাড়লে পরিশোধেও বাড়বে চাপ। কিন্তু এই সময়ে অর্থের বিকল্প নেই।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, আইএমএফের নীতির সঙ্গে প্রো-বিজনেস, প্রো-রিফর্মের এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক মাসের মধ্যে ব্যাপক ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় বেশকিছু ইতিবাচক সংস্কার করার চেষ্টা করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোকে রিফর্ম করার উদ্যোগ নেওয়া এবং একইসাথে এনবিআরের রিফর্ম আমরা দেখতে পাচ্ছি। রাজস্ব খাতে সংস্কার উদ্যোগ হাতে নেওয়া গেলে বাড়ানো সম্ভব অভ্যন্তরীণ আয়।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফ আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে নিয়ে যেটা করেছে, কর প্রশাসনকে যদি শক্তিশালী করা যায়, সেভাবে অটোমেশন করা গেলে জিডিপির ২-৩ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব।

গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইএমএফের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলি কোজ্যাক বলেন, আইএমএফের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং স্টাফ মিশন হিসেবে এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। মিশনটি বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য অর্থায়ন চাহিদা পর্যালোচনা করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে এবং আইএমএফ কর্মসূচির আওতায় দেশটির জনগণকে সহায়তা করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।