খুঁজুন
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘ইজ্জত রক্ষায় আবারও পাকিস্তানে হামলার অজুহাত খুঁজছে ভারত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ
‘ইজ্জত রক্ষায় আবারও পাকিস্তানে হামলার অজুহাত খুঁজছে ভারত’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

বুধবার (১৪ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা। নরেন্দ্র মোদি তার রাজনৈতিক মূলধন হারিয়েছেন। চাপ ও জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণে তিনি হঠাৎ করে উন্মাদ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যদি মোদী হতাশা থেকে কোনো বেপরোয়া পদক্ষেপ নেন, সেক্ষেত্রে পাকিস্তান তার দৃঢ় জবাব দেবে এবং শুধু তা ই নয়—বৈশ্বিক চাপও সহ্য করতে হবে ভারতকে।

খাজা আসিফ বলেন, এখানে আর একটি কথা আমি বলব—যুদ্ধবিরতির জন্য পাকিস্তানের ওপর কোনো বৈশ্বিক চাপ কাজ করেনি। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররাষ্ট্র এই প্রস্তাব দিয়েছে, সমর্থন করেছে এবং এ কারণেই আমরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছি। এখন ভারতের মিত্রদের উচিত হবে, মোদিকে যে কোনো প্রকার বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখা।

গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার একটি শাখা এই টিআরএফ।

অতর্কিত এই হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। নয়াদিল্লির তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে ৭০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের দাবি, নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন।

আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে চালানো অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসের সাফল্যকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও শক্তিশালী জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা অতুলনীয় নির্ভুলতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতের অপ্রীতিকর আগ্রাসন রুখে দিয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার, দেশটির সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সেনাদের উদ্দেশে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতির অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেছেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেন, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।

জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা আরও জোরদারে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের নতুন এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, এসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোর মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে: শিবির সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে: শিবির সভাপতি

ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আন্দোলন করতে এসে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এভাবে ফ্যাসিস্টরাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার সাহস পায়নি। এই ধরনের আচরণে ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে কি না, সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা আন্দোলনের ফসল নিয়েই ঘরে যাবে ইনশাআল্লাহ। দাবি আদায় না করে কেউ ফিরব, না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি জবি শিক্ষার্থীদের চলমান দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পুল স্টপ হওয়া উচিত। আমি সাবেক জবি শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের সঙ্গে আছি এবং পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়ে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু তারা বারবার ভোগান্তির স্বীকার। পুরান ঢাকার ভাড়া মেসে থাকতে গিয়ে বাড়িওয়ালাদের কাছে তারা কী পরিমাণ নিগৃহীত ও হয়রানির স্বীকার হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। জবি শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের সব দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা সমর্থন দিয়েছেন।

একজন সাবেক জবিয়ান হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি নিজেও অংশগ্রহণ করেছেন বলে যোগ করেন শিবির সভাপতি।