খুঁজুন
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সিন্ধু পানি চুক্তি ভাঙার কথা যেন চিন্তাও না করে নয়াদিল্লি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
সিন্ধু পানি চুক্তি ভাঙার কথা যেন চিন্তাও না করে নয়াদিল্লি: শেহবাজ শরীফ

সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ১৯৬০ সালে হওয়া এই চুক্তি ভাঙার কথা যেন নয়াদিল্লি চিন্তাও না করে । এই দিন নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে শেহবাজ বলেছেন, ভবিষ্যতে সংঘাতের পথ বেছে নিলে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাবে ভারত।

ইসলামাবাদ থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ হলেও কূটনৈতিক পর্যায়ে নীরব যুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতি নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার তারই প্রমাণ।

এর মধ্যেই গত ১৩ মে, মঙ্গলবার পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরদিন বুধবারই তার জবাব দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুসে’ অংশ নেয়া সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে যান শেহবাজ। এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই সময় শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি যদি ভবিষ্যতে সংঘাতের পথ বেছে নেন তবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাবে ভারত।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘মোদি সাহেব, আপনি যদি আবারও সেই পথ বেছে নেন, তাহলে শাস্তি পেতেই হবে। আপনি আগেও এমন চেষ্টার মূল্য দিয়েছেন, আবারও কিছু করলে আমরা প্রস্তুত থাকব। যদি আবার হামলার কথা ভাবেন, তাহলে যা বাকি আছে তাও ধ্বংস হয়ে যাবে।’

সিন্ধু পানি চুক্তি ভঙ্গ না করার বিষয়েও ভারতকে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘১৯৬০ সালে যেই পানি চুক্তি হয়েছিল, সেটি ভাঙার কথা যেন চিন্তাও না করে। এসময় শাহবাজ বলেন, পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে দেশটির শান্তির আকাঙ্ক্ষাকে কেউ যেন দুর্বলতা ভেবে ভুল না করে।’

বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করে। গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর এর জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে।

পাকিস্তান ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে এবং আন্তর্জতাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়। দেশটি আরো জানায়, তারা ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের বিষয় আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দারস্থ হবে। পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ আসে সিন্ধু পানি চুক্তির মাধ্যমে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার জেরে কয়েকদিনের প্রাণঘাতি পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। তবে দুই দেশের মধ্যে পানি ভাগাভাগির গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি স্থগিতই রয়েছে।

আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে চালানো অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসের সাফল্যকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও শক্তিশালী জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা অতুলনীয় নির্ভুলতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতের অপ্রীতিকর আগ্রাসন রুখে দিয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার, দেশটির সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সেনাদের উদ্দেশে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতির অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেছেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেন, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।

জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা আরও জোরদারে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের নতুন এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, এসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোর মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে: শিবির সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে: শিবির সভাপতি

ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আন্দোলন করতে এসে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এভাবে ফ্যাসিস্টরাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার সাহস পায়নি। এই ধরনের আচরণে ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে কি না, সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা আন্দোলনের ফসল নিয়েই ঘরে যাবে ইনশাআল্লাহ। দাবি আদায় না করে কেউ ফিরব, না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি জবি শিক্ষার্থীদের চলমান দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পুল স্টপ হওয়া উচিত। আমি সাবেক জবি শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের সঙ্গে আছি এবং পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরও বলেন, ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়ে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু তারা বারবার ভোগান্তির স্বীকার। পুরান ঢাকার ভাড়া মেসে থাকতে গিয়ে বাড়িওয়ালাদের কাছে তারা কী পরিমাণ নিগৃহীত ও হয়রানির স্বীকার হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। জবি শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের সব দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা সমর্থন দিয়েছেন।

একজন সাবেক জবিয়ান হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি নিজেও অংশগ্রহণ করেছেন বলে যোগ করেন শিবির সভাপতি।