খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার হয়রানিমূলক মামলা হয়। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্যাসিস্ট আমলে করা অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এ পর্যন্ত সাড়ে ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৬টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে পত্র মারফত মামলার নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৪৯৪ ধারার আওতায় উক্ত মামলাগুলো প্রত্যাহার করে না চালানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এরমধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।

জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।

জেলা কমিটির কাছে যদি মনে হয় মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই সুপারিশ, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অথবা আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বরাবরেও আবেদন নেওয়া হচ্ছে। তবে, সেই আবেদনগুলো যাচাই বাছাই করে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা প্রস্তুত করে আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন আকারে অনুমোদন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। পরে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফেরত আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর চূড়ান্তভাবে চিঠি পাঠানো হয়।

জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সদস্যসচিব হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। আর কয়েকজন রয়েছেন সদস্য হিসেবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যে কেউ এই সুযোগ পাবেন। তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে হবে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান বলেন, নিরাপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

নিজেকে আড়াল করতে চান পরীমণি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
নিজেকে আড়াল করতে চান পরীমণি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের সেনসেশন পরীমণি। শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানদের বড় করে তুলছেন তিনি।

কিছুদিন পর পরই প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ তো বটেই—কখনো অনিয়ন্ত্রিত মেজাজ চালচলনের কারণেও সমালোচনায় আসেন এই নায়িকা। তবে পরীর ভক্তদের অনেকেই মনে করেন, পরীমণি কখনো নিজের মেজাজ হারালেও আদতে পরে সেসব তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। পরীমণি নিজেও সেটি অনুধাবন করেছেন হয়তো! আর তাকে নিয়ে সমসাময়িক সকল বিতর্ক কিংবা ঝামেলা এখন বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে নায়িকার জন্য। জানালেন, এ জন্য নিজেকে বদলে ফেলবেন তিনি।

শুক্রবার (১৬ মে) একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরীমণি। এ সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নানা কথা বলেন তিনি।

নিজের মেজাজ হারানোর বিষয়ে পরীমণি বলেন, আর দশজন মানুষের মতো আমারও রাগ, দুঃখ, কষ্ট, অভিমান হয়। আমি সবকিছু নিতে পারি না। দুম করে রিঅ্যাক্ট করে ফেলি। সেই রিঅ্যাকশনটা মানুষ নিতে পারে না। মানুষ বলে নায়িকা মানুষ এটা করা যাবে না। এই বাউন্ডারির মধ্যে যখন পড়ে গেছি, তখন আমার মনে হয় জাস্ট অ্যাভয়েড করি।

নিজেকে আড়াল করতে যেয়েও পারেন না পরীমণি। এ নিয়ে আক্ষেপ করে নায়িকা বলেন, আমি যত চাই ঝামেলাগুলো এড়িয়ে নিজেকে আড়াল করে জীবনটা উপভোগ করব, ততই ঝামেলাগুলো আমার ওপর জেঁকে বসে। তাই বিশ্বাস করা শুরু করেছি, সমস্ত ঝামেলা নিয়েই আমাকে বাঁচতে হবে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সংখ্যা বাড়াল আরব আমিরাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সংখ্যা বাড়াল আরব আমিরাত

দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আরব আমিরাত গিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে টাইগাররা। এরপরই জানা যায় বাড়তি আরেকটি ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ। বিসিবির এমন প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

মূলত, আরব আমিরাত সফর শেষ করে পাকিস্তানে উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে টাইগারদের। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে পূর্বের সূচি অনুসারে হচ্ছে না বাবরদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি।

বিসিবির সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে পরিবর্তিত সূচি পাঠিয়েছে পিসিবি। সেখানে ২ দিন পিছিয়ে ম্যাচ শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ২৭ মে থেকে। ২৯ মে এবং ১, ৩ আর ৫ জুন হবে বাকি ম্যাচগুলো।

যার ফলে পাকিস্তানে যাওয়ার সময়টাও পিছিয়ে গেছে। তাই আরব আমিরাতের সঙ্গে আরও একটি ম্যাচ খেলে সেই সময়টা কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিসিবি।

তাই প্রথম ম্যাচ শেষে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে ম্যাচ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। আর সেই প্রস্তব মেনে নিয়েছে স্বাগতিক দেশটি। এতেই দুই ম্যাচের সিরিজ রূপ নিয়েছে তিন ম্যাচের সিরিজে।

সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে বিক্রি হবে ওয়ালটন পণ্য

শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু

শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ওয়ালটন। দেশটিতে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান।

গত শনিবার (১০ মে, ২০২৫) সন্ধ্যায় কলম্বোর সিনামন লাইফ হোটেলে আয়োজিত ‘গ্র্যান্ড লঞ্চিং অব ওয়ালটন ব্র্যান্ড’ শীর্ষক এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে ওয়ালটনের।

শ্রীলঙ্কার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান এবং ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড’ কর্তৃক আয়োজিত ওই গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিক ট্রেডিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়াসালা মাদুওয়ান্থা আরিয়াপালা, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব, শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক থিসারা পেরেরা এবং ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নিশাত তাসনিম শুচি। অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন শ্রীলঙ্কার চার শতাধিক পরিবেশক ব্যবসায়ী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড খুবই পরিচিত নাম। শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেসের পথচলায় খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মনিক ট্রেডিংকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”

অনুষ্ঠানে পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় তুলে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগি সক্ষমতায় এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে ওয়ালটন কারখানায় পণ্য ভিত্তিক আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আরঅ্যান্ডআই সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোর ক্রেতা চাহিদা, আবহাওয়া উপযোগি ও মানদন্ড অনুযায়ী প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন, প্রযুক্তি, ফিচার ও গুণগতমানের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেসিডেন্সিয়াল এসি, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোল এসি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি ওয়ালটনের ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেজিলেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি, আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নিজস্ব উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সংযোজন করা হয়েছে।

বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সাফল্য তুলে ধরে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমানে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ড বিজনেস। এশিয়ার দেশগুলোতে ওয়ালটন ব্র্যান্ড পণ্যের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড দ্রুত ক্রেতাদের মন জয় করে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার ‘মনিক ট্রেডিং’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ওয়াসালা মাদুওয়ান্থা আরিয়াপালা বলেন, “পণ্যের গুণগতমান, উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, টেকসই এবং দামের দিক থেকে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় ওয়ালটন ব্র্যান্ড এগিয়ে রয়েছে। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসব পণ্য শিগগিরই শ্রীলঙ্কাজুড়ে সহস্রাধিক সেলস আউটলেটে জায়গা করে নিবে। সেইসঙ্গে দ্রুত শ্রীলঙ্কার ক্রেতাদের মন জয় করে নিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”

অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মো. জান্নাতুল হাবিব বলেন, শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশী টেক জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিজনেস সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।

ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম শুচি বলেন, ওয়ালটনকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করছি আমরা। আজ শ্রীলঙ্কায় আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটন ব্র্যান্ড উদ্বোধণের মধ্য দিয়ে ওই লক্ষ্য পূরণের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আশা করছি- বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন ব্র্যান্ড সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা ও মন জয় করে নিয়ে মার্কেট লিডার হয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে শক্তিশালী বিক্রয়, বিপণন ও বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা।