খুঁজুন
সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ়, ১৪৩২

নগরভবনে সভা করছেন ইশরাক, নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৪:১০ অপরাহ্ণ
নগরভবনে সভা করছেন ইশরাক, নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকার তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর আয়োজন না করলে নিজেই সমর্থকদের নিয়ে শপথ আয়োজন করবেন। গতকাল রবিবার ঘোষণা দেন, জনগণের দৈনন্দিন সেবা, আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে। এ ছাড়া প্রধান ফটকে তালা দেওয়া থাকবে।

আজ সোমবার নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে একটি সভা করেছেন ইশরাক হোসেন। যেই সভার ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের আগে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা রয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, নগর ভবনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

ব্যানারে তার নামের আগে মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন লেখা রয়েছে। সভায় ইশরাক হোসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করতে দেখা গেছে কয়েকজনকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সোমবার বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান নেন তার সমর্থকরা। পরে বেলা ১১টার পর নগর ভবনে আসেন ইশরাক হোসেন।

গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী, জরুরি সেবার চালু রাখতে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি।
এসব নিয়ে দুপুর ১টার দিকে সভার সিদ্ধান্ত এবং নতুন কর্মসূচি জানাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার কথা রয়েছে ইশরাকের।

‘আয়রন ডোমে’ আগের মতো ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ ইসরায়েলিরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
‘আয়রন ডোমে’ আগের মতো ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ ইসরায়েলিরা

ইসরায়েলি নাগরিকদের বড় অংশই নিজেদের অত্যাধুনিক ‘আয়রন ডোম’ বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এতদিন ‘দুর্ভেদ্য’ বলে মনে করতেন। কিন্তু গত তিন দিনের ইরানি হামলায় তাদের সেই অনুভূতিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিশেষ করে, হামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আগের মত আস্থা রাখতে পারছেন না। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বহুস্তরযুক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে ব্যবস্থাটি যে পুরোপুরি ‘নিখুঁত নয়’, সেটি অবশ্য স্বীকার করছেন কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইরান। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষসহ অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের নতুন হামলা শুরু হয় সোমবার (১৬ জুন)। এ সময় আইআরজিসি দ্বারা নিক্ষেপিত বেশ কয়েকটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিব, হাইফা এবং অধিকৃত ভূখণ্ডের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের শহর বেনই ব্রাকের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান মোট ৩৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন ইসরায়েল লক্ষ করে নিক্ষেপ করে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের অন্তত ৩০টি স্থানে আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত এ হামলায় দেশটিতে অন্তত ২৪ জন নিহত ও ৫৯২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলে ‘সুইসাইড ড্রোন’ পাঠিয়েছে ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর গ্রাউন্ড ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়ুমার্স হেইদারি বলেন, সেনাবাহিনী গত দুই দিনে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে কয়েক ডজন সুইসাইড ড্রোন’ নিক্ষেপ করেছে।

গত ৪৮ ঘণ্টায় সেনাবাহিনী ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে বিস্ফোরণ ঘটাতে এই ড্রোনগুলো নিক্ষেপ করেছে। ইসায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত ইরানি সেনাবাহিনীর শক্তিশালী ও ‘আত্মঘাতী’ ড্রোনগুলোর মধ্যে ‘আরশ’ অন্যতম। এই ড্রোনের পরিসর ২ হাজার কিলোমিটার।

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা পাকিস্তানের, নেপথ্যে যে কারণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৮:৪৫ অপরাহ্ণ
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা পাকিস্তানের, নেপথ্যে যে কারণ

ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত অব্যাহত থাকায় ইরানের সঙ্গে থাকা সব সীমান্ত ক্রসিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান।

সোমবার ইরানের সীমান্তঘেঁষা পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ইরানের সঙ্গে তাদের প্রদেশের পাঁচটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থলসীমান্ত পথ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চাগাই জেলার তাফতান সীমান্ত এবং গওয়াদর জেলার গাব্দ-রিমদান সীমান্ত। বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শহিদ রিনদ আনাদোলু বার্তাসংস্থাকে জানান, ইরানের পক্ষ থেকেই প্রথমে সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়, এরপর পাকিস্তানও সব বাণিজ্যিক ও যাত্রী চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ইসরাইলের হামলার ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইসরাইলের ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার পক্ষে গোয়েন্দা সহযোগিতা ও গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটি বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টার মিজান এতথ্য জানায়।

আজ সোমবার জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে ইসমাইল ফিকরিকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

ইরানের অভিযোগ, ফিকরি মোসাদের দুই এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদেরকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ করছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

ইরানের বিচার বিভাগের মিডিয়া সেন্টার মিজান জানিয়েছে, খোদানাজারের ছেলে ইসমাইল ফিকরি, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হন।

তাকে একটি জটিল কারিগরি ও গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে টার্গেট করে চালানো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার নাম এসেছে।

ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার প্রথমদিনেই ইরানে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। তবে এ ধরণের হামলা এটিই প্রথম নয়।

২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন লেবাননের ইরানপন্থি শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ’র প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।

২০২৪ সালের এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক ভবনকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল ইসরাইল এবং এই হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ড ও অন্যান্য কর্মীসহ মোট ১৩ জন নিহত হন।

ওই বছর জুলাই মাসে আরেক হামলায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ে তেহরানে নিহত হন।

যদিও ইসরাইল এই হত্যার দায় স্বীকার করেনি।