খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

‘পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
‘পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতে ভারতের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসা হবে। অভিন্ন জলরাশিতে কত ধরনের স্থাপনা রয়েছে, কতটুকু বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং পানির পরিমাণ কত– এই তথ্যগুলো আমাদের পেতেই হবে।

আন্তর্জাতিক নদীর ক্ষেত্রে কোনো দেশেরই এমন কথা বলার সুযোগ নেই যে এই নদী শুধু আমারই। আমার মানুষদের পানি দিয়ে পরে আমি অন্য মানুষের কথা ভাবব, এটা বলার কোনো সুযোগ নেই।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গ্রিন রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক নদীতে আমার ভাগের একটি হিসাব রয়েছে। আমরা পানির এই হিস্যা নিয়ে জনমানুষের কথা শুনে আলোচনার পয়েন্টগুলো নির্ধারণ করব। আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আলোচনার সূত্রপাতে আমরা খুব দেরি করব না, শিগগিরই করতে চাই। তবে এই মুহূর্তে আরও কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণে এটির (ভারতের সঙ্গে আলোচনা) হয়ত আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, উজান থেকে পানি আসার তথ্য জানার জন্য আন্তর্জাতিক আইন থাকার দরকার নেই। এটা আমাদের প্রথাগত অধিকার। আমরা বন্যা আটকাতে পারব না। কিন্তু আগাম তথ্য জানলে সতর্ক হতে পারব। জলবায়ু পরিবর্তনের এসময়ে প্রলয়ংকরী বন্যা বাড়বে। তাই ভারত, নেপাল, চায়না থেকে আমাদের এসব তথ্য পেতে হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এবং পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা।

বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০২ অপরাহ্ণ
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের দিকনির্দেশনায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সফরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো বিদেশ সফরের অনুমতি নেওয়ার আগে কর্মকর্তাদের ওই সফরের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

এছাড়া, ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরী কারণ ব্যতীত মাননীয় উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব/ সচিবদের একান্ত সচিব/ সহকারী একান্ত সচিবদেরও বিদেশ সফরে যাওয়া পরিহার করতে হবে।

ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যের ফল’ বলে দাবি করেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই।

বাটা জানায়, ‘বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল সূচনা হয়েছিল চেক রিপাবলিকে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু আউটলেটে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা করি।’

উল্লেখ্য, বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সবসময় মানসম্মত পণ্য সরবরাহ এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।