খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মাহফুজকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মাহফুজকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ইউনূস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও সরকার পতনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে মাহফুজ আলমকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ড. ইউনূস। অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি তার দীর্ঘদিনের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানান বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গী তিন জনকে পরিচয় করিয়ে দেন।

‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ বক্তব্যে ড. ইউনূস বিগত সরকার কীভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানান। আন্দোলনে গুলির সামনে কীভাবে ছাত্ররা বুক পেতে দাঁড়িয়েছে- বিশ্ব নেতাদের সামনে সেই বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। একপর্যায়ে নতুন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা বলার সময় তিনি দর্শকদের জানান, এখানে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি রয়েছেন।

এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ তিনজনকে স্টেজে আসার আহ্বান জানান। অন্য দুজন হলেন- প্রধান উপদেষ্টার দুই সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এবং নাইম আলী।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘তারা যেভাবে কথা বলেন এমন কথা আমি কখনো শুনিনি। তারা নতুন পৃথিবী, নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুত। প্লিজ আপনারা তাদের হেল্প করবেন। যেন তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এ গুরুদায়িত্ব আমাদের সবার নিতে হবে।’ এসময় তিনি বিল ক্লিনটনের হাত ধরে বলেন, ‘আপনি আমাদের সঙ্গে আছেন এ স্বপ্ন পূরণে।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের দেখতে অন্য তরুণদের মতো মনে হলেও যখন তাদের কাজ দেখবেন, বক্তব্য শুনবেন- আপনি অবাক হবেন। তারা সারাদেশ নাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা তাদের বক্তব্য, ত্যাগ, তাদের কমিটমেন্ট থেকে পিছিয়ে যাননি। তারা বলেন, আপনারা চাইলে আমাদের হত্যা করতে পারেন, কিন্তু আমরা পথ ছেড়ে যাবো না।’

এ সময় মাহফুজ আলমকে সামনে এগিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণঅভুত্থানের পেছনের কারিগর মাহফুজ। যদিও মাহফুজ সবসময় বলেন- তিনি একা নন, আরও অনেকে আছেন। যদিও তিনি গণঅভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর হিসেবে পরিচিত।’

এটা খুব সুশৃঙ্খল আন্দোলন ছিল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা হঠাৎ করে হয়েছে এমন কিছু নয়। খুবই গোছানো আন্দোলন। এত বড় আন্দোলন হয়েছে অথচ মানুষ জানতো না- কে আন্দোলনের নেতা? যার ফলে একজনকে আটক করা যেত না। বলাও যেত না যে, একজনকে আটক করলে আন্দোলন শেষ।’

তিনি বলেন, ‘তার (মাহফুজ) কথা শুনলে সারা পৃথিবীর যে কোনো তরুণ অনুপ্রাণিত হবেন। তারা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবে। তাদের সফলতার জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন। তাদের জন্য হাততালি হোক।’ এ সময় বিল ক্লিনটনসহ সবাই হাততালি দিয়ে সম্মান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির একজন সমন্বয়ক মাহফুজ আলম। মাহফুজ আবদুল্লাহ নামেও তিনি পরিচিত। আন্দোলনে নেপথ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি আলোচিত। বর্তমানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী।

দেশ ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: আমীরে জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
দেশ ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: আমীরে জামায়াত

0-0x0-0-0#

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কেউ যদি দেশকে ভালোবাসে, দেশের জনগণকে ভালোবাসে, তাহলে সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাওলানা আবদুস সুবহান (রহ.) তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দলের সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, তিনি আমেরিকায় ছিলেন। তার কিছু বন্ধু তাকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে গেলে কী হবে? তার বন্ধুরা বলেছিলেন, আপনারও একই অবস্থা হতে পারে। তখন তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে বলব আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেসব মিথ্যা। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মীর কাসেম আলী দেশকে ভালোবাসতেন। দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। আর দেশকে ভালোবাসতেন বলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। মাওলানা সুবহানরা কখনো হারিয়ে যান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার যারা সহকর্মী রাজনৈতিক মাঠে আছেন, তাদের বলব তাদের (সুবহানদের) কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের মাওলানা আবদুস সুবহানের মতো উদারতা ও সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। জাতির স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরাজিত হতে পারে কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।

জামায়াত আমিরের সঙ্গে প্যাট্রিক শ্রোয়েডার সাক্ষাৎ: জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে চ্যাথাম হাউস, যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ফেলো প্যাট্রিক শ্রোয়েডার এবং তার স্থানীয় গবেষণা সহযোগী মামুনুর রহমান এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশ বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। বৈঠকে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উন্নয়ন-অগ্রগতি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, বাংলাদেশে বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃত্তাকার অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতে ইউকের সঙ্গে ব্যবসা বজায় রাখার জন্য দলের অবস্থানসহ নানা বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের ও সাসেক্স এলুমনাইয়ের আলী আহমেদ তাহকিক।

মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

বিশ্ব ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

ইতালিয়ান এই কোচ ইতোমধ্যেই ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)–এর সঙ্গে একটি মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও ঘোষণা বাকি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র খবরে বলা হয়েছে, আনচেলত্তির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ মে মাসের শেষ দিকে, তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন। এতে করে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের ডাগআউটে থাকবেন না—এমন সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। বিদায়ের আগে ক্লাব ও কোচের মধ্যে একটি সম্মানজনক সমঝোতা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

লক্ষ্য একটাই—ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ
আনচেলত্তির সামনে এবার আরেকটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব— ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বাস্তব করা। এই চ্যালেঞ্জকে ক্যারিয়ারের শেষ ও সবচেয়ে গর্বের প্রকল্প হিসেবে দেখছেন তিনি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সাফল্যগাঁথা এবার তিনি নিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে।

পরিচিত মুখের সঙ্গে নতুন দল
ব্রাজিলের বর্তমান দলে রয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, মিলিতাও এবং উঠতি প্রতিভা এন্দ্রিকের মতো রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা—যারা আনচেলত্তির অধীনে নিয়মিত খেলছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে লা লিগার আরও ব্রাজিলিয়ান তারকা যেমন রাফিনহা, যাদের সঙ্গে আনচেলত্তির পরিচয় ও বোঝাপড়া ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

সম্মান ও কৌশলের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সমঝোতা
সিবিএফ-এর বিশেষ দূত দিয়েগো ফার্নান্দেস-এর নেতৃত্বে আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে, সাবধানতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে দুপক্ষ একমত হয়েছে।

ফার্নান্দেস গত কয়েক মাসে ইউরোপে একাধিকবার আনচেলত্তির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন। ১৬ এপ্রিল রিয়াল-আর্সেনালের ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সম্মানজনক বিদায়ের প্রস্তুতি রিয়ালেও
রিয়াল মাদ্রিদও ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আনচেলত্তির অবদান স্বীকার করে, তাকে ভবিষ্যতে ক্লাবের উচ্চপর্যায়ের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। সব পক্ষই চাইছে—এই অধ্যায় শেষ হোক সম্মান আর সৌহার্দ্যের আবহে।

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

গাজীপুরের জয়দেবপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তাসলিমা আক্তার (৩০) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জয়দেবপুর এলাকায় শিশুসহ দগ্ধ পাঁচজনকে আমাদের এখানে আনা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসলিমার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে সীমা নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে পারভীন ৩২ শতাংশ, তানজিলা ৯০ শতাংশ ও শিশু আয়ান ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশাঙ্কাজনক।

নিহতের তাসলিমার স্বামী আলী হোসেন জানান, তিনি পোশাক শ্রমিক। তার স্ত্রীও পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তাদের ১১ বছরের একটি ছেলে এবং ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তার স্ত্রী-মেয়ে ও প্রতিবেশী তিন নারী দগ্ধ হন। ওই দিন রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাসলিমা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা এলাকার কাসেম আলীর কন্যা। তারা জয়দেবপুরে ভাড়া বাসায় থাকেন।