খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

ভারতকে ইলিশ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ জানালেন আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
ভারতকে ইলিশ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ জানালেন আসিফ নজরুল

হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উৎসব মানেই আলোচনায় আসে ভারতে ইলিশ পাঠানোর প্রসঙ্গ। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতকে কখনোই এতোটা আলোচনা করতে হয়নি ইলিশ নিয়ে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে গঠন করা হয় একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার আসার পর থেকে দেশের নাগরিকদের মধ্যে বেড়ে যায় বিরত বিরোধিতা। যার কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয় নানা চাপ। সরকারের উপদেষ্টারা প্রথমে ভারতে মাছ পাঠাতে না চাইলেও পরবর্তীতে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি আদেশ জারি করা হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতিসংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের ইলিশ রফতানির এ সিদ্ধান্তে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। এসব বিষয়ে জানতে আইন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের মুখোমুখি হন নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচার হওয়া ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সম্প্রচার হওয়া ওই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৫০০ টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছিল। তখন আপনি (আসিফ নজরুল) বলেছিলেন কেন ইলিশ রফতানি করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানি করছে। এর কারণ কী?

খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, যখন ইলিশ রফতানির স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, তখন আমি উপদেষ্টা ছিলাম না। গত বছর ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রফতানির সর্বোচ্চ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এ বছর তারচেয়ে কম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার টন। পরিসংখ্যানের দিক থেকে ৩ হাজার ৯৫০ টনের সঙ্গে ৩ হাজার টনের তুলনা করতে হবে। ৫০০ টনের যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম তা দ্বিতীয় ফেজে রফতানি হয়েছিল। গত বছর আসলে রফতানি হয়েছিল ৮০২ টন। এ নিয়ে পত্রিকায়ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। আর এ বছর প্রকৃত রফতানি কত হবে শেষ পর্যন্ত দেখেন।

‘যখন ইলিশ নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম আমি বলেছিলাম, ৫০০ টন ইলিশ কেন পাঠানো হচ্ছে? ভারতকে খুশি করানোর জন্য, যারা আমাদের পানি দেয় না, যারা সীমান্তে হত্যা করে, যারা আমাদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে। যদি ভারতের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক থাকে কিংবা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে- এর আলোকে আপনি ইলিশ রফতানি করবেন কী করবেন না সেটা মানুষের মাথা ব্যথা থাকতো না,’ যোগ করেন আসিফ নজরুল।

ভারতের প্রতি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানুমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে আর বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য ছিল লাশটা নিয়ে আসা। মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা শেখ হাসিনার সরকার সমর্থন করতো। বলতো, আমাদের লোক অপরাধ করে, সীমান্তে যায় দেখে মারা যায়। কিন্তু আমরা পানি পাচ্ছি না, তার জন্য প্রতিবাদ করতো না। অথচ ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিচ্ছে।’

‘আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দেশ নেপাল আর ভুটানের সামান্য ট্রানজিটও পাচ্ছে না। দিনের পর দিন ভারতের শাসকরা আমাদের দেশ সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর অপমানজনক উক্তি করতো। এতে আমাদের মন বিষিয়ে থাকতো সব সময়। এমন একটা দেশকে নিয়ে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে থাকতেন, ভারতকে যা দিয়েছি কখনও তারা ভুলতে পারবে না। তখন মনে প্রশ্ন জাগতো, এটা কি আপনার পৈতৃক সম্পত্তি, আপনি যা ইচ্ছা দেবেন,’ বলেন আসিফ নজরুল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আপনি এমন একটা দেশকে এই জিনিসগুলো দিচ্ছেন যারা সীমান্তে আমাদের মানুষ মারে, পানি দেয় না, ওটা দেয় না। সেই ক্ষোভ থেকে তখন অনেক কিছু বলেছি। এখন আর সেই সরকার নেই। এখন কি আমার সরকার সীমান্তে হত্যা হলে প্রতিবাদ করে না? কঠোরভাবে প্রতিবাদ করে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি একটা বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্য দেখেন কত কড়াভাবে বলা হয়েছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ভারত সম্পর্কে কীভাবে কথা বলেন সেটা দেখতে হবে। আমি প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে কীভাবে ভারত সম্পর্কে কথা বলেছি সেটা দেখতে হবে। বর্তমানে ইলিশ রফতানি নিয়ে অনেকগুলো যুক্তি রয়েছে।

বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হলেও ভারত সরকারের আচরণগত পরিবর্তন হয়নি। গত সরকার (আওয়ামী লীগ) কড়া কথা বলতো না, ইলিশ দিতো। তার মানে আপনারা কড়া কথা বলছেন আবার ইলিশও দিচ্ছেন। এটা কি সিম্বোলিক যে, আপনারা ভারতের সঙ্গে একই রকম সম্পর্ক রাখবেন, শুধু কিছু কড়া কথা মাঝখানে বলবেন। ব্যাপারটা কি এ রকম?

খালেদ মুহিউদ্দীনের- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘না, এমন না। ইলিশ রফতানি নিয়ে আমি অনুসন্ধান করেছি, বিভিন্ন কথা শুনেছি। তখন একটা কথা বলা হয়েছে- আমাদের ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব হয়েছিল, তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সমর্থন ছিল। তারা আমাদের ওখানকার দূতাবাসের সামনে কর্মসূচি পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কড়া ভাষায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সমালোচনা করেছিলেন এবং এটা নিয়ে একটা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। ইলিশ প্রধানত পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য যাচ্ছে। এগুলো কিন্তু আমার যুক্তি না, এসব আমি শুনেছি। আরেকটা বিষয়, মোট যে ইলিশ রফতানি করা হচ্ছে সেটা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ।’

‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রি-অ্যালাইনমেন করতে যাচ্ছি। ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছি। যেখানে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কেন্দ্র, বর্ডার কিলিং ইস্যু রয়েছ, সেখানে একটা অপেক্ষাকৃত লঘু বিষয়ে আমরা তাদের বার্তা দিতে চাই না, তোমাদের সঙ্গে হোস্টআই। আমরা ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে ইলিশের মতো ছোট একটা জিনিস নিয়ে আঘাত করতে চাই না,’ বলেন আসিফ নজরুল।

মমতা ব্যানার্জি এখন তার দেশে কিংবা তার প্রদেশে একটি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছেন। তাকে সেফ করার জন্য আপনারা ইলিশ মাছ দিচ্ছেন। এতে মোদি সরকার বিরক্ত হবে বিব্রত হবে, সেটা আপনাদের লক্ষ্য- এটাও অনেকে বলছেন।

খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি সেভাবে বলতে চাচ্ছি না। আমি শুধু শুনেছি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা শক্তভাবে নিন্দা করেছেন। ইলিশ পাঠানো বন্ধ মানে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে হোস্টেলটির মতো- এটা আমি শুনেছি।’

বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০২ অপরাহ্ণ
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের দিকনির্দেশনায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সফরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো বিদেশ সফরের অনুমতি নেওয়ার আগে কর্মকর্তাদের ওই সফরের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

এছাড়া, ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরী কারণ ব্যতীত মাননীয় উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব/ সচিবদের একান্ত সচিব/ সহকারী একান্ত সচিবদেরও বিদেশ সফরে যাওয়া পরিহার করতে হবে।

ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যের ফল’ বলে দাবি করেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই।

বাটা জানায়, ‘বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল সূচনা হয়েছিল চেক রিপাবলিকে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু আউটলেটে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা করি।’

উল্লেখ্য, বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সবসময় মানসম্মত পণ্য সরবরাহ এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।