খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

ভারতকে ইলিশ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ জানালেন আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
ভারতকে ইলিশ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ জানালেন আসিফ নজরুল

হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উৎসব মানেই আলোচনায় আসে ভারতে ইলিশ পাঠানোর প্রসঙ্গ। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতকে কখনোই এতোটা আলোচনা করতে হয়নি ইলিশ নিয়ে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে গঠন করা হয় একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার আসার পর থেকে দেশের নাগরিকদের মধ্যে বেড়ে যায় বিরত বিরোধিতা। যার কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হয় নানা চাপ। সরকারের উপদেষ্টারা প্রথমে ভারতে মাছ পাঠাতে না চাইলেও পরবর্তীতে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি আদেশ জারি করা হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতিসংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের ইলিশ রফতানির এ সিদ্ধান্তে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। এসব বিষয়ে জানতে আইন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের মুখোমুখি হন নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচার হওয়া ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সম্প্রচার হওয়া ওই সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৫০০ টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছিল। তখন আপনি (আসিফ নজরুল) বলেছিলেন কেন ইলিশ রফতানি করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানি করছে। এর কারণ কী?

খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, যখন ইলিশ রফতানির স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, তখন আমি উপদেষ্টা ছিলাম না। গত বছর ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রফতানির সর্বোচ্চ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এ বছর তারচেয়ে কম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার টন। পরিসংখ্যানের দিক থেকে ৩ হাজার ৯৫০ টনের সঙ্গে ৩ হাজার টনের তুলনা করতে হবে। ৫০০ টনের যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম তা দ্বিতীয় ফেজে রফতানি হয়েছিল। গত বছর আসলে রফতানি হয়েছিল ৮০২ টন। এ নিয়ে পত্রিকায়ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। আর এ বছর প্রকৃত রফতানি কত হবে শেষ পর্যন্ত দেখেন।

‘যখন ইলিশ নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম আমি বলেছিলাম, ৫০০ টন ইলিশ কেন পাঠানো হচ্ছে? ভারতকে খুশি করানোর জন্য, যারা আমাদের পানি দেয় না, যারা সীমান্তে হত্যা করে, যারা আমাদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে। যদি ভারতের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক থাকে কিংবা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে- এর আলোকে আপনি ইলিশ রফতানি করবেন কী করবেন না সেটা মানুষের মাথা ব্যথা থাকতো না,’ যোগ করেন আসিফ নজরুল।

ভারতের প্রতি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানুমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে আর বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য ছিল লাশটা নিয়ে আসা। মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা শেখ হাসিনার সরকার সমর্থন করতো। বলতো, আমাদের লোক অপরাধ করে, সীমান্তে যায় দেখে মারা যায়। কিন্তু আমরা পানি পাচ্ছি না, তার জন্য প্রতিবাদ করতো না। অথচ ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিচ্ছে।’

‘আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দেশ নেপাল আর ভুটানের সামান্য ট্রানজিটও পাচ্ছে না। দিনের পর দিন ভারতের শাসকরা আমাদের দেশ সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর অপমানজনক উক্তি করতো। এতে আমাদের মন বিষিয়ে থাকতো সব সময়। এমন একটা দেশকে নিয়ে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে থাকতেন, ভারতকে যা দিয়েছি কখনও তারা ভুলতে পারবে না। তখন মনে প্রশ্ন জাগতো, এটা কি আপনার পৈতৃক সম্পত্তি, আপনি যা ইচ্ছা দেবেন,’ বলেন আসিফ নজরুল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আপনি এমন একটা দেশকে এই জিনিসগুলো দিচ্ছেন যারা সীমান্তে আমাদের মানুষ মারে, পানি দেয় না, ওটা দেয় না। সেই ক্ষোভ থেকে তখন অনেক কিছু বলেছি। এখন আর সেই সরকার নেই। এখন কি আমার সরকার সীমান্তে হত্যা হলে প্রতিবাদ করে না? কঠোরভাবে প্রতিবাদ করে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি একটা বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্য দেখেন কত কড়াভাবে বলা হয়েছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ভারত সম্পর্কে কীভাবে কথা বলেন সেটা দেখতে হবে। আমি প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে কীভাবে ভারত সম্পর্কে কথা বলেছি সেটা দেখতে হবে। বর্তমানে ইলিশ রফতানি নিয়ে অনেকগুলো যুক্তি রয়েছে।

বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হলেও ভারত সরকারের আচরণগত পরিবর্তন হয়নি। গত সরকার (আওয়ামী লীগ) কড়া কথা বলতো না, ইলিশ দিতো। তার মানে আপনারা কড়া কথা বলছেন আবার ইলিশও দিচ্ছেন। এটা কি সিম্বোলিক যে, আপনারা ভারতের সঙ্গে একই রকম সম্পর্ক রাখবেন, শুধু কিছু কড়া কথা মাঝখানে বলবেন। ব্যাপারটা কি এ রকম?

খালেদ মুহিউদ্দীনের- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘না, এমন না। ইলিশ রফতানি নিয়ে আমি অনুসন্ধান করেছি, বিভিন্ন কথা শুনেছি। তখন একটা কথা বলা হয়েছে- আমাদের ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব হয়েছিল, তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সমর্থন ছিল। তারা আমাদের ওখানকার দূতাবাসের সামনে কর্মসূচি পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কড়া ভাষায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সমালোচনা করেছিলেন এবং এটা নিয়ে একটা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। ইলিশ প্রধানত পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য যাচ্ছে। এগুলো কিন্তু আমার যুক্তি না, এসব আমি শুনেছি। আরেকটা বিষয়, মোট যে ইলিশ রফতানি করা হচ্ছে সেটা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ।’

‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রি-অ্যালাইনমেন করতে যাচ্ছি। ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছি। যেখানে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল কেন্দ্র, বর্ডার কিলিং ইস্যু রয়েছ, সেখানে একটা অপেক্ষাকৃত লঘু বিষয়ে আমরা তাদের বার্তা দিতে চাই না, তোমাদের সঙ্গে হোস্টআই। আমরা ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে ইলিশের মতো ছোট একটা জিনিস নিয়ে আঘাত করতে চাই না,’ বলেন আসিফ নজরুল।

মমতা ব্যানার্জি এখন তার দেশে কিংবা তার প্রদেশে একটি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছেন। তাকে সেফ করার জন্য আপনারা ইলিশ মাছ দিচ্ছেন। এতে মোদি সরকার বিরক্ত হবে বিব্রত হবে, সেটা আপনাদের লক্ষ্য- এটাও অনেকে বলছেন।

খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি সেভাবে বলতে চাচ্ছি না। আমি শুধু শুনেছি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা শক্তভাবে নিন্দা করেছেন। ইলিশ পাঠানো বন্ধ মানে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে হোস্টেলটির মতো- এটা আমি শুনেছি।’

জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির নতুন সদস্য হয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত সফল ইউপি চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল কাদের শেখ।

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার নিজ ইউনিয়ন কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নাবসীসহ সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে উচ্ছ্বাস। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আব্দুল কাদের চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জেলা, সদর, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

গত (২৬ এপ্রিল শনিবার) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতির মাধ্যমে আলহাজ্ব আব্দুল কাদেরসহ ৫জনকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়।

মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ও সংগ্রামে সিরাজগঞ্জে যে ক’জন নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের একজন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ। সিরাজগঞ্জের রাজনীতির ইতিহাসে সৎ ও ক্লিন ইমেজের যে কয়েকজন নেতার নাম বলতে গেলে যার নামটিও উঠে আসে সবার আগে তিনি হচ্ছেন আব্দুল কাদের চেয়ারম্যান।

আওয়ামী দুঃশাসনে নেতাকর্মীদের বিপদ আপদে পাশে থেকে, তাদের পরিবারের খোঁজ নেয়া, মামলায় বিপর্যস্ত নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা হয়েছেন তিনি। এমনকি বিগত আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বিস্ফোরক, হত্যা, ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় ৩০টি মামলার আসামী হয়েছেন তিনি। চারবার গ্রেপ্তার হয়ে এক বছরের অধিক সময় কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। তবুও জেল জুলুম নির্যাতন ও অত্যাচারিত হওয়ার পরেও দলীয় কর্মকান্ড থেকে পিছুপা হননি আব্দুল কাদের শেখ। কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ বা আতাঁত করেননি।  স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন, সৎ ও ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ আব্দুল কাদের শেখ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হয়েছেন বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।      

এ বিষয়ে আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ বলেন, দলের দায়িত্বপ্রাপ্তির আনন্দ আছে। আমরা সবসময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছি। এই স্বীকৃতি দলের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে নিজেকে এই দেশ, সমাজ ও মানুষের প্রতি নিবেদিত থেকে দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত আছি।

পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারম্যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির অভিভাবক, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের দিক-নিদের্শনা মোতাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইনশাল্লাহ। একই সঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত যুগান্তকারী ৩১ দফার বার্তা সিরাজগঞ্জের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ও পাড়া-মহল্লার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।#

শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভারতে থেকে হাসিনার বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বে হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আল জাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।

ওই সাক্ষাৎকারে সংস্কার, নির্বাচন, চীন প্রসঙ্গ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান- শেখ হাসিনা দাবি করছেন, তিনি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতে বসে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতে তার উপস্থিতিকে কীভাবে দেখছে?

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন। মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। মোদীকে স্পষ্টভাবে বলে বলেছি, যখন তিনি (হাসিনা) সেখানে আছেন, তখন যেন কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। কারণ এটি আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি (হাসিনা) বাংলাদেশের মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিচ্ছেন, আর তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী মোদী কী বলেছিলেন। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ঠিকঠাক মনে করতে পারি, তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (ভারত) এমন একটি দেশ, যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত, আমি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মনে করেন কি না, ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দিচ্ছে, যেন দেশে ফিরে তাকে ন্যায়বিচারের সম্মুখীন না হতে হয়। তিনি ভারতের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন কি না?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারত সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। কিন্তু তারা এখনো কোনো উত্তর দেয়নি। যখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন আদালত তাকে নোটিশ পাঠাবে এবং তখন দেখা যাবে কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই আছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ শেষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৩টায় তিনি দেশে পৌঁছান।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।

কাতারের দোহায় আর্থানা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে ২১ এপ্রিল তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। দোহায় চারদিনের সফর শেষে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের উদ্দেশে ইতালিতে যান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের শেষকৃত্যে যোগদান শেষে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ইতালির রোম থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সোমবার ভোরে দেশে ফেরেন।