খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

প্রতি কেজি ১২'শ টাকা

দুই বন্দর দিয়ে ভারতে গেল ৬১ টন ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২০ পূর্বাহ্ণ
দুই বন্দর দিয়ে ভারতে গেল ৬১ টন ইলিশ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার ২৩টি ট্রাকে ৬১ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এটিই ভারতে ইলিশের প্রথম চালান।

এবার মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠান ২৪২০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানি চলবে।

সার্বিক তথ্যঃ
বেনাপোল (যশোর): স্থলবন্দর দিয়ে ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশের ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই ইলিশ রপ্তানি করে। এরমধ্যে জেএস এন্টারপ্রাইজ রপ্তানি করে ১০ হাজার ৭২০ কেজি, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ১১ হাজার কেজি, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ ৪ হাজার কেজি, রূপালি সী ফুড লিমিটেড ৫ হাজার কেজি, জেবিএস ফুট প্রোডাক্ট ৩ হাজার কেজি, নোমান এন্টারপ্রাইজ ৮ হাজার কেজি, আহানাফ ট্রেডিং ১ হাজার কেজি, প্যাসিফিক সী ফুড ৪ হাজার ৮শ কেজি ও সুমন ট্রেডার্স ৪ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য পড়েছে ১০ মার্কিন ডলার বা ১১৮০ টাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইলিশের এ চালান ভারতে যায়।

বেনাপোল বন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, রপ্তানি করা ইলিশের গুণগত মান পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ট্রাকচালক জানান, চাঁদপুর থেকে চার টন ইলিশ নিয়ে আসেন তিনি। কাগজপত্র যাচাই শেষে বেনাপোল কাস্টমস তাকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ৭ টন বা ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়েছে। কাস্টমস সূত্র জানায়, বাংলাদেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস করপোরেশন ও স্বর্ণালী ট্রেডার্স এবং আমদানিকারক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হিমপেক্স ইন্টারন্যাশনাল এ বাণিজ্য করে। আখাউড়া কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, প্রতিবছর পূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। এ বছরও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পর্যায়ক্রমে ২০০ টন ইলিশ রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, ইলিশ রপ্তানিতে বন্দর মাশুল পাবে। কাগজপত্রের কাজ শেষে চালান যাতে দ্রুত ভারতে যেতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

চাঁদপুরে ইলিশ ঘাটতি:
দেশের উৎপাদিত ইলিশের বিরাট একটি অংশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে আহরিত হয়। এবার এখানকার নদীতে ইলিশের আহরণ একেবারেই কম। পাশাপাশি বিভিন্ন দাদনদারদের কাছ থেকে এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর ইলিশ মাছের প্রাপ্তি অনেকটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ইলিশের ভরা মৌসুমে এখন প্রতিদিন চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চারশ হতে ছয়শ মন ইলিশ আসছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। অথচ বিগত বছরের এ সময় চাঁদপুর মাছ ঘাটে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার মন ইলিশ আমদানি হতো।

বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০২ অপরাহ্ণ
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের দিকনির্দেশনায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সফরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো বিদেশ সফরের অনুমতি নেওয়ার আগে কর্মকর্তাদের ওই সফরের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

এছাড়া, ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরী কারণ ব্যতীত মাননীয় উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব/ সচিবদের একান্ত সচিব/ সহকারী একান্ত সচিবদেরও বিদেশ সফরে যাওয়া পরিহার করতে হবে।

ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যের ফল’ বলে দাবি করেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই।

বাটা জানায়, ‘বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল সূচনা হয়েছিল চেক রিপাবলিকে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু আউটলেটে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা করি।’

উল্লেখ্য, বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সবসময় মানসম্মত পণ্য সরবরাহ এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।