খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

এডিবির পূর্বাভাস

শিগগিরই কমছে না মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি ৬.৬ থেকে কমে হবে ৫.১%

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
শিগগিরই কমছে না মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি ৬.৬ থেকে কমে হবে ৫.১%

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একই সঙ্গে দেশে চলমান মূল্যস্ফীতিও শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। সংস্থাটির গতকাল প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর সংস্করণে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়।

এতে চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ কমিয়ে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এডিবি। এর আগে এপ্রিলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এ অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংস্থাটির পূর্বাভাস সংশোধন করে কমানো হলো ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট।

এর আগে গত এপ্রিলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে। কিন্তু এখন এডিবি বলছে, মূল্যস্ফীতি শিগগিরই কমছে না। বরং তা উন্নীত হতে পারে ১০ দশমিক ১ শতাংশে। অর্থাৎ দেশের চলমান মূল্যস্ফীতির বর্তমান ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এডিবির বক্তব্য হলো গত জুলাই ও আগস্টে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাব। এ দুইয়ের সম্মিলিত প্রভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে আসবে।

এ বিষয়ে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজস্ব ও আর্থিক নীতির কঠোরতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ক্রয় ও বিনিয়োগ আরো কমবে। নেতিবাচক ঝুঁকি থাকায় সামষ্টিক অর্থনীতির পূর্বাভাস অত্যন্ত অনিশ্চিত। এসব ঝুঁকির উৎস হলো চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা।

এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতি ও অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে দেশে চাহিদা কমবে বলে মনে করছে এডিবি। সংস্থাটির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে বলা হয়, পণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়নে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মূল্যস্ফীতি, যা আবার দুই অংকের ঘরে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমদানি-রফতানি কমায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে।

রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, সুদ ও টাকার বিনিময় হার যথাযথ নীতির মাধ্যমে স্থিতিশীল করা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ওপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে বলে মনে করছে এডিবি।

ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক হিসাবের ওপর চাপ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও বেসরকারি বিনিয়োগের ধীরগতির কারণে গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশের নিচে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বাভাস ছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলমান চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদরা একে ‘উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। গত সরকারের আমলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে অর্থনীতিতে বড় সাফল্য হিসেবে দেখিয়েছে। কিন্তু কভিড শুরুর পর থেকে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের বেহাল দশা শুরু হয়। একই সঙ্গে তৎকালীন সরকারের দেখানো পরিসংখ্যানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।

দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। সীমিত আয়ের মানুষকে চড়া দামে বাজার থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে। গত জুলাইয়ে দেশের মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘর ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, জুলাইয়ে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত এক যুগে সর্বোচ্চ। আগস্টে এ হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু তা ১০ শতাংশের ওপরেই রয়ে গেছে। এ সময় খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১১ শতাংশের মতো।

এছাড়া গত জুন পর্যন্ত আগের এক বছরের প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের আশপাশে। এ উচ্চ মূল্যস্ফীতিকেই এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন কয়েকজন উপদেষ্টা। সে আলোকে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। সামনে তা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, প্রবৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কমবে। আর মূল্যস্ফীতি কমতেও সময় লাগবে। এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ব্যাংকের নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এসব পদক্ষেপের প্রভাব বাজারে পড়তে কিছুটা সময় লাগবে। বাজার ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে খুব দ্রুত মূল্যস্ফীতি নামিয়ে নিয়ে আসার কথা ভাবলেও সেটা হয়তো হবে না। আর প্রবৃদ্ধি কিছুটা স্তিমিত হয়ে ৫ শতাংশের আশপাশেই থাকবে।

কারণ দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যক্তি খাত এখনো স্বস্তির স্থানে পৌঁছেনি। তাই এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না। আবার সরকারি বিনিয়োগ বা এডিপিতেও কিছুটা কাটছাঁট করা হবে। তবে কিছুটা কম প্রবৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অর্থনীতিকে বেগবান করা যাবে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এলে পরে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়া যাবে।’

শুভ জন্মদিন টেস্ট ক্রিকেট

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ণ
শুভ জন্মদিন টেস্ট ক্রিকেট

Oplus_131072

১৮৭৬ সালের নভেম্বরে মূলত খেলার চেয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের একটি দল জেমস লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফর করেছিলো। অস্ট্রেলিয়ার তখন কেন্দ্রীয় কোনো ক্রিকেট দল ছিল না। নানা রাজ্য দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের দলটি খেলে অর্থ উপার্জনে মনোনিবেশ করে।

জেমস লিলিহোয়াইট যদিও তার দলে এই সফরে কোনো অপেশাদার (অ্যামেচার) ক্রিকেটারকে রাখেননি। এর অর্থ, বিখ্যাত ডব্লিউ জি গ্রেস এই সফরে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড ঘুরে আবার লিলিহোয়াইটরা অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসে।

অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলস লিলিহোয়াইটদের চ্যালেঞ্জ জানায় একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেরার জন্য। ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ মেলবোর্নের বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিতে শুরু হয় ওই ম্যাচটি। যেখানে ইংল্যান্ড দলের ১১ জনের সবাই পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন।

যদিও ইংল্যান্ড দলে সেই ১১ জনের মধ্যে কোনো উইকেটরক্ষক ছিল না। কারণ, টেড পুলি নামে যে উইকেটরক্ষক ছিলেন, তিনি ছিলেন মূলত একজন জুয়াড়ি এবং জুয়ার কারবার করতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডে গ্রেফতার হন ক্রাইস্টচার্চের কারাগারে বন্দী হন।

তো ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ সালে অল ইংল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার সম্মিলিত একাদশ মুখোমুখি হয় এমসিজিতে। শুরুতে এই ম্যাচটিকে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে প্রচারিত হয়নি। কিন্তু এটি দুটি প্রতিনিধিত্বমূলক দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে এবং শেষ পর্যন্ত এটাকেই ক্রিকেটের প্রথম অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচের মর্যাদা দেয়া হয়। সেই থেকে কেটে গেছে ১৪৮টি বছর।

সে হিসেবে ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ দিনটিকে বলা হয়, টেস্ট ক্রিকেটের জন্মতারিখ হিসেবে। ম্যাচটিতে টস জিতে স্বাগতিকরা ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়ান দলটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ফ্রেডরিক স্পফোর্থ ছিলেন না। ইংল্যান্ডের অপেশাদার দলে ছিল সেরা সেরা ব্যাটাররা। কিন্তু পেশাদার দল নিয়ে খেলায় ডব্লিউ জি গ্রেসসহ অনেকেই ছিলেন না ওই ম্যাচে। অর্থ্যাৎ, দুই দলই পূর্ণ শক্তির ছিল না বলা যায়।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান, প্রথম সৌভাগবান ব্যাটার- যিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বল মোকাবেলা করেন, প্রথম রান করেন এবং প্রথম হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করেন। কেন্টে জন্ম নেয়া এই ব্যাটারকে প্রথম বল করেন ইংলিশ বোলার আলফ্রেড শ। পরের বল থেকে প্রথম রান সংগ্রহ করেন ব্যানারম্যান।

ওই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬৫ রান করেন। ব্যানারম্যানের প্রথম-শ্রেণির ক্যারিয়ারের এটাই একমাত্র সেঞ্চুরি। ১৬৫ রান করার পর জর্জ আলিয়েটের বল তার আঙুলে আঘাত করায় আহত হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৪৫ রান। দলীয় স্কোরের মধ্যে ৬৭.৩ শতাংশ রান সংগ্রহ করেন ব্যানারম্যান, যা ১৩০ বছর পরও একটি রেকর্ড হিসেবে টিকেছিল। অস্ট্রেলিয়ার করা ২৪৫ রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১০৪ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের বোলার অ্যান্ড্রু শ।

জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান বোলার টম কেন্ডালের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। টম কেন্ডাল ৩৩.১ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে একাই নেন ৭ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে জয়লাভ করে: ঠিক ১০০ বছর পর একই মাঠে, তারা সেন্টেনারি (শতবর্ষ উদযাপন) টেস্টে ইংল্যান্ডকে ঠিক একই ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। যা এই ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচের স্মরণে আয়োজন করা হয়েছিল।

১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনার সূচনার দিন। এটি শুধুমাত্র একটি ম্যাচই ছিল না, বরং এটি ক্রিকেটের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিল। আজও টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে এবং এর সূচনা হয়েছিলো সেই ঐতিহাসিক দিনে।

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিষ্কার অভিযান

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিষ্কার অভিযান

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকা কলেজ মাঠে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে ইফতার এবং ইফতার পরবর্তীতে উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করা হয়। যা রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছে স্থানীয়দের।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্তৃক উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত ছাত্রদলের নিয়মিত নানাবিধ রাজনৈতিক ও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এই আয়োজন। তবে গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন না করে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ছাত্রদল।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। বিএনপি, ছাত্রদল সহ সমমনা সংগঠন গুলোকে নানাবিধ অপবাদ, প্রপাগাণ্ডা এড়িয়ে চলতে গঠনমূলক দিকনির্দেশনা না সাজ্জাদ। সেইসাথে পবিত্র মাহে রমজানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে নিয়মিত বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ সহ রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

এসময় প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হল শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি এনামুল হক শান্ত, আহবায়ক সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম মেহেদী, সদ্য সাবেক সদস্য ফাহিম মুন্তাছির, আহবায়ক সদস্য মিরাজ হোসেন, আহবায়ক সদস্য ওমর ফারুক, রিয়াদ আব্দুল্লাহ, মাসুদ পারভেজ, মোঃ সাকিব হাসান, সাকিব আল হাসান, আলমাস শেখ, ইভান, জিহাদ, হারুন, রাব্বানী, আল আমিন, রায়হান, মাজহারুল, আজমাইন, আশফাক প্রমুখ।

স্বাধীনতার পর যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিলো,৫ আগষ্টের পর অনেক ভুয়া আগষ্টধারী সেজেছে

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
স্বাধীনতার পর যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিলো,৫ আগষ্টের পর অনেক ভুয়া আগষ্টধারী সেজেছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, একাত্তরের নয়মাস জীবনপণ যুদ্ধ করে যারা দেশকে হানাদার মুক্ত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল,তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আঁড়াল করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করেও যেমন অনেকে  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিল,২৪ এর জুলাই আগষ্ট ছাত্র গণআন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী নিকৃষ্টতর স্বৈরশাসকের পতন ও দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও তেমনি অনেক ভুয়া জুলাই আগষ্ট বিপ্লবধারী দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তাদের মুখোশ উম্মোচন করে দিতে হবে,১৭ বছরের আন্দোলনের জনআকাঙ্খা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির  সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরো বলেন,জনগণের শক্তিই বড় শক্তি,বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলিয়ান,বিএনপিকে কোন ষড়যন্ত্রই নিঃশেষ করতে পারে নাই,আগামিতেও পারবে না।  অপকর্ম করে অন্যরা, আর সুকৌশলে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিএনপির ত্যাগীকর্মীদের উপর। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমান বলেছেন,১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে মিছিলে সবচেয়ে পিছনে থাকা কর্মীকে আগে মূল্যায়ন করতে হবে,যারা ত্যাগ শিকার করেনি তাদের বিষয় পরে ভাবা হবে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রধান বক্তা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটি মামলাও আদালতে তুলতে পারলেন না,

 সাত মাস হয়ে গেছে,কোন সংস্কারই করতে পারলেন না,সংস্কার করা আপনাদের কাজ না,সংস্কার করারাজনীতিবিদদের কাজ, সংস্কারের নামে কোন তালবাহানা না করে

তাড়া তাড়ি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সম্মানের সাথে বিদায় নিন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম হচ্ছেন একজন মহান মানুষ,আদর্শিক মানুষ। তারা মতো হলে সৎ হতে হবে, অনেক ত্যাগ শিকার করতে হবে।  যারা এমপি হতে চান তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন ,আপনারা এমপি হন,মন্ত্রী হন,আপত্তি নেই,কিন্ত দলের কাউন্সিল ও কমিটি গঠনে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না,ত্যাগীদের মূল্যায়ন করুন,তাঁদের নেতৃত্বের প্রতিবন্ধকতা সৃষ  করবেন না।

বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মোঃ আমীরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে  ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ভিপি শামীম খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোঃ আবু সাইদ সুইটের যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সদস্য রুমানা মাহমু ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এম. আকবর আলী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কন্ঠ শিল্পী রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি  সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান লেবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, মোঃমকবুল হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,রকিবুল করিম খান পাপ্পু

যুগ্ম  সাধারণ সম্পাদক ও ,সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নুর কায়েম সবুজ, এডভোকেট সিমকী ইমাম খান ও  অধ্যাপক আবু হাশেম।

জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় জেলা ১৮ টি সাংগঠনিক ইউনিটের বিএনপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।