খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে: হারুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে: হারুন

২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে একটি মিছিলে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় প্রথম আলোচনায় আসেন মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। এরপর থেকে বিভিন্ন নেতিবাচক ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তার নাম আসতে থাকে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় দুই মাস পার হলেও এখনো গ্রেফতার হননি বিক্ষোভ দমনে গুলি ছুঁড়তে নির্দেশ দেওয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন হারুন।

গত ২৯ আগস্ট খবর পাওয়া যায় হারুন রাজধানী উত্তরার একটি বাসায় অবস্থান করছেন! এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসা ঘিরে রাখেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পাওয়া যায়নি। এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তার অবস্থান নিয়ে এক রকমের ধোঁয়াশ রয়েছে।

অজ্ঞাত স্থান থেকেই একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা। সেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলন দমনে তার ভূমিকাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। দাবি করেছেন— তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাকে মোয়া বানানো হচ্ছে।

হারুন বলেন, আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তখনো আমি চুপ ছিলাম। সরকার যখন বলল, সবাইকে কাজে যোগ দিতে। তখন আমি গত ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে তখনই যোগ দিতে নিষেধ করেন। আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমি যোগদান করতে গেছি। কিন্তু আমি যোগ দিতে পারিনি। দুই দিন পর দেখি আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, কমিশনার ও আমাকে হুকুমের আসামি করা হয়। তখন আমি অবাক হলাম। আমি তো ডিবিতে কাজ করি। ডিবির কাজ হলো মামলা তদন্ত করা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশ দিলে আমরা গ্রেফতার করি। মোহাম্মদপুরে তো আমি গিয়ে মারামারি করিনি, এটা তো আমার কাজ না। অতিরিক্ত কমিশনার কি মারামারি করতে যায়? আর ডিএমপিতে কমিশনারের পরে ছয়জন অতিরিক্ত কমিশনার। আমি হলাম ৬ নম্বর কমিশনার। সেখানে আমার নামে যখন মামলা হলো তখন তো একটু…। আবার বলা হলো মামলা হলেও সমস্যা নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে গ্রেফতার করা হবে না। আমি মনে করলাম ভালো কথা। ভাবলাম জয়েন করব। পরের দিন দেখলাম একজন উপদেষ্টা বললেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জয়েন করেননি আপনারা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। আমি তখন আরো অবাক হলাম। আমি ‍যদি চাকরিতে জয়েন না করি তাহলে প্রসিডিং করবে। আর যোগ দিলে আমাকে দিয়ে জোর করে চাকরি করাবেন। এটা শোনার পরে আমার মনে হলো রিস্ক। মানে আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে। এখন মানুষকে ধরে যেভাবে পেটানো, ডিম মারা হচ্ছে। যদি আমাকে…। আগে তো বাঁচতে হবে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটু চুপ আছি।

৫ আগস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি-ভিডিও ছড়ায়, যেখানে দাবি করা হয় ছাত্র-জনতার হাতে গণপিটুনি খেয়েছেন হারুন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেসবুক, ইউটিউবে নানা গুজব আছে। আপনারা মরার ছবিসহ নানা গুজব দেখেছেন। আমি এগুলো নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যারা এগুলো বলে তারা টাকা-পয়সা পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ে। এগুলো গুজব।

পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালাতে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার বিষয়ে সাবেক ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি পুলিশ সদর দপ্তরে যাইনি।’

সরকারপ্রধান (শেখ হাসিনা) সবাইকে বিপদে ফেলে চলে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি ছোট মানুষ। আমি ডিএমপির প্রধানও না, পুলিশের প্রধান না। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে। আমি কেন আলোচিত-এর একটাই কারণ যেখানে অপরাধ হয়েছে সেখানে আমি মানুষকে সেবা দিয়েছি। মানুষ যখন যে সমস্যায় পড়েছে তারা থানায় না গিয়ে ডিবিতে আসত। ডিবিতে আমার চাকরিজীবনে মানুষের উপকার করেছি। কারো ক্ষতি করিনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অনেক বড় বড় কাজ করেছি, তবে পুরস্কার পাইনি। আমি আমার বিবেকের তাড়নায় কাজ করেছি।

দেশবাসী কেন আপনাকে ঘৃণা করে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ১২ বছর চাকরি করেছি। আমার কোনো অন্যায় থাকলে আপনি আমাকে ছাড়তেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আমি একটু অড পজিশনে পড়ে গিয়েছি, এখন যদি বলে হারুন খুব খারাপ… তাহলে আমি কী খারাপটা করেছি বলেন। আমি কার ক্ষতি করেছি? আমার কাছে যারা-যেসকল আসামিরা ছিল… এমনও বড় বড় বিএনপি নেতারা আমার কাছে গিয়েছিল.. তারা আমাকে বলতো আমার ফ্যামিলি প্রবলেম আছে, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম সলভ করে দিও। এসব বিষয়ে আমি আরেকদিন কথা বলব।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

৫ আগস্টের পর সংস্কারবিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি মুজিবাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমাদের মধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, বিপ্লবের যারা স্টেকহোল্ডার তাদের মধ্যে কেউ কেউ সংস্কারবিরোধী রাজনীতিটা করল; মানে এটার আউটকামটা আসলে দেশের জন্য কী, এটা একটা প্রশ্ন। আরেকটা প্রশ্ন থাকে যে, কেউ কেউ রিঅ্যাকশনারি (প্রতিক্রিয়াশীল) রাজনীতিতে ঢুকে গেল এবং এই রিঅ্যাকশনারি পলিটিক্সে ঢোকার মাধ্যমে তারা মুজিববাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলল।

তিনি বলেন, মুজিববাদী রাজনীতি একটা সময় পর্যন্ত ছিল না, যখন আপনি আবার জাতীয় সংগীতের বিতর্কে ঢুকলেন, যখন আপনি আবার এই রিঅ্যাকশন দেওয়া শুরু করলেন নতুন রাজনীতি বিনির্মাণ না করে; তখনই কিন্তু মুজিববাদী রাজনীতি আবার প্রাসঙ্গিক হওয়া শুরু করল এবং যতদিন যাচ্ছে তত বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন আপনারা, এটা দিয়ে আসলে আমাদের কী উপকার হলো বা এর দায়টাই বা কার?

২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যদি ২০২৪ সালের গণভুত্থানের আউটকামের বিষয়ে আলাপ আসে, আমরা গণভুত্থানের পর পর তিনটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল যে সংস্কার, বিচার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর। বিচারের বিষয়ে যতটুকু অবগত আছি, অগ্রগতি হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর একটা রায়ও হওয়ার কথা এবং এর প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার লকডাউন ডেকেছে ঢাকায়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে যদি সংস্কারের কথা বলি, আমরা দেখেছি যারা সংস্কারের কথা সবচেয়ে বেশি বলতো ৫ আগস্টের পরে তারা কেন জানি সংস্কারবিরোধী রাজনীতিতে ঢুকে গেল। আমরা আসলে জানি না এই সংস্কারবিরোধী রাজনীতির আউটকামটা তাদের জন্য কী? আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ক্ষতি কিন্তু তাদের জন্য কোন দিক দিয়ে সফলতা বয়ে আনছে?

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কী জানেন না জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, খুব জনপ্রিয় একটা শব্দ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এখনো জানি না যে আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তটা কী? মানে এটা কি জিনিস? মানে কিছু পপুলিস্ট কার্যক্রম করলেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়ে যায় না। এটার রূপরেখাটা কি লিখিত আছে? এখন পর্যন্ত বা সেটা কী যারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতি করছেন বা নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন, তারা এটা দিতে পেরেছেন কি না?

তিনি বলেন, আমিও আমার এই ক্যাপাসিটি থেকে বের হলে আমিও রাজনীতি করব। তখন আমার আসলে খুঁজতে হবে যে, আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জিনিসটা কী? বা এটা কোথায় আছে? আমাকে যদি কেউ একটা লিফলেট বা একটা পেপার না দিতে পারে যে, এটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাহলে আমি কীসের আশায়, কোন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দিকে যাব? সেটা তো আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাব!

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের মতো যাদের একটু জিজ্ঞাসা আছে তাদের সবারই আসলে কনফিউশনটা আছে। কারণ কিছু পপুলিস্ট অ্যাক্টিভিটি দিয়ে তো আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয় না। সেটা যে কেউ এসে করতে পারে। আপনার রূপরেখাটা কোথায়, সেটা আসলে জনগণের কাছে বিশেষ করে তরুণদের কাছে তাদের আগ্রহটা বেশি, আমার মনে হয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে প্রেক্ষাপট তাতে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যেটা ৫০ বছর ধরে বারবার বলা হয়েছে যে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এখন বাস্তব পরিসরে আমরা এসে দেখি আসলে আমাদের কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব নেই। আমি যদি রুমে যারা আছে ১৫০, ২০০ মানুষ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে যাই তাহলে আমার কারো সঙ্গেই আসলে প্রকৃত বন্ধুত্ব হয়ে উঠবে না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি যে, মিনিংফুল ফ্রেন্ডশিপ যাদের সঙ্গে করা যায় তাদের সঙ্গে করা, যাদের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক পরিসরের স্বার্থটা মেলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় এই গোলটেবিল বৈঠকে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, পুসাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহমিদুর রহমান, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ সজল বক্তব্য দেন।

আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে পরিদর্শন শেষে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলেও, তিনি এর কোনো জবাব দেননি। সে সময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি।’

পরে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। সারাদেশে শতাধিক টিটিসি আছে। এখানে যারা কাজ করেন, তারা কর্মসংস্থানের জন্য দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মেয়েদের যে টিটিসি রাজশাহীতে অবস্থিত সেটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ টিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্য উপদেষ্টামণ্ডলী সবাই কাজ করছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণভোট ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, এখন যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো ডিসিশন না নিতে পারে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসিশন নেবে। অনকেই বলছেন জুলাই চার্টার করতে কৃষক, নারী, লেবারদের সঙ্গে কথা হয়নি। তাহলে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো কি এসব মানুষদের রিপ্রেজেন্ট করে না?

তিনি বলেন, জুলাই চার্টারে সব কিছুই এসেছে। নির্বাচনের পর নতুন করে আনার ডায়ালগ হতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছে। তার মানে দেশের সবাই টেররিস্ট। সবাইকে হত্যা করে উনি ক্ষমতায় আসবে। আমার মনে হয় শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমির আগেই শেষ বাংলাদেশ নতুন খসড়ায় ব্যাংক-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান ই-মানি ইস্যু করতে পারবে