খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পক্ষে কমিটি, সুপারিশ প্রতিবেদন জমা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পক্ষে কমিটি, সুপারিশ প্রতিবেদন জমা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। প্রতিবেদনে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য সদ্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া (আগের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, কমিটির সুপারিশের প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হবে। সেখানে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

যদিও কমিটি কী সুপারিশ করেছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জানাতে চাননি।

তবে কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করেছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলাপ-আলোচনার পর সেটি চূড়ান্ত হতে পারে। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা বেড়ে ৩২ বছর হতে পারে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। ‌গত ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তাদের সরিয়ে দিতে কাঁদানোগ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এরপরও তারা সেখানে অবস্থান নেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।

পরে ওইদিনই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক। কমিটির সদস্য সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও তৎকালীন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে ছিলেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

গত ২ অক্টোবর সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড, সেশনজটের কারণে অনেকের সমস্যা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।’

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।