খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ২:১৫ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৯ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে হত্যা-চেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, দুই সিটি মেয়র ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও আসামি।

রবিবার (২০ অক্টোবর) বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন।

মামলার বাদী জিয়াউদ্দিন সিকদার জানান, কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ জমা দিলেও কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকায় মামলা দায়ের হয়নি। এরপর তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তলব করে বিচারক মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এরপর চলতি মাসে দ্বিতীয় দফায় থানায় অভিযোগ জমা দেন বাদী জিয়াউদ্দিন সিকদার।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে রোববার মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি। তাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া নামধারী আরও ৫০৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডার। প্রধান আসামি শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে সমগ্র বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যের জনপদ ও ভয়াল উপত্যকায় পরিণত করেন। তিনি স্বৈরশাসন কায়েম করতে বিরোধী মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দমন-পীড়নের মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা বরিশাল নগরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। জনমনে আতঙ্কের লক্ষ্যে নগরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করেন।

সাধারণ মানুষ প্রধান আসামি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের কোনো প্রতিবাদ করলেই অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ঘটনার আগে থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য এক নম্বর আসামির হুকুমে অন্য আসামিরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই নগরের দুপুরে সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপি শোক র‌্যালি বের করে। ছাত্র-জনতাকে নিয়ে বের করা শোক র‌্যালি নস্যাৎ করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালান।

আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা পিস্তল, শটগান ও রিভলভার দিয়ে গুলি করেন। পরে মামলার বাদীর কাছ থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল ও নগদ প্রায় তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকেসহ (বাদী) বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।