খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

ফ্যাসিস্টদের যারা দোসর,তারা রাষ্ট্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পছন্দ করেন: আযম খান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
ফ্যাসিস্টদের যারা দোসর,তারা রাষ্ট্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পছন্দ করেন: আযম খান

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। একজন রাষ্ট্রপতি কেন, তাঁর অনেক নিচের স্তরের কারোরই এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।’ফ্যাসিস্টদের যারা দোসর,তারাই রাষ্ট্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পছন্দ করেন।

২১ অক্টোবর সোমবার রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আযম খান বলেন, ‘সেনাপ্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এই রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি নতুন উপদেষ্টা পরিষদ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এখন যে মন্তব্যটা করছেন, ওনি কি আদৌ চিন্তা করে করছেন? ওনি এসব মন্তব্য করতে পারেন কি না? ওনি তো নিজেই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। এ সময় আহমেদ আযম খান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একি পাগলের প্রলাপ! এটা তো রাষ্ট্র! একটা রাষ্ট্র নিয়ে তো আমরা এভাবে ছিনিমিনি খেলতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, আজকের বাস্তবতা হলো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উপদেষ্টা পরিষদ আছে। বাস্তবতা হলো ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতি যে মন্তব্য করছেন, তা দায়িত্বজ্ঞানহীন। আমার তো মনে মনে হয়, তাঁর আর একমুহূর্তও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বিএনপির কোনো কর্মসূচি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুধু বিএনপি কেনো, সমগ্র জাতিই এই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায়। কর্মসূচির বিষয়ে আমার দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি এখনো তা জানি না। এ বিষয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ঘোষণা দেবেন। তবে এরই মধ্যে বিভিন্নভাবে আলোচনায় এসেছে যে তাঁর আর এই দায়িত্বটা পালন করা উচিত নয়।’

এ সময় আহমেদ আযম খান আরও যোগ করেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন) যখন দুদকে ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়, তিনি যখন ইসলামী ব্যাংকের ডিরেক্টর ছিলেন, সেই সময়ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এই রকম একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ একটি দেশের রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদায় থাকলে, সেই দেশের মান ক্ষুণ্ন হয়, মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়।’

মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বছেদ মাষ্টার পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম আজাদসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।