খুঁজুন
শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র, ১৪৩১

গণহত্যাসহ জুলাই-আগস্টের সব অপরাধের বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে: চিফ প্রসিকিউটর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ২:০৪ অপরাহ্ণ
গণহত্যাসহ জুলাই-আগস্টের সব অপরাধের বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশে সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড, গুমসহ সব অপরাধের বিচার হবে।

তিনি বলেন, ‘এসব গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো বিচারের এখতিয়ার শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এবং এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্তের দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার’। জুলাই–আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর নথি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা ও শারমিন সুমির সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর।

তিনি বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মাধ্যমে আমরা আদালতের আদেশ চাইবো, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টগুলো থেকে জুডিসিয়াল নথি এবং থানাগুলোতে সংরক্ষিত নথিগুলোর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত-সংস্থার কাছে পাঠাতে। এসব নথি পর্যালোচনার মাধ্যমে কোনো মামলায় যদি ভুল লোককে আসামি করা হয়, তাকে আমরা বাদ দেবো এবং প্রকৃত অর্থে যারা দোষী তাদের পক্ষভুক্ত করে যথাযথ মামলা দায়ের করা হবে।’

যারা এখনো মামলা করেননি তারা অবশ্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত-সংস্থার ধানমন্ডি ১১/এ অফিস অথবা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এসে সরাসরি কিংবা ডাকযোগে অভিযোগ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘মামলা সংক্রান্ত সব তথ্য-প্রমাণ, অডিও-ভিডিও, পত্রিকা, মেডিকেল রিপোর্ট, নথি সবকিছুসহ মামলা দায়ের করতে হবে, পরবর্তী সব দায়িত্ব প্রসিকিউশনের এবং এসব মামলা পরিচালনার জন্য কোনো ধরনের আইনজীবী নিয়োগ, টাকা ব্যয় কিংবা হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না’।

শহীদ এবং ভিকটিম পরিবারের সবাইকে দ্রুততম সময়ে আসল অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সব প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ জমা সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনাল বরাবর অভিযোগ জানাতে আহ্বান জানান তিনি। মামলার সাক্ষী কিংবা ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ চাঁদাবাজি, হুমকি কিংবা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকলে তাকে আইনানুযায়ী নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থার দেওয়া তথ্যের আলোকে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার আসামি যারা অনেকেই অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে আছেন তাদের নাম আমরা জানতে পেরেছি। খুব শিগগির তাদের আদালতে উপস্থাপন করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হবে।

বৈঠক আরও উপস্থিত ছিলেন ১৯ জুলাই আন্দোলনে শহীদ তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান এবং শহীদ সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।

সালমান এফ রহমানের মূল চক্রের গোপন খবর ফাঁস করলেন আল জাজিরার সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ
সালমান এফ রহমানের মূল চক্রের গোপন খবর ফাঁস করলেন আল জাজিরার সাংবাদিক

আল জাজিরার জনপ্রিয় অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের বলেছেন, বিদেশে অর্থ পাচার ও সংঘবদ্ধ অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কখনোই একা কাজ করেন না। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সায়ের জানান, এসব অপরাধের পেছনে থাকে একটি সুসংগঠিত ও প্রভাবশালী চক্র, যারা মূল ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেও কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে, যার সদস্যরা সবাই পরিচিত মুখ হলেও, গ্রেফতার করা হয় শুধুমাত্র সালমানকেই।

তিনি বলেন, যদি সত্যিকারের বিচার বা ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে সালমানের সকল অপারেশন যারা পরিচালনা করেন, সেই চক্রের সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সায়েরের দাবি অনুযায়ী, এই চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন—ওসমান কায়সার চৌধুরি, সৈয়দ নাভেদ হোসেন, মোস্তফা জামানুল বাহার ও মোঃ লুৎফর রহমান।

তিনি আরও বলেন, এই চারজন শুধু সালমান নয়, তার ভাই সোহেলকেও সহায়তা করেছেন অর্থনৈতিক অপরাধে, এবং বছরের পর বছর ধরে তারা এসব কর্মকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। যদিও কিছুদিন আগে ওসমান কায়সার চৌধুরিকে আটক করা হয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

সায়েরের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং অর্থপাচার বিরোধী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়বদ্ধতার দাবি উঠেছে।

অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নেবে লংকা-বাংলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৭ অপরাহ্ণ
অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার নেবে লংকা-বাংলা

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি লিটিগেশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার/অফিসার’ পদে কর্মী নিয়োগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৮ মে তারিখের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি;

বিভাগের নাম: লিটিগেশন ম্যানেজমেন্ট;

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার/অফিসার;

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়;

চাকরির ধরন: পূর্ণকালীন;

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে;

অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন;

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন;

প্রার্থীর বয়স: ৩৪ বছরের মধ্যে হতে হবে;

কর্মস্থল: ঢাকা;

আবেদনের যোগ্যতা:

*এলএলবি, এলএলএম ডিগ্রি থাকতে হবে;

*ন্যূনতম ২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ফ্রেশাররাও আবেদন করতে পারবেন);

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন;

আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ৮ মে ২০২৫;

কাজের ক্ষেত্র, আবেদনপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্র: বিডিজবস ডটকম

আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইসরাইল

মসজিদ আল-আকসার শেখ মুহম্মদ সেলিমকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি খুতবায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার সমালোচনা ও নিন্দা করেছেন।

সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজে খুতবা দেওয়ার সময় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক অভিযান ও অব্যাহত গোলাবর্ষণের নিন্দা জানান শেখ মুহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গে তিনি অভিযান বন্ধের জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বানও জানান।

নামাজ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় আল আকসার একটি ফটক থেকে শেখ মুহম্মদ সেলিমকে আটক করে ইসরাইলি পুলিশ। পরে তাকে পূর্ব জেরুজালেমের একটি থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আর দেওয়া হয় ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এই সাত দিন তিনি আল-আকসা চত্বরে প্রবেশ করতে পারবেন না, যদি করেন তাকে গ্রেঢতার করা হবে।

আল-আকসা মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ইসলামিক এনডৌমেন্ট ডিপার্টমেন্ট নামের একটি দপ্তর। ইসরাইলি সরকারের অধীনে থাকা এই দপ্তরের এক কর্মকর্তা আনাদোলু এজেন্সিকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

এর আগে আল আকসার আরেক ইমাম শেখ একরিমা সাবরিকে মসজিদ চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইসরাইল। একরিমা সাবরি’র অপরাধ— তিনি আল আকসার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফাতাহ সরকারের হাতে ন্যাস্ত করার পক্ষে জনমত গঠন করা শুরু করেছিলেন।