খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

কারও জীবন নষ্ট করবেন না: মেহজাবীন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
কারও জীবন নষ্ট করবেন না: মেহজাবীন

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। নিজের কাজ ও অনান্য বিষয়ে আপডেট সামাজিকমাধ্যমে নিয়মিত জানিয়ে থাকেন এ অভিনেত্রী।

পাশাপাশি সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু কিংবা জনস্বার্থে নিজের মতামতও জানিয়ে থাকেন তিনি।

এবার হঠাৎ করেই ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে লেখেন, ‘কারও জীবন নষ্ট করবেন না। ’ কিন্তু কেন এমনটা লেখলেন এ অভিনেত্রী?

মেহজাবীন অবশ্য নিজেই তার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মূলত চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা অমানবিক ঘটনাগুলো বেশ ভাবায় তাকে। তেমনই একটি ঘটনার প্রতিবাদ করে নির্যাতিতার পক্ষে মন্তব্য করেছেন ‘ বড় ছেলে’ খ্যাত অভিনেত্রী।

কিছুদিন আগেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহকর্মী। সেই ঘটনা সামাজিকমাধ্যমে এখন ভাইরাল। ভুক্তভোগী গৃহকর্মী ও নির্যাতনকারীর ছবি ফেসবুক নিউজফিডে ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার।

এ ইস্যুতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মেহজাবীন লেখেন, ‘এই ছবিটি গত কয়েকদিন ধরে এতবার দেখেছি যে এটা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। যারা গৃহকর্মীর সাহায্য নেন, তাদের হয় সাহায্য করুন, বুঝিয়ে বলুন আর যদি তারা আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, তাহলে তাদের ছেড়ে দিন। কিন্তু তাদের ক্ষতি করবেন না। করো জীবন নষ্ট করবেন না। শারীরিক বা মানসিকভাবে ভেঙে ফেলবেন না । এটা শুধু ভুল নয়, এটা অপরাধ। অপরাধী হবেন না।

এর আগে তিনি লেখেন, বামে যেই ছবিটা দেখা যাচ্ছে, সেটা একজনের পোস্ট, যিনি একজন গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন। যা এখনও প্রমাণিত হয়নি মনে হয়, তদন্ত চলছে। আর ডান পাশের মানুষটি হলেন সেই নির্যাতিত গৃহকর্মী।

এরপরই সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার সম্পর্কে এ অভিনেত্রী লেখেন, দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা কিছু দেখছেন, সবকিছু বিশ্বাস করবেন না। অনেকেই শুধু ভান করছে। কেউ ভালো সাজে, কেউ নিজেকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখায়, কেউ ক্ষমতাশালী বলে দাবি করে, আবার কেউ নিরপরাধের অভিনয় করে। বাস্তবে, প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে অভিনয় করছে, আর কেউ কেউ তো বুঝতেও পারে না যে তারা কী করছে। তবে মনে রাখবেন, সবকিছুই সত্য নয় যা আপনি অনলাইনে দেখেন। মানুষজন নিজেদের নিয়ে বড় বড় কথা লিখে, কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করি, কাজ কথার চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

মেহজাবীন আরও লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়া বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করুন। আগে মানুষ হোন, তারপর ভালো মানুষ সাজুন। অনলাইনে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার বাস্তবের কাজ।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।