খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

এবার নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে আ’লীগসহ ১৪ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
এবার নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে আ’লীগসহ ১৪ দল

নানা অপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের পর এখন নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, নিষিদ্ধ হতে পারে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো ও সহযোগী জাতীয় পার্টি।

আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে এই দলগুলির কয়েকটি সরাসরি সরকারের মন্ত্রিসভায় অংশ নিয়েছে। আবার কোনো কোনোটি নির্বাচনী সহযোগী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ও জোটের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পাশাপাশি দলটির অঙ্গসংগঠনগুলি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ও সহযোগী দলগুলোকে নিষিদ্ধেরও দাবি উঠেছে।

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের স্বৈরশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এবং এই দলগুলো সেই কাজে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে আওয়ামীলীগ সহ এই দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্প্রতি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষপটে বুধবা (২৩ অক্টোবর) সরকার নিষিদ্ধি করেছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে।

ওই দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম দেয়। এর পর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে।

আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও এ ধরনের চাপ আসতে পারে, এমন ধারণাও করা হচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হয়ে এসেছে।

গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্র অধিকার পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি জানায়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ অক্টোবরর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ব্যানারে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। গত ১৯ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, ১৪ দল ও অঙ্গসংগঠন এবং জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদী দল আখ্যা দিয়ে সাংবিধানিকভাবে এসব দল নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। গত ১৪ আগস্ট ঢাকা কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে এবং অন্যান্য্য দুই একটি সংগঠন ও ফোরাম থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও আদালতে দাবি জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গত ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ অন্য্যান্য আসামিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গত ২ অক্টোবর দল হিসেবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে ‘গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা’ হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং জাসদ (ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মেনন), তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি-জেপি, সাম্যবাদী দলসহ ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ‘দল হিসেবে’ গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এই প্রেক্ষাপটে সরকারি প্রজ্ঞাপন অথবা আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগও এর জোট সঙ্গী দলগুলোও নিষিদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ধরনের গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্ত না হতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।

সে কারণে তিনি আপাতত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। তবে তিনি আগামী রবিবার থেকে পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব খবরে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এমন অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

বিতর্কিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পলায়নের পর নতুন আশা নিয়ে বিসিবি সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। অথচ মাত্র ৯ মাস ৮ দিন- এটাই ছিল ফারুক আহমেদের বিসিবি সভাপতির মেয়াদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার কাউন্সিলর মনোনয়ন বাতিল করলে কার্যত তার সভাপতির পদও শূন্য হয়ে যায়। পরদিন, শুক্রবার পরিচালকদের জরুরি সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হন নতুন সভাপতি হিসেবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- কেন এত অল্প সময়ে পদচ্যুত হলেন ফারুক আহমেদ?

এ নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে খতিয়ে দেখা হয়েছে, ফারুকের রাজত্ব শেষের পিছনে কোন কোন কারণ কাজ করেছে:

বিপিএল-২০২৫ দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি:

ফারুক আহমেদের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা।

বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা, খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া, হোটেল বিল বকেয়া রাখা এবং শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড় বিদ্রোহ- এ ঘটনাগুলো সরকারকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করে।

তৎকালীন বোর্ড সভাপতি হিসেবে এসব ঘটনায় কার্যকর কোনো সমাধান দিতে না পারা ফারুককে প্রশাসনের নজরে ফেলে দেয়। এমনকি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এই বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বিপিএলের ফাইনালে তার অনুপস্থিতিও রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হয়, যার প্রভাব পড়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অবস্থানের উপরেও।

স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন:

বোর্ড পরিচালকদের একটি বড় অভিযোগ ছিল, ফারুক বিসিবির গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন।

বিশেষ করে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি পরিচালকদের না জানিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন বড় সিদ্ধান্তের আগে পরিচালকদের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এর বাইরে কিছু সিদ্ধান্তে ফারুক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরিচালককে উপেক্ষা করেছেন, যার ফলে বোর্ডের ভেতরেই দলাদলির সৃষ্টি হয়।

ভেতরের কোন্দল: ফাহিম বনাম ফারুক:

বোর্ড পরিচালক এবং এনএসসি মনোনীত প্রতিনিধি নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় পরিস্থিতি। এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে এবং বোর্ডের ঐক্য বিনষ্ট হয়। এমনকি, ফারুক আহমেদ ক্রীড়া উপদেষ্টার সহকারী একজন কর্মকর্তার সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান, যা প্রশাসনিক মহলে ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন নিয়ে ‘অতিরিক্ত আগ্রহ’, আস্থা হারান বোর্ডে:

অন্য এক বড় কারণ ছিল, ফারুক আহমেদের অক্টোবরে সম্ভাব্য বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এই অবস্থান তার সহকর্মী পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং অনেকে মনে করেন, তিনি বোর্ড পরিচালনার চেয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।

এনএসসি ও প্রশাসনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ:

৮ জন পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর পর এনএসসি একটি স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রিপোর্টে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের ঘাটতির সরাসরি দায় বর্তায় ফারুকের ওপর।

ফারুক আহমেদ ছিলেন একজন সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার ও অভিজ্ঞ সংগঠক। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসার পর তার আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি, আর প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবই শেষ পর্যন্ত তাকে বিসিবি থেকে সরিয়ে দেয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েছেন এ অস্থির সময়েই। তারও সামনে রয়েছে দল পুনর্গঠন, স্বচ্ছতা ফেরানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ।

ফারুকের পতন, তা যতই নাটকীয় হোক না কেন, ক্রিকেট প্রশাসনে আবারও এক কঠিন বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:২৯ অপরাহ্ণ
চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে তিনি গত দুদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি মর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী রোববার থেকে তিনি (সভাপতি) পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন, ইনশাআল্লাহ। তিনি সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকের কাছে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদল সভাপতির শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে-এমন গুঞ্জন সংগঠনটির অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।