খুঁজুন
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ, ১৪৩১

পুলিশের পরিণতি মনে রাখার মতো

আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের বর্বরতায় সাধারণ মানুষের যেমন মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষিপ্ত জনগণের হাতে পুলিশ সদস্যরাও নিহত হন। এবার সেই তালিকা প্রকাশ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রকাশিত এই তালিকায় ৪৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন পরিদর্শক, ১১ জন এসআই, ৭ জন এএসআই, একজন এটিএসআই, একজন নায়েক ও ২১ জন কনস্টেবল রয়েছেন।

পুলিশের নিহত তিন পরিদর্শক হচ্ছেনঃ
১.মো. আব্দুর রাজ্জাক,
২.রাশেদুল ইসলাম,
৩.মো. মাসুদ পারভেজ ভূইয়া।

নিহত ১১ জন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হচ্ছেনঃ
১.সুজন চন্দ্র দে,
২.খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার,
৩.রেজাউল করিম,
৪.মো. মামুনুর রশিদ সরকার,
৫.বাছির উদ্দিন,
৬.রইস উদ্দিন খান,
৭.তহছেনুজ্জামান,
৮.প্রণবেশ কুমার বিশ্বাস,
৯.মো. নাজমুল হোসাইন,
১০.আনিসুর রহমান মোল্লা
১১.সন্তোষ চৌধুরী।

নিহত ৭জন এএসআই হচ্ছেনঃ
১.সঞ্জয় কুমার দাস,
২.ফিরোজ হোসেন,
৩.সোহেল রানা,
৪.রাজু আহমেদ,
৫.ওবায়দুর রহমান,
৬.রফিকুল ইসলাম,
৭.মো. মোক্তাদির।

নিহত টিএসআই আলী হোসেন চৌধুরী ও নিহত নায়েক মো. গিয়াস উদ্দিন।

পুলিশের নিহত ২১ কনস্টেবল হচ্ছেনঃ
১.মো. আব্দুল মজিদ,
২.রেজাউল করিম,
৩.মাহফুজুর রহমান,
৪.শাহিদুল আলম,
৫.মো. আবু হাসনাত রনি,
৬.মীর মোনতাজ আলী,
৭.সুমন কুমার ঘরামী,
৮.মোহাম্মদ আব্দুল মালেক,
৯.মোহাম্মদ ইব্রাহিম,
১০.মো. আব্দুস সালেক,
১১.মো. হাফিজুল ইসলাম,
১২.মো. রবিউল আলীম শাহ,
১৩.মো. হুমায়ুন কবীর,
১৪.মো. আরিফুল আযম,
১৫.মো. রিয়াজুল ইসলাম,
১৬.মো. শাহিন উদ্দিন,
১৭.মো. এরশাদ আলী,
১৮.মাইনুদ্দিন লিটন,
১৯.মো. সুজন মিয়া,
২০.মো. খলিলুর রহমান
২১.মো. হানিফ আলী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৫ আগস্ট ২৪ জন, ৪ আগস্ট ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং বাকি সদস্যরা বিভিন্ন সময় নিহত হন।

নিহত পুলিশের অঞ্চলভিত্তিক তালিকাঃ
নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ডিএমপির ১৪ জন, এনায়েতপুর থানার ১৫ জন, সোনাইমুড়ী থানার ২ জন, তিতাস থানার ২ জন, কচুয়া থানার একজন, বানিয়াচং থানার একজন, ঢাকা এসবির একজন, নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের একজন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের একজন, কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের একজন, কসবা থানার একজন, খুলনা মহানগর পুলিশের একজন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের একজন এবং ঢাকা জেলার ২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়, কিছু ব্যক্তি ছাড়াও নিউজ আউটলেট জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে নিহত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হলো।

পুলিশ সদর দপ্তর আরও জানায়, প্রতিবাদ বা প্রতিহিংসার ঘটনায় যেসব অফিসার বা কনস্টেবল আহত বা নিহত হয় বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তাদের তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করে। তবে প্রকাশিত এই তালিকার বাইরেও যদি কেউ গণঅভ্যুত্থানে পুলিশ সদস্য নিহতের দাবি করেন, সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ সরবরাহের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

রাজধানীর হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় লিটন দাস (৪০) কাভার্ডভ্যান চালক নিহত।

শনিবার(০৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করে।

তাকে নিয়ে আসা রবিউল বলেন,
নিহত লিটন দাস রিয়া পরিবহন কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চালক,সকালে হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অন্য একটি কাভার্ডভ্যান পেছনে গাড়ি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায় পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
নিহতের বাসা ঢাকেশ্বরী অরফারেন্স রোডের১৩/২ নম্বর বাসা ভরত লাল ঘোষের সন্তান। নিহত দুই মেয়ে এক ছেলের জনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

আব্দুল্লহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

ঢাকার নবাবগঞ্জ বেরি বাঁধে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে ধাক্কায় পরান শাঁখারি(৮০)বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত পরান শাখারী ঢাকার নবাবগঞ্জ
উপজেলার নবগঞ্জ থানার ঢাকার নবাবগঞ্জের কল্যান শ্রী গ্রামের গ্রামের মৃত রায় মোহন শাখারীর ছেলে।

শনিবার(৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধ দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ৯টাই এই ঘটনাটি ঘটে।পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে কৃষ্ণ পদ্মা শাখারী বলেন,
আজ সকালের দিকে আমার বাবা বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয় আমার বাবা।পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফারুক বলে,
আজ দুপুরের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আখম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১:৪০মিনিট থেকে রাত ২টার দিকে তাদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। আহতরা হলেন- শুভ শাহরিয়া(১৬), ইয়াকুব(২৪), সৌরভ (২২), কাশেম(১৭),ও হাসান(২২) অজ্ঞাত নামে আরও তিনজন রয়েছে।

হাসপাতলে আহতদের মধ্যে সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেন,
রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শুভ শাহরিয়া গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে। ইয়াকুবের বাড়ি গাজীপুর গাছা থানার শরিপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।সৌরভের বাড়ি টঙ্গি পূর্ব থানার মধুমিতা রোডের গণেশ ঘোষের ছেলে। কাশেমের বাড়ি গাছা থানার আলহেরা পেট্রোল পাম্প এলাকার মৃত হাজী জামালের ছেলে এবং এবং হাসানের বাড়ি জয়দেবপুর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: ফারুক বলে, গাজীপুর থেকে আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।