খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

রেজাউলের লাশ হস্তান্তর করলো বিএসএফ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১৩ অপরাহ্ণ
রেজাউলের লাশ হস্তান্তর করলো বিএসএফ

ভারতের অভ্যন্তরে বিএমএফ এর গুলির শব্দের পর নাটকীয়ভাবে মৃত্যুবরণ করা রেজাউল করিমের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

রেজাউল করিম শেরপুর জেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে। তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পর রাত ৯টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ পায় স্থানীয়রা। এরপর রেজাউল করিম আর ফেরত আসেনি।

বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলারের নিকট দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয়জন পালাতে সক্ষম হলেও একজন সেখানে একটি কালভার্ট হতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের পানিতে তলিয়ে যায়।

সূত্র থেকে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত রিজাউলের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।

রেজাউলের লাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে বিএসএফ এর গুলি এবং বাংলাদেশি মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের সাধারণ মানুষ।

ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথমবার আয়োজিত মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। ছেলেদের বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের পর নারী এশিয়া কাপের ফাইনালেও বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে ভারতের দেওয়া ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় টাইগ্রেসরা মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে গেছে। ৪২ রানের জয়ে প্রথমবার আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় মেয়েরা।

কুয়ালালামপুরের বায়েওমাস স্টেডিয়ামে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) শিরোপানির্ধারণী ফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশের যুব টাইগ্রেসরা। দারুণ বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ফারজানা ইয়াসমিন ভারতের রানের টুটি চেপে ধরেন। তবে গোঙ্গাদি তৃষার ফিফটি ও শেষদিকে টেলএন্ডারদের ক্যামিওতে ১১৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ভারত।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের কেবল দুই ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরিয়া ফেরদৌস। এ ছাড়া ওপেনার ফাহমিদা ছোঁয়া ১৮ রান করেছেন। টাইগ্রেসরা কপাল পোড়ায় দুটি রানআউট ও একটি হিট উইকেট হয়ে। ১৮.৩ ওভারেই ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ, এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের প্রথম আসরে যুব টাইগ্রেসরা রানারআপ।

বিপরীতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আয়ুশি শুক্লা। এ ছাড়া পারুনিকা সিসোদিয়া ২ এবং জোশিথা ১টি উইকেট শিকার করেন। এর আগে ১১৭ রান সংগ্রহের পথে ভারতীয় ওপেনার তৃষা ৪৭ বলে ৫২ এবং শেষদিকে মিথিলা ভিনোদ ১৭ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার ফারজানা ইয়াসমিন।

স্ট্যাম্পে লাথি মারায় কঠিন শাস্তি পেলেন ক্লাসেন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৪৭ অপরাহ্ণ
স্ট্যাম্পে লাথি মারায় কঠিন শাস্তি পেলেন ক্লাসেন

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন হেইনরিচ ক্লাসেন। এতে মেজাজ হারিয়ে স্ট্যাম্পে লাথি মেরে বসেন এই ডান হাতি ব্যাটার। এই জন্য আইসিসি থেকে কঠিন শাস্তি পেয়েছেন তিনি।

আইসিসির আচরণবিধির ২.২ ধারা ভাঙার অপরাধে দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩০ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। সবাই যখন ব্যর্থ, তখন দলকে একাই টানছিলেন ক্লাসেন। তবে ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি।

৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৪ বলে ৯৭ রান করে আউট হন তিনি। ৪৪তম ওভারের প্রথম বলে নাসিম শাহের বল ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নিতে হয় তাকে। তখন বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটার। লাথি মেরে বসেন স্টাম্পে। পরে ম্যাচটি ৮১ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা।

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অভিযানে ৬১ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:১০ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অভিযানে ৬১ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২,এর অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর দিকনির্দেশনায় এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ, দুপুর ০১.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল রোডস্থ জাকস ফাউন্ডেশন এর সামনে ঢাকা হতে রংপুরগামী মহাসড়কের উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৬১ কেজি গাঁজাসহ ০৪ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের সাথে থাকা গাঁজা পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০৬টি মোবাইল ফোন, ০২টি প্রাইভেট কার এবং নগদ ৪,৮০০/- টাকা জব্দ করা হয়।  গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ হুমায়ূন কবির (৪২), পিতা-মৃত বেলাল  হোসেন, সাং-নিমধি, ২। মোঃ আল আমিন (৩০), (ড্রাইভার), পিতা-মোঃ আলম, সাং-ইন্দ্রকুল, উভয় থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী, ৩। মোঃ জুয়েল বেপারী (৩২), পিতা-মোঃ সিরাজ বেপারী, সাং-চর ফ্যাশন, থানা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা, ৪। মোঃ ফরিদ (৩০), (ড্রাইভার), পিতা-মৃত শহিদুল্লাহ, সাং-দোইয়ারা একাতরী, থানা-শাহারাস্থী, জেলা-চাঁদপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিগণ দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের নিজস্ব প্রাইভেট কার যোগে পরিবহন করে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে  সলঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।
র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক, অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।