খুঁজুন
রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তিনি সভাপতি পদে ১২৩টি ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৫ ভোট।

তাবিথ আউয়াল প্রার্থীতা ঘোষণার পরই ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন চাউর হয়েছিল এবার তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হতে চলেছেন। সেই গুঞ্জনই সত্য হলো। দেড় দশকের বেশি সময় পর নতুন নেতৃত্ব পেল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভার পর ভোটের লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ জয় পান তাবিথ। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। আধঘণ্টার ভেতরেই সভাপতি পদে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।

নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৩ জন। তবে ভোটের দিন আসেন ১২৮ জন। নির্বাচনে দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরীকে বিপুল ভোটে হারান একাধারে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও ক্রীড়া সংগঠক ব্যক্তিত্ব তাবিথ আউয়াল।

এর আগে, ২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন তাবিথ। ২০২০ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মহি উদ্দিন মহির সঙ্গে ৬৫-৬৫ ভোটে ড্র হয়। এরপর পুনরায় ভোট হলে ৬৭-৬৩ ভোটে হেরে যান তাবিথ। চার বছর পর এবার বাফুফের সভাপতি পদে বসছেন তিনি।

আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের সভাপতি থাকবেন তাবিথ আউয়াল। নির্বাহী কমিটির ২১ পদের মধ্যে ২০টির বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। সভাপতি পদের ২ জন ছাড়াও ৪ সহসভাপতি পদে ৬ জন ও ১৫টি সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন ৩৭ জন। আলোচিত সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সিনিয়র সহসভাপতি পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন ইমরুল হাসান।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
আ’লীগের কার্যালয় দখল করে এনসিপির অফিস

আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবন দখল করে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর নেতাকর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চরফ্যাসন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি দখল করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা’ করছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লুট হয় আসবাবপত্রও। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ভবনটি। সরকার পতনের নয় মাস পর শুক্রবার ওই ভবন দখলে নেয় এনসিপি।

এনসিপির চরফ্যাসন উপজেলা প্রতিনিধি দাবি করা অহিদ ফয়সালের নেতৃত্বে দখলের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, দলের কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে এনসিপির স্থানীয় নেতারা—আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিন—এই দখলে অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে চরফ্যাসনে এনসিপির দলীয় সব কার্যক্রম এই কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হবে।’

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি ইতিহাসে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক।’

যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে বলছেন দেশটির মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তানে আনন্দ-উল্লাস, জয় হয়েছে বলছেন দেশটির মানুষ

ভারতের সঙ্গে কয়েকদিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতিতে গেছে পাকিস্তান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। ‘বিজয় হয়েছে’ দাবি করে তারা বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাস করছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

বিজ্ঞাপন

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন শহরে ‘পাকিস্তান দীর্ঘজীবী হোক’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে। তারা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি পাকিস্তানের জন্য গৌরবের। একইসঙ্গে উত্তেজনা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার (১০ মে) দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যা ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশ নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ ফাতেহ নামে লাহোরের এ যুবক এপিকে বলেছেন, “এটি পাকিস্তানের জন্য একটি বড় দিন। আমাদের সেনারা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে ভারতের কাছে কোনো উপায় ছিল না। তারা যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে।”

ইসলামাবাদে জুবাইদা বিবি নামে ৪৫ বছরের এক নারী বলেন, “যুদ্ধ দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছু আনে না। আমরা খুশি শান্তি ফিরে আসছে। বিষয়টি আমার কাছে ঈদের মতো লাগছে। আমরা জিতেছি।”

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধবিরতির খবরে মুলতানে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন পাকিস্তানিরা।
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পেশোয়ারের কাছের উপজাতি এলাকায় কিছু মানুষকে আকাশে গুলি ছুড়ে যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে দেখা গেছে।

অপরদিকে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের সাধারণ মানুষ এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বারবার সংঘাতে জড়ানো এই অঞ্চলটিতে বহুল প্রতীক্ষিত শান্তি ফিরবে বলে আশা তাদের। সেখানকার জুলফিকার আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের জন্য শান্তির অর্থ হলো বেঁচে থাকা। আমরা অনেক দুর্ভোগ সহ্য করেছি। আমি খুশি ভারত ও পাকিস্তান ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

সূত্র: এপি