খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

অভিযোগ, বিতর্ক, বর্থতা ছিলো তাদের সঙ্গী

বিতর্কিত দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগপত্র গৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ১:১৯ অপরাহ্ণ
বিতর্কিত দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগপত্র গৃহীত

ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় ৩ মাস পর গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাদের পদত্যাগপত্রগুলো গৃহীত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এর ১০(১) নং ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার জহুরুল হক ও কমিশনার মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেছেন। ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাদের পদত্যাগপত্রগুলো গৃহীত হয়েছে।’

জানা যায়, চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ ও দুই কমিশনার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করার আগে মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো অফিসে গিয়ে তারা দাপ্তরিক কাজ সারেন। ওইদিন বিকেলে তাদের দুদক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ১টার দিকে সংস্কার কমিশনের বৈঠক স্থগিতের খবর আসে কমিশনে। কার্যত এর পরই তারা পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।

পরিচয় গোপন রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমে দুদকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার তাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়ে অনেকটা নীরবে দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন। এ সময় সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন তাদের এগিয়ে দেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে আসার কথা ছিল দুদক সংস্কার কমিশনের।’

তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩ মার্চ মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে দুদকের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। তিনি ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে জহুরুল হককে কমিশনার (তদন্ত) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর দেড় বছর পর কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান অবসরে গেলে নিয়োগ পেয়েছিলেন আছিয়া খাতুন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার হিসাবে পরিচিত সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকা স্বৈরশাসকের দোসরদের বিদায় ঘণ্টা বাজতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে পরিচিত দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়াসহ দুদক ঢেলে সাজানোর দাবি ওঠে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়করাও সম্প্রতি দুদকে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সংস্থাটির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দুদক সংস্কারে সরকার গঠন করে কমিশন। তখন সরকারের আস্থা অর্জনে দুদক শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দুদকের এসব কাজ লোক দেখানো বলে মন্তব্য করতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দুদকের কাজের সমালোচনা করে সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ দেন। দুদকের বিতর্কিত কাজ ও দায়সারা ভূমিকা নিয়ে যুগান্তর, বাংলা খবর প্রতিদিন, বিডিনিউজ ট্রিপল নাইন সহ একাধিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নানা বিতর্কের মুখে অবশেষে মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমে জানান, দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদে নতুন মুখ নিয়োগ দিতে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন কমিশন। তবে সার্চ কমিটি কাজে স্বচ্ছতা দাবি করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ-আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সার্চ কমিটির কাজে স্বচ্ছতা ছিল না।

উদাহরণস্বরূপ এক কর্মকর্তা বলেন, সার্চ কমিটির তালিকায় বিদায়ি চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনারের নাম ছিল না। সার্চ কমিটির তালিকা প্রকাশও করা হয়নি। সরকারের পছন্দের ব্যক্তিদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু এবার যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে তাদের সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে।

তাছাড়া চেয়ারম্যান ও কমিশনার হিসাবে যারা নিয়োগ পাবেন তারা আসলে দুর্নীতি প্রতিরোধে কী করতে চান তার একটি পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া কমিশনের অনুপস্থিতিতে দুদকের কাজ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে আইনি শূন্যতা রয়েছে। তা দূর করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দুদকের ভেতর-বাইরে আলোচনা আছে, পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশন নানা ঘটনায় দুদককে বিতর্কিত করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ইশারায় বিদায়ি কমিশন বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ পটপরিবর্তনে সেটা করতে পারেনি।

আবার সরকারের ইশারা ও উচ্চ আদালতের চাপে কমিশন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করলেও প্রশাসন ও দুদকের সহায়তায় তিনি দেশত্যাগ করেন। কমিশনের অবহেলায় অনুসন্ধান চলাকালে ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি টাকা তুলে নেন বেনজীর। এ ধরনের স্পর্শকাতর দুর্নীতির অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

তাছাড়া বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের ব্যাংক থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের ঘটনা অনুসন্ধান করার সাহসই করেনি কমিশন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুনী জাভেদ ও তার স্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে বিপুল সম্পদের তথ্য থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর বাইরেও পতিত সরকারের চামচা খ্যাত বিতর্কিত দুদক চেয়ারম্যান ও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ ও ব্যর্থতার দায় নিয়েই বিদায় নিলেন চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার।

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ণ
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও নূর মুহাম্মদ আজমী। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেরেবাংলা হলের প্রথম তলার সিঁড়িতে আবরারের (২২) প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা ৭ অক্টোবর (২০১৯) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ; যাঁদের সবাই বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঘোষিত রায়ে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার বিভিন্ন স্তরের ২০ নেতা–কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ে বাকি ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেষ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন:
আকাশ হোসেন, মোয়াজ আবু হুরায়রা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা ও মুহতাসিম ফুয়াদ।

শুভ জন্মদিন টেস্ট ক্রিকেট

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ণ
শুভ জন্মদিন টেস্ট ক্রিকেট

Oplus_131072

১৮৭৬ সালের নভেম্বরে মূলত খেলার চেয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের একটি দল জেমস লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফর করেছিলো। অস্ট্রেলিয়ার তখন কেন্দ্রীয় কোনো ক্রিকেট দল ছিল না। নানা রাজ্য দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডের দলটি খেলে অর্থ উপার্জনে মনোনিবেশ করে।

জেমস লিলিহোয়াইট যদিও তার দলে এই সফরে কোনো অপেশাদার (অ্যামেচার) ক্রিকেটারকে রাখেননি। এর অর্থ, বিখ্যাত ডব্লিউ জি গ্রেস এই সফরে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড ঘুরে আবার লিলিহোয়াইটরা অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসে।

অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলস লিলিহোয়াইটদের চ্যালেঞ্জ জানায় একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেরার জন্য। ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ মেলবোর্নের বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিতে শুরু হয় ওই ম্যাচটি। যেখানে ইংল্যান্ড দলের ১১ জনের সবাই পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন।

যদিও ইংল্যান্ড দলে সেই ১১ জনের মধ্যে কোনো উইকেটরক্ষক ছিল না। কারণ, টেড পুলি নামে যে উইকেটরক্ষক ছিলেন, তিনি ছিলেন মূলত একজন জুয়াড়ি এবং জুয়ার কারবার করতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডে গ্রেফতার হন ক্রাইস্টচার্চের কারাগারে বন্দী হন।

তো ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ সালে অল ইংল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার সম্মিলিত একাদশ মুখোমুখি হয় এমসিজিতে। শুরুতে এই ম্যাচটিকে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে প্রচারিত হয়নি। কিন্তু এটি দুটি প্রতিনিধিত্বমূলক দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে এবং শেষ পর্যন্ত এটাকেই ক্রিকেটের প্রথম অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচের মর্যাদা দেয়া হয়। সেই থেকে কেটে গেছে ১৪৮টি বছর।

সে হিসেবে ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ দিনটিকে বলা হয়, টেস্ট ক্রিকেটের জন্মতারিখ হিসেবে। ম্যাচটিতে টস জিতে স্বাগতিকরা ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়ান দলটিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ফ্রেডরিক স্পফোর্থ ছিলেন না। ইংল্যান্ডের অপেশাদার দলে ছিল সেরা সেরা ব্যাটাররা। কিন্তু পেশাদার দল নিয়ে খেলায় ডব্লিউ জি গ্রেসসহ অনেকেই ছিলেন না ওই ম্যাচে। অর্থ্যাৎ, দুই দলই পূর্ণ শক্তির ছিল না বলা যায়।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান, প্রথম সৌভাগবান ব্যাটার- যিনি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বল মোকাবেলা করেন, প্রথম রান করেন এবং প্রথম হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করেন। কেন্টে জন্ম নেয়া এই ব্যাটারকে প্রথম বল করেন ইংলিশ বোলার আলফ্রেড শ। পরের বল থেকে প্রথম রান সংগ্রহ করেন ব্যানারম্যান।

ওই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬৫ রান করেন। ব্যানারম্যানের প্রথম-শ্রেণির ক্যারিয়ারের এটাই একমাত্র সেঞ্চুরি। ১৬৫ রান করার পর জর্জ আলিয়েটের বল তার আঙুলে আঘাত করায় আহত হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৪৫ রান। দলীয় স্কোরের মধ্যে ৬৭.৩ শতাংশ রান সংগ্রহ করেন ব্যানারম্যান, যা ১৩০ বছর পরও একটি রেকর্ড হিসেবে টিকেছিল। অস্ট্রেলিয়ার করা ২৪৫ রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১৯৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১০৪ রানে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ৫ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের বোলার অ্যান্ড্রু শ।

জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান বোলার টম কেন্ডালের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। টম কেন্ডাল ৩৩.১ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে একাই নেন ৭ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে জয়লাভ করে: ঠিক ১০০ বছর পর একই মাঠে, তারা সেন্টেনারি (শতবর্ষ উদযাপন) টেস্টে ইংল্যান্ডকে ঠিক একই ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। যা এই ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচের স্মরণে আয়োজন করা হয়েছিল।

১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনার সূচনার দিন। এটি শুধুমাত্র একটি ম্যাচই ছিল না, বরং এটি ক্রিকেটের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিল। আজও টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে এবং এর সূচনা হয়েছিলো সেই ঐতিহাসিক দিনে।

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিষ্কার অভিযান

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিষ্কার অভিযান

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকা কলেজ মাঠে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে ইফতার এবং ইফতার পরবর্তীতে উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করা হয়। যা রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছে স্থানীয়দের।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্তৃক উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত ছাত্রদলের নিয়মিত নানাবিধ রাজনৈতিক ও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এই আয়োজন। তবে গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন না করে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ইফতার পরবর্তী মাঠ পরিস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ছাত্রদল।

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। বিএনপি, ছাত্রদল সহ সমমনা সংগঠন গুলোকে নানাবিধ অপবাদ, প্রপাগাণ্ডা এড়িয়ে চলতে গঠনমূলক দিকনির্দেশনা না সাজ্জাদ। সেইসাথে পবিত্র মাহে রমজানে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে নিয়মিত বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ সহ রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

এসময় প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হল শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি এনামুল হক শান্ত, আহবায়ক সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম মেহেদী, সদ্য সাবেক সদস্য ফাহিম মুন্তাছির, আহবায়ক সদস্য মিরাজ হোসেন, আহবায়ক সদস্য ওমর ফারুক, রিয়াদ আব্দুল্লাহ, মাসুদ পারভেজ, মোঃ সাকিব হাসান, সাকিব আল হাসান, আলমাস শেখ, ইভান, জিহাদ, হারুন, রাব্বানী, আল আমিন, রায়হান, মাজহারুল, আজমাইন, আশফাক প্রমুখ।