খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২

অভিযোগ, বিতর্ক, বর্থতা ছিলো তাদের সঙ্গী

বিতর্কিত দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগপত্র গৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ১:১৯ অপরাহ্ণ
বিতর্কিত দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগপত্র গৃহীত

ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় ৩ মাস পর গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাদের পদত্যাগপত্রগুলো গৃহীত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এর ১০(১) নং ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার জহুরুল হক ও কমিশনার মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেছেন। ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাদের পদত্যাগপত্রগুলো গৃহীত হয়েছে।’

জানা যায়, চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ ও দুই কমিশনার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করার আগে মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো অফিসে গিয়ে তারা দাপ্তরিক কাজ সারেন। ওইদিন বিকেলে তাদের দুদক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ১টার দিকে সংস্কার কমিশনের বৈঠক স্থগিতের খবর আসে কমিশনে। কার্যত এর পরই তারা পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন।

পরিচয় গোপন রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমে দুদকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার তাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়ে অনেকটা নীরবে দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন। এ সময় সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন তাদের এগিয়ে দেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে আসার কথা ছিল দুদক সংস্কার কমিশনের।’

তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩ মার্চ মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে দুদকের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। তিনি ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে জহুরুল হককে কমিশনার (তদন্ত) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর দেড় বছর পর কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান অবসরে গেলে নিয়োগ পেয়েছিলেন আছিয়া খাতুন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার হিসাবে পরিচিত সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে থাকা স্বৈরশাসকের দোসরদের বিদায় ঘণ্টা বাজতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে পরিচিত দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়াসহ দুদক ঢেলে সাজানোর দাবি ওঠে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়করাও সম্প্রতি দুদকে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে সংস্থাটির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দুদক সংস্কারে সরকার গঠন করে কমিশন। তখন সরকারের আস্থা অর্জনে দুদক শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দুদকের এসব কাজ লোক দেখানো বলে মন্তব্য করতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দুদকের কাজের সমালোচনা করে সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ দেন। দুদকের বিতর্কিত কাজ ও দায়সারা ভূমিকা নিয়ে যুগান্তর, বাংলা খবর প্রতিদিন, বিডিনিউজ ট্রিপল নাইন সহ একাধিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নানা বিতর্কের মুখে অবশেষে মঙ্গলবার পদত্যাগ করলেন দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমে জানান, দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদে নতুন মুখ নিয়োগ দিতে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন কমিশন। তবে সার্চ কমিটি কাজে স্বচ্ছতা দাবি করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ-আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সার্চ কমিটির কাজে স্বচ্ছতা ছিল না।

উদাহরণস্বরূপ এক কর্মকর্তা বলেন, সার্চ কমিটির তালিকায় বিদায়ি চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনারের নাম ছিল না। সার্চ কমিটির তালিকা প্রকাশও করা হয়নি। সরকারের পছন্দের ব্যক্তিদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু এবার যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে তাদের সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে।

তাছাড়া চেয়ারম্যান ও কমিশনার হিসাবে যারা নিয়োগ পাবেন তারা আসলে দুর্নীতি প্রতিরোধে কী করতে চান তার একটি পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া কমিশনের অনুপস্থিতিতে দুদকের কাজ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে আইনি শূন্যতা রয়েছে। তা দূর করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দুদকের ভেতর-বাইরে আলোচনা আছে, পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ হিসাবে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশন নানা ঘটনায় দুদককে বিতর্কিত করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ইশারায় বিদায়ি কমিশন বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ পটপরিবর্তনে সেটা করতে পারেনি।

আবার সরকারের ইশারা ও উচ্চ আদালতের চাপে কমিশন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করলেও প্রশাসন ও দুদকের সহায়তায় তিনি দেশত্যাগ করেন। কমিশনের অবহেলায় অনুসন্ধান চলাকালে ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি টাকা তুলে নেন বেনজীর। এ ধরনের স্পর্শকাতর দুর্নীতির অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

তাছাড়া বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের ব্যাংক থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের ঘটনা অনুসন্ধান করার সাহসই করেনি কমিশন। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুনী জাভেদ ও তার স্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে বিপুল সম্পদের তথ্য থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর বাইরেও পতিত সরকারের চামচা খ্যাত বিতর্কিত দুদক চেয়ারম্যান ও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ ও ব্যর্থতার দায় নিয়েই বিদায় নিলেন চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার।

রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের এনআইডি ডাটাবেজে ঢুকতে দেবে না ইসি

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

হুমায়ুন কবীর বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আগে সিদ্ধান্ত ছিল, তথ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এপিআইয়ের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তথ্য তাদের কাছেই থাকবে। আমরা যেখান থেকেই হোক, রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই করতে পারলেই চলবে।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনও সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মানুষের যৌক্তিক আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কমিশন ও সচিবালয় একযোগে কাজ করছে।

তিনি জানান, এনআইডি সংশোধনের বিপুল সংখ্যক আবেদন ঝুলে রয়েছে। সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কর্মকর্তা পর্যায়ে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইডি সেবা সহজ করতে কর্মকর্তা পর্যায়ে কিছু ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমানে ডাটাবেজে ৫০০-এর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। প্রতিটি তথ্য আলাদাভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে কোনও অভিযোগ এলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।

তিনি আরও জানান, এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিডিয়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে এনআইডি বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের চিন্তা আছে। যারা এনআইডি সেবাকে সহজ করতে ভূমিকা রাখছেন তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রাখা হবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি ৫৬টি বিশেষ উপজেলাসহ দেশব্যাপী নিবন্ধন কাজ শেষ করেছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না। নিবন্ধনের সময় কঠোর যাচাই-বাছাই করা হবে।

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন প্রসঙ্গে এনআইডি মহাপরিচালক জানান, বর্তমানে ৮টি দেশে এ কার্যক্রম চলছে এবং আগামী সপ্তাহে কানাডাতেও চালু হবে। এতে মোট ৯টি দেশে প্রবাসীদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার কাজ চলবে।

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণে দূতাবাসে স্থান সংকট একটি বড় সমস্যা। অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধান করে অন্তত ৪০টি দেশে কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এছাড়া, আমেরিকায় এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় সেখানকার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলেও জানান তিনি।

সন্দেহজনক লেনদেন পাপনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
সন্দেহজনক লেনদেন  পাপনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীসহ তিনজনের নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৫ মে) বিকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন।

দুদক কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ১২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৭৪২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৬ টাকার ঘুষ ও দুর্নীতির সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে। অপর মামলায় তার স্ত্রী রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধেও ১২ কোটি ১২ হাজার ২১৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ১১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়াও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চাকরিচ্যুত নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় পাপনের মেয়ে রুশমিলা রহমান (অহনা), পুত্র রাফসান রহমান, আরেক মেয়ে সুনেহরা রহমান (তন্নি) ও তার জামাতা রাকিন আল মাহমুদসহ ৫ জনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত: সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
ইইউ রাষ্ট্রদূত: সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার কাজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিলার। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সমর্থন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচনে সহায়তাও দিতে আগ্রহী ইইউ। তবে নির্বাচন কবে হবে তা ঠিক করবে বাংলাদেশ সরকার। নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। আমরা মনে করি, সংস্কার বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত সময় দরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই। সুতরাং এক্ষেত্রে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার।

রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাইকেল মিলার বলেন, উভয় পাশেই ভুক্তভোগীদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সবাই যেন সমানভাবে ত্রাণ সহায়তা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘের রিপোর্টকে সমর্থন করি। তাদের রিপোর্ট অত্যন্ত পরিষ্কার। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে— বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা। এখানে দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। আর দায়বদ্ধতার প্রক্রিয়া হতে হবে অত্যন্ত স্বচ্ছ।

মাইকেল মিলার বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার এখন বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে বলে আমরা আশা করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউতে পাচার হওয়া অর্থ যদি বর্তমান সরকার ফেরত আনতে চায়, তবে এ নিয়ে রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যথাযথ তথ‍্য–উপাত্ত নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হবে মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় ইউরোপের প্রায় অর্ধেক দেশ কর্তৃত্ববাদ থেকে গণতন্ত্রের পথে এসেছে এবং এই কাজটি বাংলাদেশ এখন করছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।