খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

ঢাবিতে ছাত্রদলের পোস্টার, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ণ
ঢাবিতে ছাত্রদলের পোস্টার, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, হলে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও ছাত্রদল হলের ভিতরে এবং বাহিরে পোস্টারিং করে। ছাত্রদলের এমন কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে এতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, হাজী মুহাম্মদ মু্‌হসীন হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়।

শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রশাসনের উদ্যোগে হল থেকে ছাত্রদলের পোস্টার সরানো না হলে বিক্ষোভ আন্দোলন বন্ধ করবে না।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা স্বত্তেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে পোস্টার লাগিয়েছে। মূলত হলে ছাত্ররাজনীতি ঢুকানোর অপচেষ্টা করছে ছাত্রদল। আমরা এই অপচেষ্টা রোধ করতে আন্দোলন অব্যাহত রাখব। শুধু ছাত্রদল নয়, আমরা ক্যাম্পাসে কোনো দলেরই রাজনীতি চায় না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক মোসাদ্দিক আলি বলেন, ‘সিন্ডিকেট কতৃক সাময়িক ভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হলে রাজনীতি করার পক্ষে নেই। তা স্বত্তেও কীভাবে কোনো রাজনৈতিক দল হলে পোস্টার লাগতে পারে। হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করে!

আন্দোলনকারীরা জানায়, ‘জিয়া হলের ১৭-১৮ সেশনের ইংরেজি বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম পোস্টার ছিড়লে শিক্ষার্থীদের দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। শিক্ষার্থীরা হলের প্রোভোস্টের কাছে তার বহিষ্কারের দাবি জানায়। এছাড়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনলাইন এবং অফলাইনে পোস্টারিংএর বিরোধিতা করা শিক্ষার্থীদেরকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

রাত ১১টায় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ আসেন। তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতির চুড়ান্ত কাঠামো আমরা এখনো দিতে পারিনি।

৭ই নভেম্বর নিয়ে আমাদের কারো সমস্যা নাই। ছবিতে থাকা জিয়াউর রহমান নিয়েও কারো বিতর্ক নেই। পোস্টার তুলে নিলে ব্যক্তির মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে চাইলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখে।

বিক্ষোভ মিছিলে ‘পোস্টার থাকলে দেয়ালে, দুঃখ আছে কপালে’ ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ‘টু জিরো টু ফোর,ছাত্ররাজনীতি নো মোর’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।